প্রকাশ : ১৫ জুলাই ২০২৪, ০০:০০
ভ্যানগাড়ি ছাড়িয়ে নিয়ে মুখোশধারীদের তদবির
পৌরসভার কঠোর অভিযানে চাঁদপুর শহরের রাস্তা ভ্যানগাড়ি মুক্ত ॥ স্বস্তিতে জনগণ
চাঁদপুর শহরের রাস্তাগুলোর অবস্থা এখন অনেকটা পরিচ্ছন্ন। বিশেষ করে জোড় পুকুর পাড় এলাকা থেকে সোজা পালবাজার পর্যন্ত এবং রেলওয়ে হকার্স মার্কেট এলাকার রাস্তা। শহরের অতি ব্যস্ততম এবং গুরুত্বপূর্ণ এই সড়ক দুটি থাকতো ভ্যানগাড়ির ভ্রাম্যমাণ দোকানের দখলে। সড়কের দুইপাশজুড়ে থাকতো শুধু ভ্যানগাড়ির দোকান। এই ভ্যানগাড়ির জন্য এসব এলাকায় তীব্র যানজট থাকতো। গত ক'দিন আগে পৌরসভার কঠোর অভিযানে সকল ভ্যানগাড়ি অপসারণ করা হয়। এতে পুরো শহর এখন পরিচ্ছন্ন দেখাচ্ছে। পৌরসভার এমন ভূমিকায় জনগণ স্বস্তি প্রকাশ করেছে।
চাঁদপুর শহরের রাস্তাগুলো এমনিতেই সরু। তার উপর যদি রাস্তার দুইপাশজুড়ে ভ্যানগাড়ির সারিবদ্ধ দোকান থাকে, তখন আর যানবাহন এবং জনগণের পথচলার কোনো অবস্থা থাকে না। এমন একটা বাজে অবস্থা ছিল চাঁদপুর শহরের। বিশেষ করে শহরের হকার্স মার্কেট এলাকাস্থ মুক্তিযোদ্ধা সড়ক এবং জোড় পুকুর পাড় এলাকা থেকে পালবাজার পর্যন্ত সড়কের অবস্থা থাকতো খুবই বাজে। পুরো সড়ক থাকতো ভ্যানগাড়ির দখলে। কয়েক শ' ভ্যানগাড়ি সকাল থেকে মধ্য রাত পর্যন্ত সারিবদ্ধভাবে দোকান সাজিয়ে থাকতো। ফলে পুরো সময়টাতে থাকতো তীব্র যানজট। মানুষ চরম ভোগান্তি পোহাতো। পৌরসভা থেকে বহুবার এসব ভ্যানগাড়ি অপসারণ করা হয়। কিন্তু পরক্ষণেই আবার সেই আগের মতো তারা রাস্তায় চলে আসতো। সকালে ভ্যানগাড়ি অপসারণ করলে বিকেলে আবার রাস্তায় চলে আসতো। আটক হওয়া ভ্যানগাড়ি ছাড়িয়ে নিতে সমাজের কিছু মুখোশধারী লোক এসে মেয়রের কাছে তদবির করতো। এমন কিছু কিছু মানুষের অনুরোধ-তদবির মেয়র আমলে না নিয়েও পারেন না। সবচেয়ে অবাক করার বিষয় হচ্ছে-যে মানুষগুলো মেয়রের কাছে সুপারিশ করে ভ্যানগাড়ি ছাড়িয়ে নেয়, তারাই আবার রাস্তায় ভ্যানগাড়ির জট দেখলে মেয়রকে দোষারোপ করে। এসব কারণে কোনোভাবেই নিয়ন্ত্রণে আনা যাচ্ছিল না অবৈধভাবে রাস্তা দখল করে থাকা ভ্যানগাড়ি। এ অবস্থায় সম্প্রতি শহরের রাস্তার অবস্থা খুবই বাজে অবস্থায় গিয়ে পৌঁছে। রাস্তা দিয়ে হাটার মতো অবস্থা ছিল না। সে জন্য মেয়র জিল্লুর রহমান জুয়েল কঠোর অবস্থানে গিয়ে এবারের অভিযানটি খুব কঠোরভাবে পরিচালনা করেন। পুরো শহর থেকে ভ্যানগাড়ি অপসারণ করা হয় এবং এগুলো পৌরসভার জিম্মায় নিয়ে রাখা হয়। এবারো ভ্যানগাড়ি ছাড়িয়ে নিতে সেই আগের মতো মুখোশধারীদের আনাগোনা দেখা যায় পৌরসভায়। তবে মেয়র এবার কঠোর অবস্থানে। আটক গাড়ি ছাড়িয়ে নেয়ার জন্য কেহ আসলে কারো সুপারিশই তিনি শুনছেন না। মেয়রের এমন কঠোর অবস্থানকে সাধুবাদ জানিয়েছেন শহরবাসী। এমন পরিচ্ছন্ন পরিবেশ যেনো বজায় থাকে এবং অভিযান যেনো অব্যাহত থাকে এ অনুরোধ শহরবাসী জানিয়েছে মেয়রকে।