প্রকাশ : ১৬ আগস্ট ২০২৪, ০০:০০
হাজীগঞ্জের টোরাগড়ে আজাদ হত্যা মামলা দায়ের ॥ গ্রেফতার ১
কোটা সংস্কারের দাবিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকে ঘিরে হাজীগঞ্জে আজাদ সরকার (৫০)কে কুপিয়ে হত্যার ১৩ দিন পর মামলা দায়ের করা হয়েছে। নিহতের ছেলে হাজীগঞ্জ পৌরসভাধীন ৮নং ওয়ার্ড ছাত্রদলের সভাপতি আহম্মেদ কবির হিমেল বাদী হয়ে গত বুধবার (১৪ আগস্ট) হাজীগঞ্জ থানায় মামলাটি দায়ের করেন।
মামলার এজাহারে ১৫ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত ২০/২৫ জনকে আসামি করা হয়েছে। এর মধ্যে নামীয় আসামি নুরু কাজী (৫২)কে পুলিশ বুধবার রাতে গ্রেফতার করে বৃহস্পতিবার আদালতে হাজির করলে বিচারক তার জামিন নামঞ্জুর করে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন। হত্যাকাণ্ডের শিকার আজাদ সরকার হাজীগঞ্জ পৌরসভাধীন ৮নং ওয়ার্ডস্থ টোরাগড় গ্রামের সরকার বাড়ির মৃত আনু সরকারের ছেলে।
মামলা সূত্রে জানা যায়, ছাত্রদের অসহযোগ আন্দোলনের প্রথম দিন গত ৪ আগস্ট (রোববার) বিকেলে নিজ বসতবাড়ির সামনে ওয়ার্ড ছাত্রদলের সভাপতি হিমেলের বাবা আজাদ সরকারকে কুপিয়ে গুরুতর আহত করেন প্রতিপক্ষরা। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওই দিন রাতেই কুমিল্লার একটি হাসপাতালে তিনি মৃত্যুবরণ করেন। এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় দেশের সার্বিক পরিস্থিতির কারণে যথাসময়ে মামলা দায়ের করতে বিলম্ব হয়েছে বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে।
মামলায় আসামী করা হয়েছে একই গ্রামের কাজী বাড়ির বাসিন্দা ও ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি মিঠু কাজী, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোবারক কাজী, আওয়ামী লীগ নেতা বশির কাজী, বাদল কাজী ও নুরু কাজী, ছাত্রলীগ নেতা তুষার কাজী, রাকিব কাজী, সিয়াম কাজী ও রুবেল কাজী প্রমুখকে।
এছাড়াও একই মামলায় পৌরসভাধীন মকিমাবাদ গ্রামের বাসিন্দা ও পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি সোহেল আলম বেপারী, সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাছান রাব্বি, সাবেক সাধারণ সম্পাদক শুকুর আলম শুভ, তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক হুমায়ন আজাদ, আওয়ামী লীগ নেতা ও গন্ধর্ব্যপুর দক্ষিণ ইউনিয়নের পাঁচৈ গ্রামের মোখলেছুর রহমানের ছেলে জসিম উদ্দিন, গন্ধর্ব্যপুর উত্তর ইউনিয়নের মৈশামুড়া গ্রামের আবুল বাসারের ছেলে সুমনকে আসামি করা হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করে হাজীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মুহাম্মদ আবদুর রশিদ বলেন, মামলার নামীয় আসামি নুরু কাজীকে গ্রেফতার করে বৃহস্পতিবার আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে এবং অপর আসামীকে গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত আছে।