প্রকাশ : ০৩ জুলাই ২০২১, ০০:০০
নূরুল আমিনকে পারিবারিক গোরস্থানে দাফন ॥ কোমায় স্ত্রী কামরুন্নাহার
দুর্বৃত্তদের হাতে খুন হওয়া শাহরাস্তির নূরুল আমিনের মরদেহ ময়নাতদন্ত শেষে পারিবারিক গোরস্তানে সমাহিত করা হয়েছে। গতকাল ২ জুলাই সকালে পুলিশ নূরুল আমিনের মৃতদেহ ময়না তদন্তের জন্যে চাঁদপুর প্রেরণ করে। ময়না তদন্ত শেষে বিকেল ৫টায় নুরুল আমিনের মরদেহ তার নিজ বাড়িতে নিয়ে আসা হয়। বাদ আসর নাওড়া পাটওয়ারী বাড়ি জামে মসজিদে জানাজা শেষে পারিবারিক গোরস্তানে মরহুমকে সমাহিত করা হয়। নাওড়া পাটওয়ারী বাড়ি জামে মসজিদের সাধারণ সম্পাদক নূরুল আমিনকে এলাকাবাসী শেষ বিদায় জানায়। মা-বাবার এ করুণ পরিণতি সামাল দিতে তাদের চার সন্তান দিশেহারা হয়ে পড়েছেন। একদিকে বাবার লাশ অপর দিকে হাসপাতালের আইসিইউতে মা মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ায় তারা তাদের জীবনের এক ক্লান্তিকাল অতিক্রম করতে হচ্ছে। গত ১ জুলাই কামরুন্নাহারকে মুমূর্ষু অবস্থায় উদ্ধার করার পর দ্রুত ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। প্রথমে সিটের ব্যবস্থা করা না গেলেও পরবর্তীতে স্থানীয় সংসদ সদস্য মেজর (অবঃ) রফিকুল ইসলাম বীর উত্তমের আন্তরিক সহযোগিতায় আইসিইউর ব্যবস্থা করা হয়। গতকাল ২ জুলাই তাকে আইসিইউতে স্থানান্তর করা হয়।
|আরো খবর
নূরুল আমিনের ছেলে জাকারিয়া বাবু জানান, তার মায়ের অবস্থা সঙ্কটাপন্ন, তার এখনো জ্ঞান ফিরেনি। তিনি জানান, এমপি মহোদয়ের আন্তরিক প্রচেষ্টায় আইসিইউর ব্যবস্থা হয়েছে। তিনি প্রতিটি মুহূর্তে খোঁজ-খবর রাখছেন। এদিকে গত ১ জুলাই রাতে নুরুল আমিনের ছেলে বাদী হয়ে শাহরাস্তি থানায় মামলা দায়ের করেন। পুলিশ ঘটনার রহস্য উদ্ঘাটনে তাদের প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে।
নাওড়া গ্রামে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, নুরুল আমিন সমাজের একজন সম্মানিত ব্যক্তি ছিলেন। কখনোই কারো সাথে তার বিরোধ ছিলো না। তার এ পরিণতির জন্য এলাকাবাসীর মাঝে শোকের ছায়া বিরাজ করছে।