রবিবার, ১২ জানুয়ারি, ২০২৫  |   ২২ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   ফরিদগঞ্জের লক্ষ্মীপুরে কিশোর গ্যাংয়ের হামলায় গুরুতর আহত ৩ : এলাকায় আতঙ্ক
  •   শিক্ষা খাতে নজিরবিহীন রদবদল: একযোগে চার বোর্ড চেয়ারম্যানকে ওএসডি
  •   মধ্যরাতের আতঙ্ক
  •   চীনা সেনাদের ভারতের অরুণাচলে অনুপ্রবেশ: বিতর্কিত অঞ্চল নিয়ে উত্তেজনা তুঙ্গে
  •   আপনার টাকা কোথায় গেল?

প্রকাশ : ২৪ নভেম্বর ২০২১, ০০:০০

চাঁদপুর জেনারেল হাসপাতালের চিকিৎসকসহ সকল স্টাফের তিন মাস বেতন বন্ধ
চাঁদপুর কণ্ঠ রিপোর্ট ॥

আড়াইশ’ শয্যা বিশিষ্ট চাঁদপুর জেনারেল হাসপাতালের চিকিৎসকসহ সকল স্টাফ তিন মাস যাবৎ কোনো বেতন ভাতা পাচ্ছেন না। তাদের বেতনভাতাদির একটা অংশে অংকের সংখ্যায় ভুল হওয়ার কারণে পুরো বেতনই এখন বন্ধ হয়ে আছে। অফিসিয়াল ভুলের কারণে এখন এর খেসারত দিতে হচ্ছে হাসপাতালের পুরো স্টাফকে। আর এ ভুলটা মন্ত্রণালয়ের। তিন মাস বেতন না হওয়ার কারণে হাসপাতালের তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীরা খুবই কষ্টে আছে। তারা এখন দোকাকে বাকি সদাইও পাচ্ছে না। তবে হাসপাতালের নবাগত তত্ত্বাবধায়ক এ বিষয়ে খুব আন্তরিকতার সাথে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। এ মাসেই এর একটা সমাধান হয়ে যাবে বলে তিনি এ প্রতিবেদককে আশ্বাস দেন।

গতকাল হাসপাতালের এক স্টাফ থেকে জানা গেলো তারা তিন মাস যাবত (সেপ্টেম্বর, অক্টোবর ও চলতি নভেম্বর) কোনো বেতন ভাতা পাচ্ছেন না। যার কারণে তারা এখন সংসার চালাতে খুবই হিমশিম খাচ্ছেন। কী কারণে বেতন বন্ধ হয়ে রইল তা জানতে চাইলে ওই স্টাফ পুরো বিষয়টি স্পষ্টভাবে না বলতে পারলেও এতটুকু আভাস দেন যে, তাদের বেতনের একটি অংশ কোনো একটা ভাতার অংকের সংখ্যায় কোনো কারণে ভুল হওয়ায় সেই ভাতার বরাদ্দ শেষ হয়ে যাওয়ায় এখন পুরো বেতনই বন্ধ হয়ে আছে।

বিষয়টি নিয়ে কথা হয় হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডাঃ একেএম মাহবুবুর রহমানের সাথে। তিনি পুরো বিষয়টি স্পষ্ট করলেন। তিনি জানান, সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী প্রত্যেকের বেতনের সাথে বাড়ি ভাড়া, চিকিৎসা ভাতাসহ আরো অন্যান্য ভাতা মিলে পুরো বেতনটা হয়। আর সে হিসেবেই প্রত্যেক অর্থ বছরে প্রতিটি প্রতিষ্ঠানের অনুকূলে অর্থ বরাদ্দ হয়। এ হাসপাতালেও একই নিয়মে বরাদ্দ ও বেতন হয়ে থাকে। এ ক্ষেত্রে যে ভুলটা হয়েছে, সেটা হলো- হাসপাতালের সকল স্টাফের চিকিৎসা ভাতা হিসেবে মোট যে অংক আসে, সেখানে শূন্য একটা বাদ পড়ে গেছে। যেমন ২০ লাখের জায়গায় ২ লাখ হয়ে গেছে। আর এ ভুলটি হয়েছে মন্ত্রণালয়ের। চলতি অর্থ বছরে এ ভুলটি হয়। এ দিকে সে ভুলের মধ্যেই চলেছে কয়েক মাসের বেতন। আর যখনই চিকিৎসা ভাতা খাতের বরাদ্দ শেষ হয়ে গেলো, তখনই পুরো বেতন আটকে গেলো। বেতন আটকে যাওয়ার পরই ভুলের বিষয়টি সংশ্লিষ্টদের নজরে আসে। এরই মধ্যে তিন মাস অতিক্রম হতে চলেছে। এ তিন মাস হাসপাতালের চিকিৎসকসহ সকল স্টাফের বেতন বন্ধ হয়ে আছে।

এদিকে এ বিষয়টি সুরাহার জন্যে বিগত তত্ত্বাবধায়কের সময় কী করা হয়েছে বা না করা হয়েছে, সেদিকে না গিয়ে বর্তমান তত্ত্বাবধায়ক ডাঃ মাহবুবুর রহমান খুব দ্রুত এটি নিয়ে কাজ করছেন বলে তিনি জানান। তিনি জানান, এ সংক্রান্ত ফাইল অধিদপ্তর থেকে মন্ত্রণালয়ে আছে এখন। আমি আজকে আমাদের একজন স্টাফ মন্ত্রণালয়ে পাঠাবো। আশা করি এ মাসের বাকি সময়ের মধ্যেই বিষয়টি সুরাহা হয়ে যাবে।

এদিকে বেতন না পাওয়ায় তিনটি মাস হাসপাতালের তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীরা খুবই কষ্টে দিন কাটাচ্ছে বলে অনেকেই এ প্রতিবেদককে জানান। তাদের এ বেতনের উপরই নির্ভর পুরো সংসার। এখন কোনো দোকানে তাদেরকে বাকিও দিচ্ছে না।

হাসপাতালের আরএমওসহ আরো কয়েকজন ডাক্তার বললেন, আমরা ডাক্তাররা হয়তো প্রাইভেট চেম্বার করার কারণে আমাদের এখনো খুব বেশি সমস্যায় পড়তে হয় না। কিন্তু কর্মচারীদের এই বেতনের উপরই তাদের সংসার। তারা খুব কষ্টে আছে। তিন মাস বেতন বন্ধ মানে তাদের জন্য অনেক বড় আর্থিক সংকট। অনেকেই ঋণ করেছে, দোকানে মাসিক বাকি সদাই কিনেছে। এখন তাও সম্ভব হচ্ছে না। তবে আশার কথা হচ্ছে, আমাদের বর্তমান তত্ত্বাবধায়ক ডাঃ একেএম মাহবুবুর রহমান এ বিষয়ে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়