প্রকাশ : ০৫ অক্টোবর ২০২১, ০০:০০
বর্ধিত সভায় কেন্দ্রীয় নেতাদের মতামত
জেলা আওয়ামী লীগের কমিটিতে শূন্য পদ এককভাবে পূরণ করে নেয়াটা এখতিয়ার বহির্ভূত, সিদ্ধান্ত দিবে সভানেত্রী
চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগের বর্তমান কমিটিতে শূন্য চারটি পদ যে প্রক্রিয়ায় পূরণ করা হয়েছে, তা নিয়ম বহির্ভূত। জেলার দু’ একজন নেতা একক সিদ্ধান্ত নিয়ে এটা করতে পারেন না। এটা তাঁদের এখতিয়ার বহির্ভূত। এ ব্যাপারে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনার সাথে আলোচনা করা হবে। তিনি এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত দিবেন। রোববার চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভায় এমন মতামত ব্যক্ত করেছেন দলের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ।
|আরো খবর
উল্লেখ্য, চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগের বর্তমান কমিটি যখন কেন্দ্র থেকে অনুমোদন হয়ে আসে, তখন কোষাধ্যক্ষ তথা অর্থ সম্পাদকসহ চারটি পদ শূন্য ছিল। চারটি পদ শূন্য রেখে ৭১ সদস্যের কমিটি অনুমোদন দেয়া হয়। কিন্তু পরবর্তীতে জেলা আওয়ামী লীগের শীর্ষ দু’একজন নেতা নিজেরাই এককভাবে সিদ্ধান্ত নিয়ে ওই চারটি পদে নেতা মনোনীত করে নেন। গঠনতন্ত্র অনুযায়ী নিয়ম হচ্ছে- সুনির্দিষ্ট এজেন্ডা এনে বর্ধিত সভা আহ্বান করবে। বর্ধিত সভায় শূন্য পদসহ নাম প্রস্তাব আকারে উপস্থাপন করে তা সর্বসম্মতিক্রমে অনুমোদন হওয়ার পর কেন্দ্রে পাঠানো হবে। এরপর সভানেত্রী তা অনুমোদন করবেন। কিন্তু শূন্য চারটি পদ পূরণের ক্ষেত্রে এসব নিয়মের কোনোটাই করা হয়নি। এটি নিয়ে নিজেদের মধ্যে অনেকদিন যাবত ব্যাপক আলোচনা চলছে। অভিযোগ রয়েছে, বর্তমান জেলা কমিটির শীর্ষ এক নেতা মোটা অংকের অর্থের বিনিময়ে অর্থসম্পাদকসহ চারটি পদে নিজের পছন্দের লোক মনোনীত করেন। এটা নিয়ে জেলা আওয়ামী লীগের ভেতরে দীর্ঘদিন যাবত তীব্র অসন্তোষ ছিল।
গত রোববার বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের চট্টগ্রাম বিভাগীয় টিমের চাঁদপুর সফর উপলক্ষে জেলা আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভা অনুষ্ঠিত হয়। চাঁদপুর সার্কিট হাউজে এই বর্ধিত সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ এমপি। বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শিক্ষামন্ত্রী ডাঃ দীপু মনি এমপি। প্রধান বক্তা ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এবং জাতীয় সংসদের হুইপ আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন। এই বর্ধিত সভায় চারটি শূন্য পদ পূরণের বিষয়টি উঠে আসে। তখন সাংগঠনিক সম্পাদক স্বপন বলেন, এটা জেলার নেতারা এভাবে করতে পারেন না। এটা তাদের এখতিয়ার বহির্ভূত। তবে যেহেতু অভিযোগটি শীর্ষ নেতাদের বিষয়ে, তাই এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত দিবেন আমাদের নেত্রী তথা বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা। এ বিষয়ে আমরা তাঁর সাথে কথা বলবো। বর্ধিত সভায় উপস্থিত ছিলেন এমন একাধিক নেতা থেকে এ বিষয়টি জানা গেছে।