প্রকাশ : ১৭ জুলাই ২০২১, ০০:০০
করোনায় থেমে নেই মতলবের পশুর হাট। এ উপজেলার বিভিন্ন স্থানে বেশ জমে উঠেছে কোরিবানি পশুর হাট। দাম একটু বেশি হলেও প্রায় সকলেই ছুটছে কোরবানির পশু কিনতে। তবে ক্রেতা-বিক্রেতা অনেকেই মাস্ক ব্যবহার করছে না। এতে করোনা ঝুঁকিতে পড়তে পারে উপজেলার সর্বস্তরের মানুষ। ক্রেতা-বিক্রেতা ও ইজারাদারদের আরো সতর্ক হওয়া প্রয়োজন।
মতলব দক্ষিণ উপজেলায় ১৭টি স্থানে বসবে কোরবানির পশুর হাট। বাজারগুলো হচ্ছে- উপজেলার নায়েরগাঁও উত্তর ইউনিয়নের পিতাম্বরদী, পেয়ারীখেলা, নাউজান চুন্নু মার্কেট, ঘোনা উত্তরপাড়া খোলামাঠ, নায়েরগাঁও দক্ষিণ ইউনিয়নের আশ্বিনপুর, শাহপুর মোড়ে গরুর বাজার, নায়েরগাঁও গরুর বাজার, নারায়ণপুর ইউনিয়নের পয়ালী, জোরপুল গরুর বাজার, কালিকাপুর আনন্দবাজার, চারটভাঙ্গা গরুর বাজার, চিরায়ু আড়ং বাজার, উপাদী উত্তর ইউনিয়নের নওগাঁও, উপাদী গরুর বাজার, বহরী আড়ং বাজার, উপাদী দক্ষিণ ইউনিয়নের পিংরা ও মাস্টার বাজার।
বিভিন্ন স্থান থেকে এসব হাটে পশু আসা শুরু করেছে। ইজারাদার নির্র্ধারিত বাঁশের কাঠামোতে গরু ও ছাগল বেঁধে রাখছেন। মতলব পৌর শহরের পানির টাংকি ও হাজীর ডোন এলাকায় বেশ জমে উঠেছে পশুর হাট। উপজেলার বিভিন্ন পশুরহাটে গেলে একাধিক বিক্রেতা জানান, ক্রেতারা বাজারে এলেও বিক্রির মতো দাম বলছেন না। এক লাখ ত্রিশ/চল্লিশ হাজার টাকার গরু বলছে ৮০/৯০হাজার টাকা। অনেকেই দেখে যাচ্ছে, পরে কিনবে। তবে গরু থেকে ছাগলের সংখ্যা বেশি হলে গরুর দাম পাওয়া যাবে।
নবকলস এলাকার মাহবুব ও শরীফ বলেন, আমাদের বাড়ির পার্শ্ববর্তী হাট পানির ট্যাংকি ও হাজীর ডোনে বেশ গরু উঠেছে। তবে দাম অনেক বেশি। বিক্রেতারা দাম ছাড়ছেন না। তবে করোনা পরিস্থিতিতে ইজারাদাররা স্বাস্থ্যবিধি মানার চেষ্টা করছে। তারা গরু বিক্রির জন্যে মাইকিং ও লিফলেট বিতরণের মাধ্যমে প্রচারণা চালাচ্ছে।