রবিবার, ১৯ জানুয়ারি, ২০২৫  |   ১৮ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   কুমিল্লা সীমান্তে পুকুরে দেয়াল নির্মাণ করছে বিএসএফ, সতর্ক অবস্থানে বিজিবি
  •   টিউলিপ সিদ্দিকের পদত্যাগের দাবির মধ্যে নতুন বিতর্ক
  •   স্বামী বিবেকানন্দের জন্মদিনে হাজীগঞ্জ রামকৃষ্ণ সেবাশ্রমের শীতকালীন ত্রাণসেবা
  •   খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য স্থিতিশীল, করা হবে বিশেষ কিছু পরীক্ষা
  •   সীমান্তে অস্থিরতা: পাগল বেশে ভারত থেকে বাংলাদেশে প্রবেশ কারা?

প্রকাশ : ১০ জানুয়ারি ২০২২, ০০:০০

হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন সম্পন্ন
স্টাফ রিপোর্টার ॥

ধর্মীয় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের শীর্ষ সংগঠন বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের কেন্দ্রীয় ১০ম ত্রি-বার্ষিক জাতীয় সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। ‘অস্তিত্বের লড়াইয়ে আসুন, সবাই ঐক্যবদ্ধ হই’-এ শ্লোগানকে সামনে রেখে ৭ ও ৮ জানুয়ারি ঢাকা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে ১০ম ত্রি-বার্ষিক জাতীয় সম্মেলনে দেশের বিভিন্ন জেলা, উপজেলা পর্যায়ের হাজার হাজার নেতা স্বতঃস্ফূর্তভাবে যোগ দেন। চাঁদপুর জেলা হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক জেলা জজ কোর্টের পিপি অ্যাডঃ রণজিত রায় চৌধুরীর নেতৃত্বে চাঁদপুর জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের শতাধিক নেতা সম্মেলনে যোগ দেন। সম্মেলনের দ্বিতীয় দিন ৮ জানুয়ারি কাউন্সিল অধিবেশনে জেলা ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডঃ রণজিত রায় চৌধুরী দেশে চলমান সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষায় অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্ন পূরণে ’৭২-এর সংবিধান পুনঃপ্রতিষ্ঠা করার জোর দাবি জানান। তিনি জেলার সাংগঠনিক রিপোর্টও পেশ করেন এবং শারদীয় দুর্গোৎসব চলাকালীন যে নারকীয় অমানবিক ঘটনা ঘটেছে তার তীব্র নিন্দা জানান। তিনি দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি ও সাম্প্রদায়িক হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত উপাসনালয়, ঘর-বাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান সরকারি খরচে পুনঃনির্মাণ করার দাবি জানান।

সম্মেলনে দেশবরেণ্য বুদ্ধিজীবী, রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ, সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে ঐক্য পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির নেতৃবৃন্দসহ বক্তাগণ বিভিন্ন দাবি তুলে ধরে বলেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনাবাহী সরকার সর্বস্তরের জনগণকে অর্থনৈতিকভাবে স্বচ্ছল করেছে ঠিকই। কিন্তু রাষ্ট্রীয়ভাবে আমরা অনেক কিছুতেই পিছিয়ে পড়েছি। অমানবিক কালাকানুন শত্রু (অর্পিত) সম্পত্তি আইন বাতিল হয়ে অর্পিত সম্পত্তি প্রত্যর্পন আইন প্রণীত হলেও এর প্রকৃত বাস্তবায়ন আজও হয়নি। বিচারহীনতার সংস্কৃতি অব্যাহত থাকায় প্রবলভাবে উৎসাহিত হচ্ছে সাম্প্রদায়িক অপশক্তি। তাদের কারণে সংখ্যালঘুদের উপাসনালয়, বাড়ি-ঘর, জায়গা-জমি, দেবোত্তর ভূমি জবর দখল, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাট, মেয়েদের অপহরণ ও ধর্ষণ, জোরপূর্বক ধর্মান্তকরণ, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ঘৃণ্য সাম্প্রদায়িক অপপ্রচার নিত্য দিনকার ঘটনায় পরিণত হয়েছে। অতি সম্প্রতি শারদীয় দুর্গোৎসবে নারকীয় হামলা গোটাবিশ^কে হতবাক করেছে এবং দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণœ করেছে। সাম্প্রদায়িক সহিংসতা বন্ধের দাবি আজ জাতীয় দাবিতে পরিণত হয়েছে। নেতৃবৃন্দ সংখ্যালঘু সুরক্ষা আইন, জাতীয় সংখ্যালঘু কমিশন গঠন, আইনে নির্ধারিত সময় সীমার মধ্যে অর্পিত সম্পত্তি ফেরৎ, পার্বত্য শান্তি চুক্তি ও পার্বত্য ভূমি কমিশন আইনের দ্রুত বাস্তবায়ন, সাম্প্রদায়িক হামলায় ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসনসহ বিভিন্ন দাবি বাস্তবায়নের জোর দাবি জানান।

সম্মেলনে কাউন্সিলরদের স্বতঃস্ফূর্ত সমর্থনে আগামী ৩ বছরের জন্য ড. নিমচন্দ্র ভৌমিক, উষাথন তালুকদার, নির্মল গোস্বামী সভাপতি এবং অ্যাডঃ রানা দাস গুপ্ত সাধারণ সম্পাদক পদে নির্বাচিত হন।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়