রবিবার, ১২ জানুয়ারি, ২০২৫  |   ২৭ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   ফরিদগঞ্জের লক্ষ্মীপুরে কিশোর গ্যাংয়ের হামলায় গুরুতর আহত ৩ : এলাকায় আতঙ্ক
  •   শিক্ষা খাতে নজিরবিহীন রদবদল: একযোগে চার বোর্ড চেয়ারম্যানকে ওএসডি
  •   মধ্যরাতের আতঙ্ক
  •   চীনা সেনাদের ভারতের অরুণাচলে অনুপ্রবেশ: বিতর্কিত অঞ্চল নিয়ে উত্তেজনা তুঙ্গে
  •   আপনার টাকা কোথায় গেল?

প্রকাশ : ২৬ নভেম্বর ২০২১, ০০:০০

শোকাহত তিন পরিবারের কান্না থামছে না
মোহাম্মদ মহিউদ্দিন ॥

কচুয়ায় সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৩ শিক্ষার্থীর পরিবারের সদস্যদের কান্না থামছে না। বৃহস্পতিবার ছিলো মাস্টার্স ও অনার্স প্রথম বর্ষের পরীক্ষা। সকাল ৭টার দিকে ৩ জনই কচুয়া বাইপাস সড়ক থেকে হাজীগঞ্জের উদ্দেশ্যে সিএনজি অটোরিকশাযোগে রওনা দেন। ভাগ্যের নির্মম পরিহাস। সিএনজি অটোরিকশা স্ট্যান্ড থেকে প্রায় ৫শ’ গজ দূরে বিপরীত দিক থেকে আসা ঢাকাগামী বিআরটিসি বাসের চাপায় সিএনজি অটোরিকশাটি দুমড়ে-মুচড়ে গেলে ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান তিন শিক্ষার্থী। এছাড়া আহত হয়েছেন সিএনজি অটোরিকশা চালক মনির হোসেন (৩৩) ও ইব্রাহীম (২৫) নামের এক যুবক। গুরুতর আহত চালক মনিরকে কুমিল্লা সরকারি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। আহত ইব্রাহীম কচুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

নিহত শিক্ষার্থীরা হচ্ছেন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজের মাস্টার্স পরীক্ষার্থী দোয়াটি গ্রামের রাজকুমারের কন্যা ঊর্মি মজুমদার (২৪) ও নিশ্চিন্তপুর গ্রামের আঃ মান্নানের পুত্র সাদ্দাম হোসেন (২৫)। অপর শিক্ষার্থী চাঁদপুর সরকারি কলেজের অনার্স প্রথম বর্ষের পরীক্ষার্থী উপজেলার কোয়া গ্রামের মফিজ সরদারের পুত্র রিফাত (২৪)। দুর্ঘটনার খবরটি মুহূর্তের মধ্যে ছড়িয়ে পড়লে এলাবাসী ও পরিবারের লোকজন কচুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এলাকায় ভিড় জমায়। পরিবারের সদস্যদের আর্তচিৎকারে হাসপাতাল চত্বর এলাকায় কান্নার রোল পড়ে।

ঊর্মি মজুমদারের ছোট ভাই শুভ বলেন, তিন বোন, এক ভাইয়ের মধ্যে দিদি দ্বিতীয়। প্রায় ৫ বছর পূর্বে আমার বাবা রাজকুমারের কুয়েতে সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়। ভাগ্যের নির্মম পরিহাস, বাবার মতো আজ দিদিও সড়ক দুর্ঘটনায় আমাদের ছেড়ে পরপারে চলে গেছেন। এ কথা বলতে বলতে ছোট ভাই শুভ কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন। আশপাশের লোকজন তাদের এ শোক সইতে না পেরে তারাও কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন।

নিহত শিক্ষার্থী সাদ্দামের চাচাতো ভাই উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক শাহজালাল প্রধান জালাল জানান, পাঁচ ভাই, দুই বোনের মধ্যে সাদ্দাম চতুর্থ। বৃহস্পতিবার সকালে সকলের কাছে দোয়া চেয়ে পরীক্ষা দিতে কুমিল্লার উদ্দেশ্যে রওনা হন। কিছুক্ষণ পর জানতে পারি সাদ্দাম আর বেঁচে নেই। এ খবর তার পরিবারের লোকজনের মাঝে এসে পৌঁছলে এলাকাজুড়ে শোকের ছায়া নেমে আসে।

অপরদিকে চাঁদপুর সরকারি কলেজের শিক্ষার্থী রিফাতের মৃত্যুর খবর উপজেলা সংলগ্ন কোয়া গ্রামের সরদার বাড়িতে পৌঁছলে পিতা মফিজ সরদার জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। জ্ঞান ফিরলে তিনি জানান, এক মেয়ে ও দুই ছেলের মধ্যে রিফাত দ্বিতীয় ছেলে ছিলো। ছেলেকে কতবার বললাম, বাড়ির সামনে কচুয়া বঙ্গবন্ধু সরকারি কলেজে ভর্তি হও। কিন্তু সে শুনলো না। আজ লাশ হয়ে বাড়ি ফিরলো। এ কথা বলেই তিনি আবারো জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়