প্রকাশ : ১৬ জুলাই ২০২১, ০০:০০
লকডাউন শিথিল করায় করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে মতলব দক্ষিণ উপজেলার বাজারগুলোতে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখছে না ক্রেতা-বিক্রেতা ও ব্যাংকের গ্রাহকরা। এছাড়াও রাস্তা-ঘাটে বাড়ছে যানবাহনের ভিড়।
ব্যাংকগুলোতে টাকা উত্তোলন ও বাজারগুলোয় কেনাকাটায় উপচেপড়া ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। স্বাভাবিক সময়ের মতো ঠেলাঠেলি আর হুড়োহুড়ি করে বাজার করছেন অধিকাংশ ক্রেতা। ক্রেতাদের মুখে নিম্নমানের মাস্ক থাকলেও বেশিরভাগ বিক্রেতা মাস্ক ও হ্যান্ড গ্লাভস্ ব্যবহার করছেন না। ব্যাংকগুলোতে গ্রাহকদের ঠেলাঠেলি ও উপচেপড়া ভিড়ে কোনো পদক্ষেপ নেই ব্যাংক কর্মকর্তাদের। উল্টো গ্রাহকদের দোষ দিয়ে ঠায় বসে আছেন ব্যাংক কর্মকর্তাগণ। এতে করোনাভাইরাস ঝুঁকিতে আছে উপজেলার সকল পর্যায়ের মানুষ।
বেশির ভাগ ক্রেতা বলছেন, নিজ এলাকায় লকডাউনের আশঙ্কা, আগামীতে আরও কড়াকড়ি এবং বুধবার পবিত্র ঈদ-উল-আজহার কারণে বেশি করে বাজার ও গরু ক্রয় করার জন্যে ব্যাংক থেকে টাকা উত্তোলন করছেন তারা। সামনে কী হয়, না হয় তা বলা কঠিন। এজন্যে প্রয়োজনীয় যা কিছু তা কিনে রাখছেন ক্রেতারা।
সরেজমিনে মতলব বাজার, মুন্সীরহাট ও নারায়ণপুর বাজার এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, কাপড় মার্কেট, কাঁচা বাজার, ফল মার্কেট ও ব্যাংকগুলোতে গাদাগাদি করে রয়েছে জনসাধারণ। ভিড়ের মধ্যে দাঁড়িয়ে টাকা উত্তোলন ও বাজার করছে তারা। দোকানিরা ও ব্যাংক কর্মকর্তাগণ এ ব্যাপারে কাউকে সতর্ক করছে না। বিক্রেতারা ব্যবহার করে না মাস্ক বা গ্লাভস্। অনেক ক্রেতাসাধারণ ব্যবহার করছে না মাস্ক।