রবিবার, ০২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫  |   ২০ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   হাইমচরে মাটি বোঝাই বাল্কহেডসহ আটক ৯
  •   কচুয়ায় কৃষিজমির মাটি বিক্রি করার দায়ে ড্রেজার, ভেকু ও ট্রাক্টর বিকল
  •   কচুয়ায় খেলতে গিয়ে আগুনে ঝলসে গেছে শিশু সামিয়া
  •   কচুয়ায় ধর্ষণের অভিযোগে যুবক শ্রীঘরে
  •   ১ হাজার ২৯৫ কেজি নিষিদ্ধ পলিথিন জব্দ করেছে কোস্ট গার্ড

প্রকাশ : ২৮ মে ২০২২, ০০:০০

ডিএন হাইস্কুলে জাতীয় কবির জন্মজয়ন্তী পালন
অনলাইন ডেস্ক

চাঁদপুর জেলা সদরে অবস্থিত ডিএন হাইস্কুলে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১২৩তম জন্মজয়ন্তী উপলক্ষে ছাত্র-শিক্ষক মিলনায়তনে বৃহস্পতিবার ২৬ মে বেলা সাড়ে বারোটায় আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভায় সভাপতিত্ব করেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ হোসেন। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা কামাল আহমেদ। আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চাঁদপুরের নজরুল গবেষণা পরিষদেরর সাধারণ সম্পাদক ও সাংবাদিক আব্দুল গণি। পরিচালনা করেন সহকারী শিক্ষক সুজিৎ কুমার। আলোচকগণ জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের জীবনী সংক্ষিপ্ত পরিসরে আলোচনা করে বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর পরই ১৯৭২ সালের ২৪ মে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলামকে সপরিবারে স্বাধীন বাংলাদেশে নিয়ে আসেন এবং রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় বাংলাদেশে তাঁর বসবাসের ব্যবস্থা করেন। ধানমন্ডিতে কবির জন্যে একটি বাড়ি প্রদান করেন। জাতীয় কবির স্বীকৃতি দেন। চল্ চল্ চল্ কবিতাটি রণসঙ্গীত হিসেবে ঘোষণা দেন। ‘জয়বাংলা’ স্লোগানটি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কবির রচিত ‘পূর্ণ অভিনন্দন’ কবিতা থেকে নেন। যা বর্তমানে জাতীয় শ্লোগান হিসেবে গ্রহণ করা হয়েছে।

বাংলা সাহিত্যে বিদ্রোহী কবি হিসেবে পরিচিত হলেও তিনি ছিলেন একাধারে কবি, সংগীতজ্ঞ, ঔপন্যাসিক, গল্পকার, নাট্যকার, প্রাবন্ধিক, সাংবাদিক, চলচ্চিত্রকার, গায়ক ও অভিনেতা। তিনি বৈচিত্র্যময় অসংখ্য রাগ-রাগিণী সৃষ্টি করে বাংলা সঙ্গীত জগৎকে মর্যাদার আসনে অধিষ্ঠিত করেছেন। তাঁর কবিতা, গান ও সাহিত্যকর্ম বাংলা সাহিত্যে নবজাগরণ সৃষ্টি করেছিলো। তিনি ছিলেন অসাম্প্রদায়িক চেতনার পথিকৃৎ লেখক।

আলোচনা সভায় বক্তাগণ আরো বলেন, কবিতার ইতিহাসে কাজী নজরুল ইসলামের ‘বিদ্রোহী’ কবিতাটি এক অনন্য রচনা। এক রাতেই তিনি কলকাতার ৩/৪ সি লেনের বাসায় বাংলা তথা বিশ্ব সাহিত্যের অনবদ্য এ কবিতাটি রচনা করেছেন। মাত্র ২২ বছর বয়সে ১৯২১ সালের ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহে নজরুল রচনা করেন ১৪১ পংক্তির এ ভুবন-বিজয়ী কবিতা। যার প্রথম শ্রোতা ছিলেন কবিবন্ধু মুজফ্ফর আহমদ।

তাঁর লেখনি জাতীয় জীবনে অসাম্প্রদায়িক চেতনার বিকাশে ব্যাপক ভূমিকা পালন করে। তাঁর কবিতা ও গান মানুষকে যুগে যুগে শোষণ ও বঞ্চনা থেকে আমাদের মুক্তির পথ দেখিয়ে চলছে। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে তাঁর গানও কবিতা ছিলো প্রেরণার উৎস। আলোচনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান শেষে নজরুল সঙ্গীত, নজরুলের কবিতা আবৃত্তি ইত্যাদি বিষয়ে ছাত্রদের পুরস্কৃত করা হয়।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়