প্রকাশ : ১২ জানুয়ারি ২০২২, ০০:০০
মতলব দক্ষিণ উপজেলার লাকশিবপুর গ্রামের শরীফের অত্যাচার, নানা ষড়যন্ত্রের কারণে ঘর-বাড়ি হারিয়ে পথে বসেছে প্রবাসী নজরুল ইসলামের পরিবার। এমন অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী পরিবারটি।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, মতলব দক্ষিণ উপজেলার লাকশিবপুর গ্রামের সিরাজুল ইসলাম প্রধানের ২ ছেলে শরীফ হোসেন ও নজরুল ইসলাম। এদের মধ্যে বড় ছেলে শরীফ হোসেন ছোটবেলা থেকেই বখাটে ও উচ্ছৃঙ্খল জীবন-যাপন করে। এক পর্যায়ে পরিবার থেকে আলাদা হয়ে ঢাকায় বসবাস করা শুরু করেন তিনি। সেখানে দুটি বিয়ে করে দুবউ দুই জায়গায় রেখে ঘর-সংসারও করে আসছেন। শরীফ হোসেন পৈত্রিক সম্পত্তি আত্মসাৎ করার জন্যে নানা কূট-কৌশল অবলম্বন করে পিতা সিরাজুল ইসলাম প্রধানকে মিথ্যা সংবাদে ঢাকায় নিয়ে পিতার সম্পত্তি আত্মসাৎ করার জন্যে জিম্মি করে ঢাকার আড়াই কাঠার বাড়ি লিখে নেন। এ পরিস্থিতিতে পিতা সিরাজুল ইসলাম নিরূপায় হয়ে সকল ছেলে-মেয়েকে হিস্যা অনুযায়ী প্রাপ্য সম্পত্তি স্ব স্ব নামে লিখে দেন। তন্মধ্যে ছোট ছেলে নজরুল ইসলামকে লাকশিবপুর গ্রামে ৮৮নং মৌজার ১০৫নং খতিয়ানের আড়াই শতাংশ ভূমি ২০১৮ সালের জুন মাসে ২৩৯৬নং দলিলে সাবরেজিস্টার অফিসে গিয়ে রেজিস্ট্রী করে লিখে দেন।
বাবার লিখে দেয়া সম্পত্তি পেয়ে নজরুল ইসলাম প্রবাসে কষ্টার্জিত টাকা দিয়ে ঐ সম্পত্তিতে কয়েক লাখ টাকা ব্যয় করে একটি বিল্ডিং করে পরিবার নিয়ে বসবাস করে আসছিলেন। হঠাৎ করেই গত ১ বছর পূর্বে শরীফ হোসেন রাতের আঁধারে উক্ত বিল্ডিং দখল করে নজরুলকে বিল্ডিং থেকে বের করে দেন। শুধু তাই নয়, শরীফ হোসেন একের পর এক নানা ষড়যন্ত্র করতে থাকে ছোটভাই নজরুল ইসলামের বিরুদ্ধে। ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে নিজে বাদী হয়ে ছোটভাই ও তার স্ত্রীকে আসামী করে আদালতে মামলা দায়ের করেন। ঐ মামলায় ছোট ভাইকে জেল খাটান। শুধু কি তাই?
শরীফ হোসেন পিতার রেজিস্ট্রীকৃত সম্পত্তি আত্মসাৎ করার জন্যে পিতাকে মিথ্যা তথ্য দিয়ে দলিল বাতিলের মামলাও দায়ের করান। এভাবেই একের পর এক ষড়যন্ত্রের মধ্য দিয়ে প্রবাসী নজরুল ইসলামের পরিবারকে হয়রানি করে আসার কারণে এই পরিবারটি এখন অসহায় অবস্থায় অমানবিকভাবে জীবন-যাপন করে আসছে।
এ বিষয়ে এলাকাবাসী জানান, সিরাজ প্রধানের দুই ছেলের মধ্যে শরীফ হোসেন ছোটবেলা থেকেই দুষ্ট প্রকৃতির এবং নানা ধরনের অপরাধের সাথে জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে। এছাড়া তার সকল ধরনের অপরাধ কাজে স্থানীয় লিটন ও শাহজাহান সহযোগিতা করে আসছে।
এ বিষয়ে এলাকাবাসী স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ বেশ কয়েকবার সমঝোতার চেষ্টা করেও বিষয়টি শরীফের অতিলোভের কারণে সমাধান করতে পারেনি। কিন্তু ভাই হিসেবে নজরুল ইসলাম বিভিন্নভাবে মান-ইজ্জতের দিকে তাকিয়ে সমাধানের চেষ্টা করে আসছে।
এ বিষয়ে নজরুল ইসলাম বলেন, প্রবাসে চাকুরিকালীন কোম্পানির নিয়ম অনুযায়ী ছুটিতে দেশে আসার পর করোনার কারণে আর যেতে পারিনি। অপরদিকে আপন বড় ভাইয়ের অমানবিক অত্যাচার নির্যাতনের কারণে আজ নিরূপায় হয়ে আছি।
এই অবস্থায় প্রবাসী নজরুল ইসলাম ও তার পরিবার কোনো রকমে বেঁচে থাকার তাগিদে উল্লেখিত অমানবিক নির্যাতন থেকে বাঁচতে চাঁদপুরের প্রশাসনের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।