মতলব উত্তরে খালেদা জিয়ার জন্মদিন ও রোগমুক্তি কামনায় মিলাদ-দোয়া

বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বীর শহীদদের স্মরণে ও সাবেক প্রধনমন্ত্রী খালেদা জিয়ার ৭৯তম জন্মদিন ও তার রোগমুক্তি কামনায় মতলব উত্তর উপজেলায় মিলাদ ও দোয়া অনুষ্ঠিত হয়েছে। ১৬ আগস্ট শুক্রবার বিকেলে মতলব উত্তর উপজেলার ফরাজীকান্দি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে দোয়ার পূর্বে সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভায় উপজেলা বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি আক্তার হোসেন মুন্সির সভাপতিত্বে এবং উপজেলা বিএনপির সহ-সভাপতি আব্দুল গনি তপাদারের সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন উপজেলা বিএনপির সভাপতি অ্যাডঃ ফজলুল হক সরকার হান্নান।

অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নুরুল হক জিতু, সাবেক সহ-সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম, সাবেক সাধারণ সম্পাদক আলমগীর হোসেন সরকার, উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মিয়া মঞ্জুর আমীন স্বপন, উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক রাশেদুজ্জামান টিপু, উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক নুরুল হুদা ফয়েজী, ফরাজীকান্দি ইউনিয়ন বিএনপির নেতা নান্নু মিয়া গাজী, উপজেলা ছাত্রদলের সদস্য সচিব জয়নাল পাটোয়ারী পিনু, উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুল মান্নান সাগর, উপজেলা যুবদল নেতা মমিন মিয়া, ফরাজীকান্দি ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি নাজমুল হোসেন গাজী, উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নূরে আলম অপু, ফরাজীকান্দি ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি দেওয়ান জাকির হোসেন, যুবদল নেতা দেওয়ান আবুল কালাম, যুবদল নেতা ফরিদ আহমেদ ও মামুন মিয়া।

অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, বিএনপি প্রতিহিংসায় বিশ্বাস করে না, তারা জনগণের কল্যাণে কাজ করে। বিগত দীর্ঘসময় দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া মিথ্যা মামলায় শেখ হাসিনার বন্দিশালায় বন্দি ছিলেন। বিনা চিকিৎসায় খালেদা জিয়া মৃত্যুপথযাত্রী। খালেদা জিয়া মুক্তি পেয়েই দেশবাসীর উদ্দেশ্যে বলেছেন, ধ্বংস নয়, প্রতিশোধ নয়, প্রতিহিংসা নয়, ভালোবাসা, শান্তি ও জ্ঞানভিত্তিক সমাজ গড়ে তুলতে হবে।

বক্তারা তাদের বক্তব্যে আরো বলেন, হুলিয়া মাথায় নিয়ে বিএনপি নেতা-কর্মীরা আন্দোলন করেছে, সংগ্রাম করেছে, মামলা খেয়েছে, গুলিবিদ্ধ হয়েছে। আমাদের অনেক ভাই মিছিলে সভা-সমাবেশে শহীদ হয়েছেন। তারপরও দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও দেশনায়ক তারেক রহমানের নির্দেশে আমরা ধৈর্য ধরেছি। বিএনপির নেতা-কর্মীরা জনগণের পাশে আছে এবং থাকবে।

বক্তারা আরো বলেন, আওয়ামী লীগের ১৬ বছরের দুঃশাসনে সরকার ও তাদের বিভিন্ন বাহিনীর মাধ্যমে অসংখ্য গুমণ্ডখুনের ঘটনা ঘটিয়েছে, যা আপনারা নিশ্চয়ই জানেন। তারা আয়না ঘরের মাধ্যমে তাদের বিরোধী মতের গুরুত্বপূর্ণ লোকদের আটকিয়ে রেখে নির্যাতন করার মাধ্যমে তাদের জীবন শেষ করে দিয়েছে। বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন প্রতিহত করতে গিয়ে এই জালিম সরকার কয়েক হাজার ছাত্র- জনতাকে পাখির মতো গুলি করে হত্যা করেছে। কিন্তু তাতেও শেখ হাসিনা ক্ষমতায় থাকতে পারেনি। ছাত্র- জনতার ভয়ে শেখ হাসিনা পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছে। কেউ চাঁদাবাজি ও দখলবাজি করতে চাইলে ঐকবদ্ধভাবে তাদের প্রতিহত করতে হবে।