কচুয়া উপজেলা পরিষদের বরখাস্তকৃত চেয়ারমান শাহজাহান শিশির জামিনে মুক্তি লাভ করেছেন। বৃহস্পতিবার ২৫ নভেম্বর বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে মুক্তি পেয়ে কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে বেরিয়ে আসলে জেলগেইট প্রাঙ্গণে তাঁর ভক্ত-সমর্থকরা ফুল দিয়ে বরণ করে নেন। গত ২২ নভেম্বর হাইকোর্ট তাঁর জামিন মঞ্জুর করলে বৃহস্পতিবার ঢাকার সিএমএম আদালতে তাঁর জামিন শুনানি শেষে বিজ্ঞ বিচারক পুলিশের রিপোর্ট দাখিল করা পর্যন্ত তাঁকে জামিনে মুক্তি দেন। তাঁর মামলা পরিচালনা করেন আইনজীবী এমকে রহমান ও ইব্রাহীম খলিল মজুমদার। এদিকে কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে শাহজাহান শিশির বেরিয়ে আসার খবর কচুয়ায় ছড়িয়ে পড়লে তাঁর সমর্থকরা আনন্দ-উল্লাসে মেতে উঠে বিভিন্ন স্থানে মিষ্টি বিতরণ করেন।

উল্লেখ্য, ২০২০ সালের ২০ জুলাই কচুয়া শহীদ স্মৃতি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের নির্মাণ কাজের তদারককারী শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর চাঁদপুরের উপ-সহকারী প্রকৌশলী নূরে আলম লাঞ্ছিত হওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে শাহজাহান শিশিরের বিরুদ্ধে কচুয়া থানায় একটি মামলা দায়ের হয়। ওই মামলায় তিনি ২০২০ সালের ২৫ আগস্ট চাঁদপুর আদালতে জামিন চাইতে গেলে বিজ্ঞ আদালত তার জামিন নামঞ্জুর করে জেলহাজতে প্রেরণ করে। পরে গ্রেফতারের ৩ মাস ১২ দিন পর ২০২০ সালের ৭ ডিসেম্বর তিনি হাইকোর্ট থেকে জামিনপ্রাপ্ত হয়ে কুমিল্লা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে জামিনে মুক্তি লাভ করেন। মুক্তিলাভের দিনই ৭ ডিসেম্বর ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাসে কমেন্ট করাকে কেন্দ্র করে শহীদুল ইসলাম নামের এক ব্যক্তি ঢাকার ধানমন্ডি থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে তাঁর বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলা নং ৫১২২০। ওই মামলায় তিনি হাইকোর্ট থেকে আগাম জামিন নেন। ২৬ অক্টোবর জামিন পেয়ে তিনি বেরিয়ে আসার মুহূর্তে জেল গেইটে কোতয়ালি থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে দায়ের করা অপর একটি মামলায় (যার নং ৩৭ (৯)২১) তাঁকে শোন এরেস্ট দেখিয়ে পুনরায় জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়। এই মামলায় তিনি ২ মাস ২৬ দিন কারাভোগ করে ২৫ নভেম্বর বৃহস্পতিবার জামিনে মুক্তি পান।