প্রকাশ : ৩০ মে ২০২২, ০০:০০
ফরিদগঞ্জের খাজুরিয়া বাজারে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানের সময় বন্ধ থাকলেও ভ্রাম্যমাণ আদালতের টিম চলে যাওয়ার কিছুক্ষণ পরেই খুললো মেডি ট্রাস্ট ডায়াগনস্টিক সেন্টার। ২৯ মে রোববার বিকেলে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নেতৃত্বাধীন ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান পরিচালনার সময় বন্ধ থাকার কিছুক্ষণ পর ওই ডায়াগনস্টিক সেন্টারে রোগী দেখতে যান কথিত ডাক্তার মোহাম্মদ আলী সোহাগ। সংবাদ পেয়ে এ সংবাদকর্মী ভেতরে ঢুকলেই চোখে পড়ে একটি শিশুর হাত থেকে ব্লাড নেয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। সংবাদ কর্মীকে দেখে অগত্যা তাকে চলে যেতে বলা হয়।
ডায়াগনস্টিক সেন্টারের ভেতরে থাকা কথিত চিকিৎসক মোহাম্মদ আলী সোহাগ জানান, আপনাদের কিছু করার থাকলে করেন। আমার সাথে আশরাফ ভাইয়ের সম্পর্ক আছে, যা করার ওনারা করবে। স্থানীয়রা জানান, মোহাম্মদ আলী সোহাগের কোনো ডাক্তারি জ্ঞান নাই, পূর্বে এই লোক কাঠ মিস্ত্রির কাজ করতেন।
এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা আলী আশরাফ চৌধুরীর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ বিষয়ে আমি অবগত নই। তিনি দায় সারার জন্যে আমার নাম ব্যবহার করেছেন। আমরা আবার অভিযান পরিচালনা করবো। এ বিষয়ে ফরিদগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাছলিমুন নেছা জানান, আমরা আবার যে কোনো সময় অভিযান পরিচালনা করবো।