বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর, ২০২৪  |   ১৬ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   প্রাইভেটকারের ধাক্কায় বুয়েট শিক্ষার্থী নিহত: ডোপ টেস্টে ধরা পড়ল মাদকাসক্তি
  •   সাতক্ষীরায় ব্যবসায়ীর ২৩ লাখ টাকা ছিনতাই: স্বেচ্ছাসেবক দল নেতার বিরুদ্ধে অভিযোগ
  •   চাকা পাংচার হওয়ায় এনজিও কর্মকর্তার মৃত্যু
  •   বরগুনায় টিকটক নিয়ে পারিবারিক কলহ: স্ত্রীকে হত্যা, স্বামী আত্মহত্যার চেষ্টা
  •   মানব পাচারের চক্রের বিরুদ্ধে বিজিবির সফল অভিযান: কিশোরী উদ্ধার, তিন আটক

প্রকাশ : ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ২১:৫৫

জাহাজে নিহত নড়াইলের ২ জনের দাফন সম্পন্ন

অনলাইন ডেস্ক
জাহাজে নিহত নড়াইলের ২ জনের দাফন সম্পন্ন

হাইমচর উপজেলার ঈশানবালা খালের মুখে নোঙ্গর করা এমভি আল-বাখেরা জাহাজে হত্যাকাণ্ডের শিকার সাতজনের মধ্যে নড়াইলের আমিনুর রহমান মুন্সী (৪৮) ও সালাউদ্দীন ফকিরের (৪০) দাফন সম্পন্ন হয়েছে। মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর ২০২৪) রাত ৯টার দিকে আমিনুরের এবং ১০টার দিকে সালাউদ্দিনের মরদেহ গ্রামের বাড়িতে পৌঁছায়। পরে ধর্মীয় রীতি অনুযায়ী রাতেই তাদের দাফন করা হয়। হত্যাকাণ্ডের শিকার আমিনুর নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার ইতনা ইউনিয়নের পাঙ্খারচর গ্রামের মজিবুর রহমানের ছেলে। তিনি আল বাখেরা জাহাজের সুকানি ছিলেন। অন্যদিকে সালাউদ্দিন ছিলেন ইঞ্জিনচালক। তিনি একই উপজেলার লাহুড়িয়া ইউনিয়নের এগারোনলী গ্রামের আবেদ উদ্দীন ফকিরের ছেলে। পরিবার সূত্রে জানা যায়, সংসারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি হিসেবে প্রায় ১২ বছর ধরে জাহাজে কাজ করছিলেন আমিনুর। গত শুক্রবার (২০ ডিসেম্বর ২০২৪) গ্রামের বাড়ি নড়াইল থেকে কাজে গিয়েছিলেন তিনি। এবার ছুটিতে বাড়ি ফিরে বোনের দেওয়া জমিতে নতুন ঘর তোলার কথা ছিলো তার। কিন্তু ৪ দিনের ব্যবধানে তার বাড়িতে ফিরলো নিথর দেহ। কোনোভাবেই এ শোক সইতে পারছেন না তার পরিবারের সদস্যরা। আমিনুরের স্ত্রী পপি বেগম বলেন, শুক্রবারে রাত ৮টার দিকে আমি স্বামীকে বাসে উঠায়ে দিয়ে আসছিলাম। এক সপ্তাহ পর আসার কথা ছিলো। আর আসলো না। আমার স্বামীরে যারা মারছে, আমি তাদের বিচার চাই। স্বামী ছাড়া আমার আপন কেউ নেই। অন্যদিকে সালাউদ্দিন ২০ বছর ধরে জাহাজে চাকরি করছেন। অভাবের সংসারে একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি ছিলেন তিনি। মা ও স্ত্রী-সন্তান নিয়ে ছয় সদস্যের সংসার ছিলো তার। হত্যাকাণ্ডের এ ঘটনায় দিশেহারা তার পরিবার। সালাউদ্দিনের ছেলে নাইম ফকির বলেন, আব্বুর আয় দিয়েই আমাদের পরিবার চলতো। এভাবে যদি মেরিন ডিপার্টমেন্ট চলতে থাকে, আজকে আমাদের ক্ষতি হইছে, কালকে আরেকজনের হবে। আজকে যেমন আমরা রাস্তায় নামছি, কালকে আরেক পরিবার রাস্তায় নামবে। আমরা এর সঠিক বিচার চাই। সূত্র : ঢাকা পোস্ট।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়