প্রকাশ : ১৩ জুলাই ২০২৪, ০০:০০
গ্যাস সরবরাহ স্বাভাবিক, স্বস্তি ফিরেছে জনজীবনে
আড়াইদিন বন্ধ থাকার পর চাঁদপুরে বাসা-বাড়িসহ পাইপলাইনের সব জায়গায় স্বাভাবিক হয়েছে গ্যাস সরবরাহ। এতে স্বস্তি ফিরে এসেছে জনজীবনে। গত ৯ জুলাই চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদীর আনোয়ারা প্রান্তে গ্যাস সঞ্চালন সংস্থা জিটিসিএলকে কিছুই না জানিয়ে তাদের ৪২ ইঞ্চি ব্যাসের একটি পাইপের ওপর চীনা কোম্পানির নিয়োগ করা একটি ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান খননকাজ চালাতে গিয়ে সেটি ছিদ্র করে ফেলে। এতে গ্যাস সরবরাহে সংকট তৈরি হয়। চট্টগ্রামের আনোয়ারা-ফৌজদারহাট গ্যাসের সঞ্চালন পাইপলাইনের ক্ষতিগ্রস্ত পাইপ মেরামত ও গ্যাস কমিশনিং সম্পন্ন হলে শুক্রবার জুমার নামাজের পর থেকেই গ্যাস সরবরাহ স্বাভাবিক হয়। বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সকাল ৭টা ২০ মিনিটে গ্যাস ট্রান্সমিশন কোম্পানি লিমিটেডের (জিটিসিএল) ৪২ ইঞ্চি ব্যাসের আনোয়ারা-ফৌজদারহাট পাইপলাইনের ক্ষতিগ্রস্ত পাইপ দ্রুততম সময়ে মেরামত ও গ্যাস কমিশনিং সম্পন্ন হয়েছে। এতে বিকেল থেকে গ্যাস সরবরাহ স্বাভাবিক হয়। তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) সরবরাহ ও গ্যাস গ্রিডের প্রেসারের (বর্তমান ৭০ পিএসআই) সঙ্গে সিংক্রোনাইজ করে পর্যায়ক্রমে গ্যাস সঞ্চালন ও চাপ বৃদ্ধি করা হচ্ছে।
চাঁদপুর শহরের বাসিন্দা অ্যাডঃ মহসিন খান ফেসবুক পোস্টে লিখেন, বুধবার সকাল থেকে গ্যাস নেই। দুদিন ধরে তার স্ত্রী লাকড়ির চুলা বানিয়ে বিকল্প ব্যবস্থায় পরিবারের জন্যে খাবার রান্না করায় সেই খাবার খেয়েছেন। আজ দুপুরের পর থেকে গ্যাস আসতে শুরু করে, তবে গ্যাসের চাপ কম।
বকুলতলা গলির বাসিন্দা জাহানারা বেগম জানান, শুক্রবার দুপুরের পর চুলার লাইনে গ্যাস আসছে। গত দুই দিন রেস্টুরেন্ট থেকে কিনে খাবার খেতে হয়েছে। লাইনে গ্যাস আসায় সমস্যার সমাধান হলো।
পুরাণবাজার নিতাইগঞ্জের বাসিন্দা কেশব দে বলেন, দুদিন যাবত গ্যাস নাই। বিকল্প ব্যবস্থা করে খাবার খেয়েছি। শুক্রবার বাজারে গেছি স্টোভ চুলা বা পাম্প চুলা কেনার জন্যে। দোকানি জানালো চুলা যা ছিল বিক্রি হয়ে গেছে। পরে শুনলাম গ্যাস আসছে। আর চুলা কিনতে হয়নি।
এদিকে মতলবের সাংবাদিক মাহফুজ মল্লিক লিখেন, অবশেষে সেই কাঙ্ক্ষিত গ্যাস সরবরাহ চালু হয়েছে।
গত বুধবার সকালে হঠাৎ বাখরাবাদের গ্যাস চাঁদপুর জুড়ে বন্ধ হয়ে যায়। ফলে বুধবার ও বৃহস্পতিবার দুদিন, এমনকি পরের দিন গতকাল শুক্রবার দুপুর পর্যন্ত আড়াইদিন ধরে জ্বলেনি চুলা। বন্ধ ছিল রান্নাবান্না। এতে চাঁদপুরবাসীর কষ্ট চরমে পৌঁছে।
অবশেষে শুক্রবার জুমার নামাজের পর গ্যাস সরবরাহ সচল হয়। বর্তমানে যে পরিমাণ গ্যাস পাওয়া যাচ্ছে তা দিয়ে বাসা-বাড়ির চুলা জ্বলছে।