রবিবার, ১২ জানুয়ারি, ২০২৫  |   ২২ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   ফরিদগঞ্জের লক্ষ্মীপুরে কিশোর গ্যাংয়ের হামলায় গুরুতর আহত ৩ : এলাকায় আতঙ্ক
  •   শিক্ষা খাতে নজিরবিহীন রদবদল: একযোগে চার বোর্ড চেয়ারম্যানকে ওএসডি
  •   মধ্যরাতের আতঙ্ক
  •   চীনা সেনাদের ভারতের অরুণাচলে অনুপ্রবেশ: বিতর্কিত অঞ্চল নিয়ে উত্তেজনা তুঙ্গে
  •   আপনার টাকা কোথায় গেল?

প্রকাশ : ২১ নভেম্বর ২০২১, ০০:০০

শাহরাস্তিতে সাংবাদিকপুত্রের অর্ধগলিত মৃতদেহ উদ্ধার ॥ এলাকায় তোলপাড়
মোঃ মঈনুল ইসলাম কাজল ॥

দৈনিক ইত্তেফাকের শাহরাস্তি উপজেলা প্রতিনিধি মোঃ জসিম উদ্দনের ছেলে রিমন হোসেন জনির অর্ধগলিত মৃতদেহ বাড়ির ডোবা থেকে উদ্ধার করেছে শাহরাস্তি থানা পুলিশ। গতকাল ২০ নভেম্বর বেলা সাড়ে ৩টায় বাড়ির লোকজন ডোবায় ঔষধ দিতে গিয়ে অর্ধগলিত মরদেহ দেখতে পায়। তারা তৎক্ষণিক শাহরাস্তি থানাকে অবহিত করলে শাহরাস্তি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ আঃ মান্নান ঘটনাস্থলে গিয়ে মৃতদেহ উদ্ধার করেন। সন্ধ্যায় মৃতদেহ উদ্ধার করার পর জসিম উদ্দিনের বড় মেয়ে রিসনাত জাহান জুমু মানিব্যাগ দেখে তার ভাইয়ের মৃতদেহ শনাক্ত করেন।

ঘটনার বিবরণে জানা যায়, শাহরাস্তি উপজেলার শোরসাক এলাকার ইব্রাহীম মিজি বাড়ির সাংবাদিক জসিম উদ্দিনের ছেলে সূচিপাড়া ডিগ্রি কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র রিমন হোসেন জনি গত ২ নভেম্বর থেকে নিখোঁজ থাকে। পারিবারিকভাবে বিভিন্ন স্থানে খোঁজ-খবর নেয়ার পর গত ১৮ নভেম্বর শাহরাস্তি থানায় সাংবাদিক জসিম উদ্দিন নিখোঁজ ডায়েরি করেন। ডায়েরি করার দু’দিনের মাথায় তার মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। ঘটনার পর পুলিশ ধারণা করছেন তাকে হত্যা করা হয়েছে। তবে কী কারণে তাকে হত্যা করা হয়েছে সে বিষয়ে নিশ্চিত হতে পারেনি পুলিশ। হত্যার রহস্য উদ্ঘাটনের জন্যে পুলিশের পক্ষ থেকে তদন্ত অব্যাহত রয়েছে।

সাংবাদিক জসিম উদ্দিন জানান, তার ছেলে গত ২ নভেম্বর থেকে নিখোঁজ রয়েছে। পারিবারিকভাবে বিভিন্ন স্থানে তার খোঁজ নেয়া হয়েছে। করোনাকালে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় ছিখটিয়া এলাকায় রিভারভিউ কফি হাউজে তাকে কাজ করতে দেয়া হয়। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে যাওয়ার পর সেই চাকুরি ছেড়ে জনি আবার কলেজমুখী হয়। গত ৩০ অক্টোবর জনি কলেজে যায়। জাসিম উদ্দিন ও জনির কারো সাথে কোনো শত্রুতা নেই বলেও তিনি জানান।

জসিম উদ্দিনের বড় মেয়ে রেসানাত জাহান জুমু জানান, মৃতদেহটি তার ভাইয়ের। জিন্সপ্যান্ট পরণে থাকায় ও ম্যাটিব্যাগে তার মৃত মায়ের ছবি থাকায় জনিকে শনাক্ত করতে বেগ পেতে হয়নি তার।

শাহরাস্তি থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আঃ মান্নান বলেন, আমরা জিডি পেয়ে সকল থানাকে অবহিত করেছি। মৃতদেহের সংবাদ পেয়ে তাৎক্ষণিক ঘটনারস্থলে পৌঁছে লাশ উদ্ধার করেছি। সাংবাদিক জসিম উদ্দিন ও তার মেয়ে মৃতদেহটি শনাক্ত করেন। মেডিকেল রিপোর্ট আসলে কী কারণে তার মৃত্যু হয়েছে জানা যাবে।

উল্লেখ্য, সাংবাদিক জসিম উদ্দিনের স্ত্রী রেহানা বেগম দুরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত হয়ে প্রায় ৯ বছর পূর্বে ইন্তেকাল করেন। সেই ঘরে রিমন হোসেন জনি ও রেসনাত জাহান জুমু নামের দুই সন্তান। এরপর জসিম উদ্দিন আবারো বিবাহ করেন। এই সংসারে তার দুই সন্তান রয়েছে।

মৃতদেহ উদ্ধারের সংবাদ শুনে ঘটনাস্থলে হাজার হাজার মানুষ ভিড় জমায়। এলাকাবাসী এ হত্যাকা-ের সুষ্ঠু ও দৃষ্টান্তমূলক শান্তি দাবি করেন। পুলিশ জনির মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য প্রেরণের প্রস্তুতি নিচ্ছে।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়