প্রকাশ : ০৬ মার্চ ২০২৫, ২১:৪৩
কমিউনিস্ট পার্টির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে চাঁদপুরে আলোচনা সভা

বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির ৭৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে চাঁদপুর জেলা কমিটির উদ্যোগে আলোচনা সভা বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ ২০২৫) বিকেলে জেলা উদীচী কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয়।
বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি চাঁদপুর জেলা কমিটির সভাপতি কমরেড জাকির হোসেন মিয়াজীর সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক কমরেড জাহাঙ্গীর হোসেন। অন্যান্যের মধ্যে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন শিক্ষক শাখার সদস্য দুলাল গোস্বামী, জেলা উদীচীর সহ-সাধারণ সম্পাদক জাফর আহম্মেদ ও শহর যুব ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক নূরে আলম নূর। অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জেলা কমিউনিস্ট পার্টির সাবেক সাধারণ সম্পাদক কমরেড অধ্যাপক দুলাল চন্দ্র দাস, জেলা কমিউনিস্ট পার্টির সদস্য, শ্রমিক নেতা চন্দ্র শেখর মজুমদার, কমরেড জহির উদ্দিন বাবর, জেলা উদীচীর সহ-সাধারণ সম্পাদক বিনোদ চৌধুরী নরেশ, জেলা ছাত্র ইউনিয়নের সাবেক সহ-সভাপতি মো: হেলাল উদ্দিন ও ছাত্র ইউনিয়ন জেলা সংসদের নেত্রী আসমা আক্তার।
সভায় নেতৃবৃন্দ বলেন, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি তার প্রতিষ্ঠাকাল থেকেই শ্রমজীবী-মেহনতি মানুষের অধিকার আদায়ের সংগ্রামে নিয়োজিত। এ পার্টি আন্তর্জাতিকতাবাদী। দুনিয়ার সকল কমিউনিস্ট সকল মানুষের মুক্তির লড়াইয়ে সংগ্রাম করছেন। একটি মানবিক দুনিয়া প্রতিষ্ঠার লড়াইয়ে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির সংগ্রাম অব্যাহত আছে। বিশ্বের যে সকল দেশে কমিউনিস্ট বামপন্হী শক্তি ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হয়েছে সে সকল দেশের মানুষের অধিকার বাস্তবায়ন করার চেষ্টা করেছে। শোষণমুক্ত সমাজ গঠনই ছিলো আরাধ্য। মানব মুক্তির লড়াই এবং মেহনতিদের অধিকার প্রতিষ্ঠা করাই মূলনীতি এ পার্টির।
বাংলাদেশে কমিউনিস্ট শাসন কায়েম করার ক্ষেত্রে প্রধান প্রতিবন্ধকতা হলো লুটেরা পুঁজিবাদী শাসন, সাম্রাজ্যবাদী তোষণ-পোষণ আর ধর্ম ব্যবসায়ীদের সাম্প্রদায়িক রাজনীতি। সাম্প্রদায়িক শক্তি মূলত পুঁজিপতিদের আশ্রয়-প্রশ্রয়ে থেকে মানুষকে তার অধিকার আদায়ের পথ থেকে দূরে সরিয়ে রাখছে। 'ভাগ্যে নাই-কপালে নাই' এ তকমায় সাধারণ মানুষকে আন্দোলনের মূলধারা থেকে আড়াল করে রাখছে। এতে করে মানুষ তার মুক্তির স্বাদ পায়নি। যদিও মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে একটি স্বাধীন সার্বভৌম দেশ পেয়েছে। যে চেতনার জন্যে মুক্তির আন্দোলন তা বাস্তবায়ন আদৌ হয়নি। এরপর থেকে ১৯৯০-এর গণঅভ্যুত্থান এবং ২০২৪-এর গণঅভ্যুত্থান হওয়া সত্ত্বেও মানুষ প্রতারিত হচ্ছে বারংবার।
নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, যতবারই গণঅভ্যুত্থান হোক না কেনো, সাধারণ মানুষের অধিকার বাস্তবায়ন হবে না যদি কমিউনিস্টদের নেতৃত্বে বিপ্লব না হয়। তাই সাধারণ মানুষকে কমিউনিস্টদের পতাকাতলে আন্দোলন করতে হবে। দ্রব্যমূল্য মানুষের হাতের নাগালের বাইরে। তাই ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট ভাঙতে এবং মব জাস্টিস থেকে জাতিকে মুক্ত করতে সিপিবির পতাকাতলে জনগণকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। তবেই দেশে শান্তি ফিরে আসবে।