বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর, ২০২৪  |   ১৯ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   প্রাইভেটকারের ধাক্কায় বুয়েট শিক্ষার্থী নিহত: ডোপ টেস্টে ধরা পড়ল মাদকাসক্তি
  •   সাতক্ষীরায় ব্যবসায়ীর ২৩ লাখ টাকা ছিনতাই: স্বেচ্ছাসেবক দল নেতার বিরুদ্ধে অভিযোগ
  •   চাকা পাংচার হওয়ায় এনজিও কর্মকর্তার মৃত্যু
  •   বরগুনায় টিকটক নিয়ে পারিবারিক কলহ: স্ত্রীকে হত্যা, স্বামী আত্মহত্যার চেষ্টা
  •   মানব পাচারের চক্রের বিরুদ্ধে বিজিবির সফল অভিযান: কিশোরী উদ্ধার, তিন আটক

প্রকাশ : ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৭:২৫

একজনকে মারলে তো সমস্যা, তাই ৭ জনকেই মেরে ফেলেছি : ইরফান

চাঁদপুর কণ্ঠ রিপোর্ট
একজনকে মারলে তো সমস্যা, তাই ৭ জনকেই মেরে ফেলেছি : ইরফান

লোমহর্ষক ৭ খুনের বর্ণনা দিলেন চাঁদপুরের মেঘনা নদীতে জাহাজের কর্মচারী হত্যাকারী ইরফান। 'একজনকে মারলে তো সমস্যা, তাই ৭ জনকেই মেরে ফেলেছি' বলে জানিয়েছেন তিনি।

বুধবার (২৫ ডিসেম্বর ২০২৪) র‍্যাব-১১-এর কুমিল্লা টিমকে এসব জানান আকাশ মন্ডল ইরফান।

তিনি বলেন, বেতন পাই না কয়েক মাস, আবার চাইলেও গালমন্দ করতো জাহাজের মাস্টার কিবরিয়া। এটা দেখেও জাহাজের অন্যরা কেউ প্রতিবাদ করতো না। তাই রাগে ক্ষোভেই সবগুলারে জাহাজেই মেরে ফেলেছি।

ইরফান বলেন, দোকান থেকে ঘুমের ওষুধ কিনেছি। এরপর বাবুর্চি রান্না করে রেখে যাওয়ার পর সে খাবারগুলোতে ঘুমের ঔষুধ মিশাই। সন্ধ্যায় যখন সবাই খেয়ে কেবিনগুলোতে ঘুমাচ্ছিলো, তখনই মাস্টারকে দিয়ে মারার মিশন শুরু করি। চাইনিজ কুড়াল টা দোকান থেকে কিনেছিলাম। মারার পর ওইটা জাহাজেই ফেলে এসেছি। মারবো বলেই ওই রাতে আমি খাবার খাইনি।

ইরফান আরও বলেন, শেষে জুয়েলকে গলায় ছুরি দিয়ে জবাই দেই। ছুরিটা বাবুর্চির কেবিন থেকেই নিয়েছি। ও কীভাবে বাঁচলো তা জানি না। গলায় ত ইচ্ছে মতো পোঁচাইছি।

'পালালেন কীভাবে' এমন প্রশ্নের জবাবে ইরফান বলেন, ওখানে তো সব চর। মাঝের চরে নামলে রাস্তা দেখতে পাই। সেখানে হাত মুখ ধুয়ে বিকাশে টাকা ছিলো তা উঠিয়ে পোশাক কিনে জেলে ট্রলারে করে পালিয়ে চলে যাই। আমার এই অপরাধে আর কেউ জড়িত নেই।

প্রমাণ লোপাটের চেষ্টায় রক্তমাখা পোশাক খুলে ফেলি এবং পরে নতুন জামা কিনে সেটা পরি। আমার বোনদেরকেও জানাইনি। ভাবছিলাম কোথাও দূরে চলে যাবো।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়