রবিবার, ১২ জানুয়ারি, ২০২৫  |   ২৯ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   ফরিদগঞ্জের লক্ষ্মীপুরে কিশোর গ্যাংয়ের হামলায় গুরুতর আহত ৩ : এলাকায় আতঙ্ক
  •   শিক্ষা খাতে নজিরবিহীন রদবদল: একযোগে চার বোর্ড চেয়ারম্যানকে ওএসডি
  •   মধ্যরাতের আতঙ্ক
  •   চীনা সেনাদের ভারতের অরুণাচলে অনুপ্রবেশ: বিতর্কিত অঞ্চল নিয়ে উত্তেজনা তুঙ্গে
  •   আপনার টাকা কোথায় গেল?

প্রকাশ : ২০ নভেম্বর ২০২১, ০০:০০

জনসচেতনতার লক্ষ্যে নদী ও সড়কপথে এবং পানিতে ডুবে মৃত্যু রোধে সিভিল সার্জনের কর্মশালা
মোঃ আবদুর রহমান গাজী ॥

জনসচেতনা সৃষ্টির লক্ষ্যে নদী ও সড়ক পথে নিরাপত্তা এবং পানিতে ডুবে মৃত্যু রোধে নিরাপত্তা বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ১৭ নভেম্বর বুধবার সকাল ১১টায় সিভিল সার্জন অফিসের সভাকক্ষে এ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। এতে অংশ নেন চিকিৎসক, জনপ্রতিনিধি, মসজিদের ইমাম, শিক্ষক ও গণমাধ্যম কর্মীরা।

জেলা সিভিল সার্জন (ভারপ্রাপ্ত) ডাঃ গোলাম কাওছার হিমেলের সভাপতিত্বে কর্মশালার মূল বিষয় নিয়ে বক্তব্য রাখেন ফরিদগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ আশরাফ আহম্মেদ চৌধুরী। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সিভিল সার্জন কার্যালয়ের মেডিকেল অফিসার ডাঃ ইছা রুহুল্লাহ।

অনুষ্ঠান সঞ্চলনা করেন সিভিল সার্জন কার্যালয়ের স্বাস্থ্য ও শিক্ষা অফিসার মোঃ ইউসুফ। পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত করেন আহসান হাবিব। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন চাঁদপুর পৌরসভার সচিব মোঃ আবুল কালাম আজাদ, হাসান আলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ইসমত আরা সাফি বন্যা, বিষ্ণুদী আজিমিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ রফিকুল ইসলাম প্রমুখ।

কর্মশালায় বক্তারা বলেন, জনসচেতনতা একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। সকল কাজেই নিয়ম-নীতি আছে। নিয়ম মেনে চললে অনাকাক্সিক্ষত ঘটনা থেকে নিজেকে সেভ করা যায়। আমাদের চারপাশে অসাবধানতার কারণে ছোট বাচ্চারা পানিতে ডুবে মারা যায়। এদের রোধ করতে মূলত সচেতনতাই বড় হাতিয়ার। সমাজে আমি এবং আমার চারপাশের মানুষকে নিয়েই চিন্তা করতে হবে। সম্মিলিতভাবে ভালো কাজ করলে মানুষ অনেক দূর পৌঁছতে পারে। বক্তারা আরো বলেন, কোভিড-১৯ একটি সংক্রমণ রোগ। এই রোগটি প্রতিরোধের নির্ভরযোগ্য মাধ্যম হলো জনসচেতনতা। সংক্রমিত রোগটি প্রতিরোধে দরকার ২ ধরনের পদ্ধতি। এক হলো নিজেকে অন্যের থেকে আড়াল করা এবং অপরটি হলো নিয়মিত মাস্ক পরা। হাঁচি, কাশি রোধে তাৎক্ষণিক প্রতিষেধক গ্রহণ করা। বর্তমান কোভিড-১৯ প্রতিরোধের একমাত্র গ্রহণযোগ্য মাধ্যম হলো টিকা গ্রহণ করা। ভ্যাকসিন নেয়ার ক্ষেত্রে আগে শারীরিক বিষয়টা গুরুত্ব দিবেন। ভ্যাকসিন নিলে শারীরিক রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। আপনারা যে ভ্যারিয়েন্টের টিকার প্রথম ডোজ দিবেন, অবশ্যাই দ্বিতীয় ডোজ সেই ভ্যারিয়েন্টের দিবেন। উপজেলা পর্যায়ে ফাইজার ভ্যাকসিন দেয়া হবে না। কারণ, এই টিকার মান ধরে রাখতে উপযুক্ত পরিবেশ বজায় রাখতে হয়। আপনারা যারা বিদেশগামী আছেন তারা অবশ্যাই যে দেশে যাবেন ঐ দেশে কোনো ভ্যারিয়েন্টের টিকা গ্রহণযোগ্য তা জেনে আপনারা নিবেন।

এ কর্মশালার আয়োজনে ছিলো লাইফস্টাইল, হেলথ এডুকেশন এন্ড প্রোমোশন, স্বাস্থ্য শিক্ষা ব্যুরো, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়। বাস্তবায়নে ছিলো সিভিল সার্জন কার্যালয়, চাঁদপুর।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়