রবিবার, ১২ জানুয়ারি, ২০২৫  |   ২৭ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   ফরিদগঞ্জের লক্ষ্মীপুরে কিশোর গ্যাংয়ের হামলায় গুরুতর আহত ৩ : এলাকায় আতঙ্ক
  •   শিক্ষা খাতে নজিরবিহীন রদবদল: একযোগে চার বোর্ড চেয়ারম্যানকে ওএসডি
  •   মধ্যরাতের আতঙ্ক
  •   চীনা সেনাদের ভারতের অরুণাচলে অনুপ্রবেশ: বিতর্কিত অঞ্চল নিয়ে উত্তেজনা তুঙ্গে
  •   আপনার টাকা কোথায় গেল?

প্রকাশ : ২০ নভেম্বর ২০২১, ০০:০০

মসজিদের সামনে মা’র ফেলে যাওয়া সেই শিশুটিকে নিয়ে গেলেন বাবা

মসজিদের সামনে মা’র ফেলে যাওয়া সেই শিশুটিকে  নিয়ে গেলেন বাবা
কামরুজ্জামান টুটুল ॥

জরুরি সেবা ৯৯৯ নাম্বারে ফোন পেয়ে হাজীগঞ্জ থানা অজ্ঞাত মেয়ে শিশু (২)কে উদ্ধার করে মঙ্গলবার সন্ধ্যার পরে। হাজীগঞ্জ ঐতিহাসিক বড় মসজিদের সামনে থেকে পুলিশ শিশুটিকে উদ্ধার করে উপজেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের কর্মকর্তা জসিম উদ্দিনের কাছে রাখে। শুক্রবার দুপুরে উপজেলা নির্বাহী মোমেনা আক্তার শিশুটির পরিচয় নিশ্চিত হয়ে তার বাবা রাজমিস্ত্রী আজাদ হোসেনের কাছে শিশুটিকে বুঝিয়ে দেন। শিশুটির বাড়ি হাজীগঞ্জের সীমান্তবর্তী গ্রাম লক্ষ্মীপুর জেলার রামগঞ্জ উপজেলার জয়পুরা গ্রামের পুরানবাড়ি। তবে শিশুটি শাহরাস্তি উপজেলার পাথৈর গ্রামের মায়ের সাথে নানার বাড়িতে থাকতো। আয়েশা সিদ্দিকা নামের হতভাগ্য শিশুটির মায়ের নাম জান্নাতুল ফেরদৌস মিতু। শিশুটিকে উদ্ধারের বিষয়ে মঙ্গলবার রাতে চাঁদপুর কণ্ঠের অনলাইন ও প্রিন্ট ভার্সনে সংবাদ প্রকাশিত হয়।

উপজেলা ই-সেন্টারে শিশুটিকে বাবার কাছে হস্তান্তরকালে আরো উপস্থিত ছিলেন দাদা, নানী ও শিশুটির দাদা ও নানার এলাকার ইউপি সদস্য জাহাঙ্গীর আলম ও শিল্পী বেগম।

শিশুটির বাবা আজাদ হোসেন জানান, চার বছর আগে তার সাথে মোবাইলে প্রেম হয় মিতুর। এক বছর প্রেমের পর বিয়ে হয় তাদের। বিয়ের এক বছর পর তাদের সংসারে জন্ম নেয় আয়েশা। কী কারণে আয়শাকে মসজিদের সামনে রেখে যায় তার মা তা আমি জানি না, তবে এ বিষয়ে আমি আইনী ব্যবস্থা নেবো।

আজাদ হোসেন আরো জানান, গত ৫/৬ মাস ধরে তাদের স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বনিবনা না হওয়ার কারণে স্ত্রী মিতু শাহরাস্তিতে বাবার বাড়িতে থাকতে শুরু করে। হঠাৎ করে গত মঙ্গলবার থেকে মিতুর মোবাইল নম্বর বন্ধ পাওয়া যায়। গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় এলাকাবাসী আমাকে জানায়, বিভিন্ন পত্রিকায় ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তারা আমার মেয়ের ছবি দেখতে পায় ও মেয়েটি হাজীগঞ্জ থানায় রয়েছে। এরপরেই আমি মেয়েকে পাওয়ার জন্যে যোগাযোগ শুরু করি।

হাজীগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক প্রভাকর বড়ুয়া জানান, শিশুটিকে তার পরিবারের কাছে তুলে দিতে পেরে আমরা আনন্দিত।

হাজীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোমেনা আক্তার বলেন, সমাজসেবা কর্মকর্তাসহ আমরা শিশুটিকে চট্টগ্রামের ছোটমনি নিবাসে পাঠানোর সকল প্রস্তুতি নেয়ার পর তার পরিবারের সন্ধান পাই। পরে হাজীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ হারুনুর রশিদের তদন্ত শেষে শিশুর পরিবারের পরিচয় নিশ্চিত হয়ে শিশুটির বাবার কাছে শিশুটিকে বুঝিয়ে দেয়া হয়।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়