বুধবার, ৩০ অক্টোবর, ২০২৪  |   ২৬ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   চাঁদপুরে রাজনৈতিক মামলায় আসামীদের আটক অভিযান অব্যাহত। যুবলীগ, কৃষকলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের ৫ নেতা-কর্মী আটক
  •   ছেঁড়া তারে প্রাণ গেল যুবকের
  •   চাঁদপুরে গণঅধিকার পরিষদের ৩য় প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন
  •   রাজধানীতে কচুয়ার কৃতী সন্তানদের সংবর্ধনা
  •   সম্প্রীতির চমৎকার নিদর্শন আমাদের বাংলাদেশ --------------জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোহসীন উদ্দিন

প্রকাশ : ১২ জুলাই ২০২৪, ০০:০০

পদ্মার আগ্রাসী ভাঙ্গন

ভাঙ্গন আতঙ্কে রাজরাজেশ্বরের গোয়ালনগর ও বলিয়ারচরের শতাধিক পরিবার

স্টাফ রিপোর্টার ॥
ভাঙ্গন আতঙ্কে রাজরাজেশ্বরের গোয়ালনগর ও বলিয়ারচরের শতাধিক পরিবার

পদ্মায় পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় ভয়াবহ ভাঙ্গন শুরু হয়েছে চাঁদপুর সদর উপজেলার ১৪নং রাজরাজেশ্বর ইউনিয়নের বলিয়ারচর ও গোয়ালনগর এলাকায়। গত কয়েকদিনের ভাঙ্গনে বেশ কিছু পরিবার বসতভিটা ও ফসলি জমি হারিয়েছে। এখনো ভাঙ্গন হুমকিতে রয়েছে বলিয়ারচর ও গোয়ালনগর গ্রামের দুই শতাধিক পরিবারের বসতবাড়ি। এতে আতঙ্কের মধ্যেই দিনরাত পার করছে ভাঙ্গন হুমকিতে থাকা লোকজন।

সরজমিনে দেখা গেছে, রাজরাজেশ্বর ইউনিয়নের বলিয়ারচর ও গোয়ালনগরের কয়েকটি পরিবার তাদের বসতবাড়ি অন্যত্র সরিয়ে নিচ্ছেন, কেটে নিচ্ছেন জমির ফসল ও গাছপালা। এদের কেউ কেউ একাধিকবার নদীভাঙনের শিকার হয়েছেন।

ভাঙ্গনের শিকার বলিয়ারচর ও গোয়ালনগরের ভাঙ্গনকবলিত একাধিক ভুক্তভোগী জানান, পদ্মায় পানি বৃদ্ধি পেলে আমাদের এলাকায় ভাঙন বেড়ে যায়। তাই নদীভাঙন রোধে আমরা স্থায়ী ব্যবস্থা চাই।

রাজরাজেশ্বর ইউপি চেয়ারম্যান হাজী হযরত আলী বেপারী বলেন, পদ্মায় পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় রাজরাজেশ্বর ইউনিয়নের গোয়ালনগর ও বলিয়ারচরসহ কয়েকটি এলাকা ভয়াবহ ভাঙ্গনের হুমকিতে রয়েছে। প্রতি বর্ষায় আমার ইউনিয়নের ব্যাপক এলাকা নদী ভাঙ্গনের শিকার হয়। আমরা এর একটা স্থায়ী সমাধান চাই। ভাঙ্গনের বিষয়টি আমি সমাজকল্যাণমন্ত্রী ডাঃ দীপু মনি এমপি আপাকে জানিয়েছি। আজকে পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ জহুরুল ইসলামের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল ভাঙ্গনকবলিত দুটি এলাকা পরিদর্শন করেছে। আশাকরি পানি উন্নয়ন বোর্ড দ্রুত ব্যবস্থা নেবে।

ভাঙ্গন বিষয়ে জানতে চাইলে চাঁদপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী জহুরুল ইসলাম বলেন, আমরা ভাঙ্গনকবলিত দুটি এলাকা পরিদর্শন ও পরিমাপ করেছি। আমাদের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে আমরা রিপোর্ট পাঠাবো। কর্তৃপক্ষ যেভাবে আমাদের নির্দেশনা দেবে, আমরা দ্রুতই সেভাবে ভাঙ্গন প্রতিরোধে কাজ শুরু করবো।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়