প্রকাশ : ০৫ জুলাই ২০২১, ০০:০০
সাহেদা সুলতানা নোয়াখালী জেলার চাটখিল উপজেলার মোহাম্মদপুর এলাকার দুলামিয়া পাটোয়ারী বাড়ির সন্তান। দীর্ঘদিন তিনি থাইল্যান্ডে আছেন। সেখানে লেখাপড়ার পাশাপাশি দেশীয় সংস্কৃতি নিয়ে কাজ করছেন। সম্প্রতি তিনি চাঁদপুর কণ্ঠের সাক্ষাৎকার পর্বের মুখোমুখি হন। তার সাক্ষাৎকার নেন জাহাঙ্গীর আলম হৃদয়।
চাঁদপুর কণ্ঠ : প্রবাসে কতোদিন আছেন, কী করছেন, কেমন কাটছে সময়?
সাহেদা সুলতানা : আমি দীর্ঘদিন ধরে থাইল্যান্ডে আছি, লেখাপড়ার পাশাপাশি দেশীয় সংস্কৃতি তুলে ধরার চেষ্টা করছি। আলহামদুলিল্লাহ বেশ ভালো সময় কাটছে।
চাঁদপুর কণ্ঠ : বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে আপনার অনুভূতি কেমন?
সাহেদা সুলতানা : আমি জন্মের পরে দেশের মুক্তিযুদ্ধ কি তা-ই এক সময় জানতাম না। তবে শিক্ষার্থী হিসেবে এবং বাবা-মা, চাচার মুখে ১৯৭১ সালের ৯ মাস যুদ্ধের করুণ ইতিহাস জেনেছি। আজ বাংলাদেশ ৫০ বছর শেষ করে ৫১ বছরে পা রেখেছে এটি সত্যিই আনন্দের।
চাঁদপুর কণ্ঠ : আপনার দৃষ্টিতে স্বদেশের উন্নতি-অগ্রগতি কতোটুকু হয়েছে?
সাহেদা সুলতানা : আমি থাইল্যান্ড থাকি, সেখানে বসেও নিজ দেশের উন্নয়ন অগ্রগতি যথেষ্ট হচ্ছে দেখে ভালো লাগছে। প্রবাসে থেকে রেমিট্যান্স দিয়ে হলেও দেশের উন্নয়ন-অগ্রগতিতে সাথে থাকতে পারছি। স্বদেশের উন্নতি-অগ্রগতি ধরে রাখতে হলে অতীতকে ভুলে গিয়ে আগামীর লক্ষ্যে এগিয়ে যেতে হবে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সেই চেষ্টাই করছেন।
চাঁদপুর কণ্ঠ : দেশকে নিয়ে আপনার কোনো কষ্ট-বেদনা-অতৃপ্তি আছে কি?
সাহেদা সুলতানা : দেশকে নিয়ে কোনো কষ্ট-বেদনা-অতৃপ্তি নেই, কারণ বাংলাদেশ এখন অন্য দেশের জন্যে উন্নয়নের রোল মডেল। নিজস্ব গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ।
চাঁদপুর কণ্ঠ : সকলের উদ্দেশ্যে আপনার পছন্দের কিছু কথা বলুন।
সাহেদা সুলতানা : এই দেশ তোমার, এই দেশ আমার, এই দেশ আমাদের সবার, সেই দেশকে এগিয়ে নিতে আসুন কাজ করি সবাই। অশেষ ধন্যবাদ জানাই দৈনিক চাঁদপুর কণ্ঠ পরিবারের সবাইকে। স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে একজন প্রবাসী বাংলাদেশী নারী হিসাবে আমার মনের ভাব প্রকাশ করার সুযোগ করে দেয়ার জন্য। সকলের জন্য শুভ কামনা।