প্রকাশ : ৩০ মে ২০২২, ০০:০০
মতলব দক্ষিণে আগুন লেগে মোঃ হারুন অর রশিদ নামে এক ইন্স্যুরেন্সকর্মীর বসতঘর ও ঘরের আসবাবপত্র পুড়ে গেছে। গতকাল ২৯ মে রোববার বেলা ১২টার দিকে নারায়ণপুর ইউনিয়নের ডাটিকারা এলাকায় এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। পুড়ে যাওয়া ঘরের মালিক একটি ইন্স্যুরেন্স কোম্পানীতে কর্মরত আছেন। তার ঘরে গ্রাহকের প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ নগদ ২ লাখ টাকা ছিলো।
ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার ও ফায়ার সার্ভিস সূত্রে জানা গেছে, রোববার বেলা ১২টার দিকে ওই এলাকার হারুন অর রশিদের বসতঘরে বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়। দ্রুত ওই আগুন বসতঘরে ছড়িয়ে পড়ে। এ সময় হারুন ও তার স্ত্রী কেউ বাড়িতে ছিলেন না। পরে খবর পেয়ে তারা বাড়িতে গিয়ে ডাক-চিৎকার দিলে আশেপাশের লোকজন এগিয়ে এসে আগুন নিয়ন্ত্রণ করতে ব্যর্থ হয়ে তাৎক্ষণিকভাবে মতলব দক্ষিণ ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেয়। ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে আসার পূর্বেই হারুন অর রশিদের বসতঘর ও আসবাবপত্রসহ ঘরে থাকা একাডেমিক সার্টিফিকেট, জমির দলিল, জাতীয় পরিচয়পত্র, নগদ ২ লাখ টাকা ও স্বর্ণালংকারসহ মূল্যবান মালামাল পুড়ে ছাই হয়ে যায়। এতে প্রায় ৬ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়ে ওই পরিবারটি একেবারে নিঃস্ব হয়ে গেছে।
ক্ষতিগ্রস্ত ঘর মালিক মোঃ হারুন অর রশিদ বলেন, আগুনে আমার সব শেষ হয়ে গেলো। আমি এখন নিঃস্ব হয়ে গেলাম। আমার ঘরে গ্রাহকের কাগজপত্র, আমার সন্তানদের একাডেমিক সার্টিফিকেট, নগদ টাকা সবই পুড়ে গেছে। আমি পরিবার-পরিজন নিয়ে এখন কোথায় থাকবো তা ভেবে পাচ্ছি না।
মতলব দক্ষিণ ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন ইনচার্জ মোঃ আসাদুজ্জামান জানান, আগুন লাগার পর একটি মোবাইল নম্বর থেকে কল করে আমাদের জানালে আমরা ঘটনাস্থলে রওনা হই। পথিমধ্যে আবার সেই মোবাইল নম্বর থেকে জানানো হয় আগুন নিভে গেছে। আমরা তখন অফিসে ফিরে যাই। কিছুক্ষণ পরে আবার অন্য একটি মোবাইল নম্বর থেকে ফোনে আমাদের ঘটনাস্থলে যেতে বলা হলে আমরা পুনরায় সেখানে যাই এবং গিয়ে দেখি আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে চলে আসছে। তিনি আরও জানান, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে। আগুন তাৎক্ষণিক সারা ঘরে ছড়িয়ে পড়ে। প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ আগুনে পুড়ে হারুন অর রশিদের অন্তত ৬ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।