প্রকাশ : ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ২১:০২
ইরফান ৭ দিনের রিমান্ডে
মেঘনা নদীতে সারবোঝাই জাহাজে চঞ্চল্যকর ৭ খুনের ঘটনায় গ্রেফতার আকাশ মন্ডল ওরফে ইরফানকে ৭ দিনের রিমান্ডে নেয়া হয়েছে।
বুধবার (২৫ ডিসেম্বর ২০২৪) সন্ধ্যায় চাঁদপুরের জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মুহাম্মদ ফারহান সাদিক এই রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এর আগে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কড়া নিরাপত্তায় তাকে
আদালতে হাজির করা হয়। তার বিরুদ্ধে জিআর ১৬৬/২৪-এর মামলায় আদালতে ১০ দিন রিমান্ডের আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা চাঁদপুর সদরের হরিণা নৌ পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ ইন্সপেক্টর মো. কালাম খা।
এ বিষয়ে মো. কালাম খা জানান, আদালতে আমি ইরফানের জন্যে ১০ দিনের রিমান্ড চাইলে আদালত ৭ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে। আশা করছি তাকে জিজ্ঞাসাবাদেই সব তথ্য বেরিয়ে আসবে।
এ সময় জামিন শুনানিকালে রাষ্ট্রপক্ষে আইনজীবী হিসেবে ছিলেন চাঁদপুর জেলা জজ কোর্টের এপিপি অ্যাড. শরীফ মাহমুদ সায়েম, এপিপি অ্যাড. মাসুদ প্রধানীয়া, এপিপি অ্যাড. ইয়াসিন আরাফাত ইকরাম, এপিপি অ্যাড. শাহজাহান খান, আইনজীবী অ্যাড. শামিম হোসেন, অ্যাড. মিল্টন ও অ্যাড. তোফায়েল। আসামীর পক্ষে কোনো আইনজীবী ছিলেন না।
এর আগে মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর ২০২৪) দিনগত রাতে আসামী আকাশ মন্ডল ইরফানকে র্যাব-৬- এর সহতায় র্যাব-১১ কুমিল্লা অভিযান চালিয়ে বাগেরহাট জেলার চিতলমারী থেকে গ্রেপ্তার করে। পরে দুপুরে আসামীকে র্যাব-১১ কুমিল্লায় নিয়ে আসে। সেখানে তাকে গ্রেপ্তারের বিষয়টি প্রেস ব্রিফিংয়ে জানিয়েছেন র্যাব-১১ এর উপ-অধিনায়ক মেজর সাকিব হোসেন।
বিকেলে র্যাব-১১-এর একটি দল আসামী আকাশ মন্ডলকে নৌ পুলিশ চাঁদপুর অঞ্চল-এর পুলিশ সুপার কার্যালয়ে হস্তান্তর করেন। সেখান থেকে তাকে কঠোর নিরাপত্তায় র্যাব, নৌ পুলিশ ও গোয়েন্দা পুলিশ আদালতে নিয়ে যায়। আদালতে নৌ পুলিশ পরিদর্শক ও তদন্তকারী কর্মকর্তা ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে হাজির করেন। এরপর আদালতে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীদের শুনানি শেষে বিচারক ৭ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
রাষ্ট্রপক্ষে আইনজীবী ছিলেন অ্যাডভোকেট শরীফ মাহমুদ সায়েম গণমাধ্যমকে বলেন, জাহাজে ৭ খুন সারাদেশের আলোচিত ঘটনা। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী দ্রুত সময়ের মধ্যে আসামীকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়েছে। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা তাকে আদালতে উপস্থিত করে ১০ দিনের রিমান্ড চাইলে আদালত ব্যাপক শুনানি শেষে ৭ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে। আমরা আশা করি এই আসামীকে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদের মাধ্যমে আসামীর সাথে অন্য কেউ সংশ্লিষ্ট আছে কিনা এবং রাষ্ট্রকে অস্থিতিশীল করার জন্যে অন্য কেউ জড়িত আছে কিনা তা বেরিয়ে আসবে।