শনিবার, ১৮ জানুয়ারি, ২০২৫  |   ২৪ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   কুমিল্লা সীমান্তে পুকুরে দেয়াল নির্মাণ করছে বিএসএফ, সতর্ক অবস্থানে বিজিবি
  •   টিউলিপ সিদ্দিকের পদত্যাগের দাবির মধ্যে নতুন বিতর্ক
  •   স্বামী বিবেকানন্দের জন্মদিনে হাজীগঞ্জ রামকৃষ্ণ সেবাশ্রমের শীতকালীন ত্রাণসেবা
  •   খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য স্থিতিশীল, করা হবে বিশেষ কিছু পরীক্ষা
  •   সীমান্তে অস্থিরতা: পাগল বেশে ভারত থেকে বাংলাদেশে প্রবেশ কারা?

প্রকাশ : ২৩ ডিসেম্বর ২০২১, ০০:০০

ফরিদগঞ্জে সংবাদ সম্মেলনে চেয়ারম্যান প্রার্থীর অভিযোগ
ফরিদগঞ্জ ব্যুরো ॥

মামলা এক ইউনিয়নের নির্বাচনকে কেন্দ্র করে। কিন্তু ওই ঘটনায় দায়েরকৃত মামলায় আসামী হিসেবে জড়ানো হলো অন্য একটি ইউনিয়নের দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীর আত্মীয় ও কর্মীদের। এ যেনো উদোর পি-ি বুদোর ঘাড়ে দেয়ার অবস্থা। এটি নির্বাচনের পরিবেশ নষ্টের অপপ্রয়াসের একটি অংশ। এমনই অভিযোগ করেছেন গোবিন্দপুর দক্ষিণ ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে চশমা প্রতীক নিয়ে চেয়ারম্যান পদে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করা হুমায়ুন কবির পাটওয়ারী।

ফরিদগঞ্জ উপজেলায় ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনী প্রচার শুরুর দিনে দুই প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর মধ্যকার হামলা ও ভাংচুরের ঘটনায় দায়েরকৃত মামলায় অপর একটি ইউনিয়নের দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীর নিকটাত্মীয় ও দলীয় লোকজনকে জড়ানোর অভিযোগ করে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ওই চেয়ারম্যান প্রার্থী। বুধবার (২২ ডিসেম্বর) বিকেলে উপজেলার গোবিন্দপুর দক্ষিণ ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী হুমায়ুন কবির পাটওয়ারী সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি করেন।

স্থানীয় নির্বাচনী অফিসে আয়োজিত এ সংবাদ সম্মেলনে তিনি লিখিত বক্তব্যে বলেন, নির্বাচনী প্রচারণা শুরুর দিন গত সোমবার রাতে চরদুঃখিয়া পশ্চিম ইউনিয়নের ফিরোজপুর বাজারে প্রতিদ্বন্দ্বী চেয়ারম্যান প্রার্থীদের কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে হামলা ও ভাংচুরের ঘটনা ঘটে। হামলার ঘটনায় আহত একজনের ভাই জনৈক শামীম বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছেন। কিন্তু ঘটনাস্থল ও ইউনিয়ন ভিন্ন হলেও ওই মামলায় আমার নির্বাচনী এলাকা গোবিন্দপুর দক্ষিণ ইউনিয়নের ১০ জনকে আসামী করা হয়েছে। যারা আমার নিজের সহোদরসহ নিকটাত্মীয় ৫ জন এবং অপর স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী এমরান হোসেনের ৫ জন। আমার নিকটাত্মীয়দের একজন ছাড়া অন্যরা ঢাকায় ব্যবসা করে। ফলে আমাকে নির্বাচন থেকে দূরে সরাতে এবং মামলা দিয়ে হয়রানি করতেই এ আয়োজন বলে আমার মনে হয়েছে।

তিনি অভিযোগ করে বলেন, মামলাটি গ্রহণের পূর্বে সংশ্লিষ্ট থানার অফিসার ইনচার্জ কোনো তদন্ত ছাড়াই প্রভাবিত হয়ে কেনো এ কাজ করলেন তা বোধগম্য নয়। আমি ও আমার পরিবার আজন্ম আওয়ামী লীগ করেছি। আমার বাবা, চাচা, দাদা, নানাসহ পরিবারের ১৬ জন সদস্য মুক্তিযোদ্ধা। তারা মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ এবং পরবর্তীতে দল ও জনপ্রতিনিধি হিসেবে জনকল্যাণমূলক কাজের স্বাক্ষর রেখেছেন। আমি তাই মানুষের জন্যে কাজ করতে নির্বাচনে নেমেছি।

কিন্তু যা শুরু হয়েছে, আমার আশঙ্কা নির্বাচন পর্যন্ত এ ধরনের আরো অনেক ঘটনাই ঘটবে। তাই আমি স্থানীয় ও জেলা প্রশাসনসহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। একই সাথে আগামী ৫ জানুয়ারি সুষ্ঠু, অবাধ এবং গ্রহণযোগ্য নির্বাচন উপহার দেয়ার দাবি জানান।

এ সময় কেন্দ্রীয় মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমিটির নির্বাহী কমিটির আহ্বায়ক জিয়াউদ্দিন সোহাগ পাটওয়ারী, এমদাদ পাটওয়ারী, আলমগীর পাটওয়ারী, হানিফ গাজী, মনির পাটওয়ারী, সাইফুল খান, সফিকুর রহমান পাটওয়ারী, নান্নু খান, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওয়াহিদুর রহমান ভূঁইয়া, দেলোয়ার হোসেন খান, ছাত্রলীগ নেতা নাজমুল পাটওয়ারী, আশরাফ পাটওয়ারী, নূরনবী পাটওয়ারী, মুসা পাটওয়ারী, শাওন পাটওয়ারী, মহিবুল্লাহ, আলাউদ্দিন পাটওয়ারী, সাইফুল পাটওয়ারী, যুবলীগ নেতা রুহুল আমিন, দেলোয়ার হোসেন, সাইফুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, গত ২০ ডিসেম্বর রাতে চরদুঃখিয়া পশ্চিম ইউনিয়নের আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মুরাদ হোসেন ও স্বতন্ত্র প্রার্থী মোঃ শাহজাহানের সমর্থকদের মধ্যে হামলা ও পাল্টা হামলার ঘটনা ঘটে। এতে উভয় পক্ষের ২৫ জন আহত হয়। রাতেই মামলা দায়েরের পর পুলিশ দুজনকে আটক করে।

সংবাদ সম্মেলনে ফরিদগঞ্জ প্রেসক্লাবের সভাপতি মোঃ কামরুজ্জামান, সাধারণ সম্পাদক আব্দুস ছোবহান লিটনসহ অনেক সাংবাদিক উপস্থিত ছিলেন।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়