প্রকাশ : ১৭ নভেম্বর ২০২১, ০০:০০
হাইমচরের ২ ইউপিতে নৌকা প্রতীক পাওয়ার আশায় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন ফরম জমা দিয়েছেন ১১ জন চেয়ারম্যান প্রার্থী। মঙ্গলবার বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ফরম সংগ্রহ করে জমা দেন এ সকল প্রার্থী।
জানা যায়, হাইমচর উপজেলার ৩নং আলগী দুর্গাপুর দক্ষিণ ও ৫নং হাইমচর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে একাধিক সম্ভাব্য চেয়ারম্যান প্রার্থী দলীয় মনোনয়নের প্রত্যাশায় আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয় হতে ফরম সংগ্রহ করেন। ফরম জমা দেয়ার শেষ দিন মঙ্গলবার আলগী দক্ষিণ ইউনিয়নে ৮ জন ও ৫নং হাইমচর ইউনিয়নে ৩ জন মনোনয়ন ফরম জমা দেন।
নির্বাচন কমিশন (সিইসি) অফিস সূত্রে জানা যায়, গত ১০ নভেম্বর ৪র্থ দফায় এই উপজেলার মোট ২টি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয়। আগামী ২৩ ডিসেম্বর ওই সব ইউনিয়নের ভোটগ্রহণের তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে।
উপজেলার প্রত্যেক ইউনিয়নে বর্তমান চেয়ারম্যান এবং গত নির্বাচনে পরাজিত ও বিদ্রোহী প্রার্থীসহ দলীয় একাধিক নেতা দলের সদস্য ফরম সংগ্রহ করেন। তবে উপজেলা আওয়ামী লীগ বর্ধিত সভা করে তৃণমূলের নেতা-কর্মীদের প্রস্তাব সমর্থনের আলোকে ৩নং আলগী দুর্গাপুর দক্ষিণ ইউনিয়ন ৮ জন ও ৫নং হাইমচর ইউনিয়নে ৩ জনের নাম প্রস্তাব করা হয়। ২ ইউনিয়নের মোট ১১ জন দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশীর নাম জেলা কমিটিতে পাঠানো হয়েছে। ওই তালিকাই জেলা কমিটি কেন্দ্রীয় কমিটির কাছে প্রেরণ করে। দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশীরা অধীর অপেক্ষায় প্রহর গুনছে।
দলের একাধিক সূত্রে জানা যায়, এবার দলীয় মনোনয়ন পেতে অনেক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে। যারা অতীতের নির্বাচনে নৌকার পক্ষে কাজ না করে বিদ্রোহী প্রার্থীর পক্ষ নিয়ে কাজ করেছেন, যারা বিদ্রোহী প্রার্থীর পক্ষে গোপনে কলকাঠি নেড়ে নৌকাকে ডুবাতে উঠে পড়ে লেগেছিল তাদের বায়োডাটা ও আমলনামা সংগ্রহ চলছে। এছাড়া বিগত নির্বাচনে বিদ্রোহী প্রার্থী হয়ে যারা বিজয়ী হয়েছিলেন তারা দলীয় মনোনয়ন পাবেন কি-না সে বিষয়ে কেন্দ্রীয় কমিটির বৈঠকে সিদ্ধান্ত আসতে পারে।
যারা আওয়ামী লীগের ভেতরে থেকে বিএনপি-জামাত জোটের প্রার্থীদের পক্ষে গোপনে সহযোগিতা ও প্রার্থিতা করার ইন্দন দিয়ে আসছে তাদের চিহ্নিতকরণ প্রক্রিয়া এবং তাদের বিরুদ্ধে কঠোর সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হতে পারে বলে একাধিক সূত্রে জানা যায়।
তৃণমূল নেতা-কর্মীদের দাবি, জনপ্রিয়তা দেখেই যেন নৌকার মনোনয়ন দেয়া হয়। যে প্রার্থীর কাছে দল ও দলের নেতা-কর্মীরা নিরাপদ থাকে, যার ডাকে হাজারো নেতা-কর্মী মাঠে নেমে আসে তাকেই তারা নৌকার প্রার্থী হিসেবে দেখতে চান।