শনিবার, ১১ জানুয়ারি, ২০২৫  |   ২৬ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   ফরিদগঞ্জের লক্ষ্মীপুরে কিশোর গ্যাংয়ের হামলায় গুরুতর আহত ৩ : এলাকায় আতঙ্ক
  •   শিক্ষা খাতে নজিরবিহীন রদবদল: একযোগে চার বোর্ড চেয়ারম্যানকে ওএসডি
  •   মধ্যরাতের আতঙ্ক
  •   চীনা সেনাদের ভারতের অরুণাচলে অনুপ্রবেশ: বিতর্কিত অঞ্চল নিয়ে উত্তেজনা তুঙ্গে
  •   আপনার টাকা কোথায় গেল?

প্রকাশ : ০১ অক্টোবর ২০২১, ০০:০০

কচুয়ার গৌরাঙ্গ হত্যা মামলায় দু সহোদরের যাবজ্জীবন

কচুয়ার গৌরাঙ্গ হত্যা মামলায় দু সহোদরের যাবজ্জীবন
চৌধুরী ইয়াসিন ইকরাম ॥

কচুয়া উপজেলার পলাশপুরে সম্পত্তিগত বিরোধে গৌরাঙ্গ দেবনাথকে (৬০) হত্যার দায়ে জীবন দেবনাথ (৪৩) ও হারাধন দেবনাথ (৩৮) নামে দুই সহোদরকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড একই সাথে ১০ হাজার টাকা জরিমানা এবং অনাদায়ে আরও ৬ মাসের কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। গতকাল বৃহস্পতিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) বিকেলে চাঁদপুরের জেলা ও দায়রা জজ এসএম জিয়াউর রহমান এ রায় দেন।

হত্যার শিকার গৌরাঙ্গ দেবনাথ কচুয়া উপজেলার পলাশপুর গ্রামের দেবনাথ বাড়ির বাসিন্দা। যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত জীবন দেবনাথ ও হারাধন দেবনাথ একই বাড়ির জগদীশ দেবনাথের ছেলে।

মামলার বিবরণ থেকে জানা যায়, ২০১৪ সালের ৭ আগস্ট দুপুর দেড়টার দিকে দেবনাথ বাড়িতে জীবন দেবনাথ ও হারাধন দেবনাথসহ তাদের পরিবারের লোকজন চলাচলের রাস্তায় বেড়া দিতে যায়। তখন একই বাড়ির গৌরাঙ্গ দেবনাথ, শংকর দেবনাথ ও জ্যোৎস্না বাধা দিতে গেলে তাদের সাথে তর্ক-বিতর্ক হয়। এক পর্যায়ে প্রতিপক্ষ জীবন দেবনাথ ও হারাধন দেবনাথ তাদের হাতে থাকা লোহার শাবল ও বাঁশের লাঠি দিয়ে গৌরাঙ্গ দেবনাথসহ ৩ জনকে আক্রমণ করে। ৩ জনই গুরুতর আহত হন। এর মধ্যে মাথায় আঘাতপ্রাপ্ত ও রক্তাক্ত জখম হন গৌরাঙ্গ দেবনাথ। তাকে ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে প্রথমে কচুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তার অবস্থা আশঙ্কাজনক দেখে চিকিৎসক তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করেন। ঢাকা নেয়ার পথে রাত ৮টার দিকে তিনি মারা যান।

এ ঘটনায় ওইদিন রাতেই গৌরাঙ্গ দেবনাথের ছেলে দুলাল দেবনাথ কচুয়া থানায় জীবন দেবনাথ, হারাধন দেবনাথ, শীতল দেবনাথ, জগদিশ দেবনাথ, পুতুল ও শিখা রাণী দেবনাথকে আসামী করে হত্যা মামলা দায়ের করেন।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা তৎকালীন কচুয়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মোঃ ছাদেকুর রহমান মামলাটি তদন্ত শেষে ওই বছরের ৫ নভেম্বর আদালতে চার্জশীট দাখিল করেন।

সরকার পক্ষের আইনজীবী পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) রণজিৎ রায় চৌধুরী জানান, মামলাটি প্রায় ৮ বছর চলাকালে ১৪ জন সাক্ষীর মধ্যে ১৩ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করে আদালত। সাক্ষ্যগ্রহণ ও মামলার নথিপত্র পর্যালোচনা করে আসামী জীবন ও হারাধনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড একই সাথে ১০ হাজার টাকা জরিমানা এবং অনাদায়ে আরো ৬ মাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন। বাকি ৪ আসামী শীতল দেবনাথ, জগদিশ দেবনাথ, পুতুল ও শিখা রাণী দেবনাথের অপরাধ প্রমাণিত না হওয়ায় মামলা থেকে তাদেরকে অব্যাহতি দেয়া হয়। রায়ের সময় আসামী জীবন দেবনাথ পলাতক এবং হারাধন আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

মামলায় আসামী পক্ষের আইনজীবী ছিলেন অ্যাডঃ মোঃ শফিকুল ইসলাম ভূঁইয়া।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়