শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১, ১৬ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬  |   ৩৬ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   দিনমজুরকে জবাই করে হত্যা, ৪৪ দিন পর লাশ উত্তোলন
  •   অবশেষে চাঁসক সহকারী অধ্যাপক কামরুল হাছানকে বদলি
  •   নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করে সড়কের ওপর ভবন নির্মাণের অভিযোগ
  •   বাবা মায়ের উপর ছেলেদের নৃশংসতা ।। বৃদ্ধ বাবার থানায় অভিযোগ
  •   ফিরে এলেন আগের খতিব, নামাজের আগে নাটকীয়তা বায়তুল মোকাররমে

প্রকাশ : ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০০:০০

বৃষ্টিতে জনজীবন স্থবির

অনলাইন ডেস্ক
বৃষ্টিতে জনজীবন স্থবির

চাঁদপুরে গত কয়েকদিন ধরে থেমে থেমে বৃষ্টি হচ্ছে। তবে গত চব্বিশ ঘণ্টায় হয়েছে কয়েক দফা মুষলধারে বৃষ্টি। একই সঙ্গে বাতাসের তীব্রতাও বেড়েছে। টানা বৃষ্টির কারণে জনজীবন অনেকটা স্থবির হয়ে পড়েছে। ১৪ সেপ্টেম্বর শনিবার সকাল থেকে বৃষ্টির কারণে সড়কে মানুষের চলাচল কমে যায়। তবে কিছু কিছু হকার, রিকশাচালক ও শ্রমিকরা বাসা থেকে বের হয়েছেন। ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোও সকাল ১০টার পরে খুলেছে।

চাঁদপুর সদরের অটোরিকশা চালক নুরুল ইসলাম বলেন, সকালে ভাড়া নিয়ে রামপুর ইউনিয়নের রাড়িরচর এসেছি। এখন বৃষ্টির কারণে কোনো দিকে যেতে পারছি না। অনেক অটোরিকশা চালক বৃষ্টির কারণে ঘর থেকেও বের হতে পারছেন না।

চাঁদপুর সদর উপজেলার বাগাদী ইউনিয়নের বাসিন্দা আলম মিয়া বলেন, চাঁদপুর সেচ প্রকল্প এলাকায় এর আগে টানা বৃষ্টিতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়। কিছুদিন বৃষ্টি কম থাকায় পানি ঘর থেকে নেমে যায়। এখন আবার আগের অবস্থা তৈরি হচ্ছে।

চাঁদপুর শহরের পুরাণবাজার বাণিজ্যিক এলাকার বাসিন্দা মাহমুদুল আহসান বলেন, সকাল থেকে মুষলধারে বৃষ্টি। দুপুর হলেও অনেকেই ঘর থেকে বের হতে পারছেন না। টানা বৃষ্টিতে জনজীবন অনেকটা স্থবির হয়ে পড়েছে। সড়কও ফাঁকা। রিকশা ও অটোবাইকের সংখ্যা খুবই কম।

একই এলাকার বাসিন্দা শেখ আল মামুন বলেন, টানা বৃষ্টি ও বাতাসের তীব্রতায় নদীতে ঢেউ বেড়েছে। পানি বাড়েনি। তবে আবহাওয়া অনুকূলে না থাকায় জেলেরা নদীতে নামেনি। পুরো নদীই ফাঁকা।

চাঁদপুর শহরের নিউ ট্রাক রোড এলাকার ব্যবসায়ী হারুনুর রশিদ বলেন, শুক্রবার রাত থেকে বৃষ্টি। সকালে দোকান খুলেছি দেরিতে। কারণ ক্রেতা খুবই কম। একান্ত দরকার ছাড়া কেউ ঘর থেকে বের হচ্ছে না। দুপুর ১২টার পর থেকে বৃষ্টির পরিমাণ আরও বাড়তে শুরু করে।

এদিকে, গত এক সপ্তাহের অধিক চাঁদপুরে বিদ্যুৎ সরবরাহ বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। শহরে প্রতিদিন কমপক্ষে ৬-৭ ঘণ্টা বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকে। আরও করুণ অবস্থা পল্লি বিদ্যুৎ সমিতির। গ্রামাঞ্চলে বিদ্যুৎ সরবরাহ থাকে ৭-৮ ঘণ্টা।

চাঁদপুর আবহাওয়া অফিসের উচ্চ পর্যবেক্ষক শাহ মোঃ শোয়েব বলেন, শুক্রবার রাত ১২টা থেকে শনিবার দুপুর ১২টা পর্যন্ত চাঁদপুরে ৪৭ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। বৃষ্টির পরিমাণ আরও বাড়ার সম্ভাবনা আছে। শনিবার চাঁদপুরে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৪.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৫.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়