প্রকাশ : ০৯ জুলাই ২০২৪, ০০:০০
মা কই, সন্তান কই, মানবিকতা দেখবে কে?
মাত্র ৫ মাসের শিশু সন্তান ইউসুফের নানীর কোলে ঠাঁই মিলেছে আর মা ফাতেমা বেগম (৩৭)-এর রাজধানীর শ্যামলী কিডনি হাসপাতালে প্রতিদিন ৯ হাজার টাকায় ডায়ালাইসিস চলছে। পরীক্ষা-নিরীক্ষা, ডায়ালাইসিস, রুম ভাড়া মিলিয়ে প্রতিদিনের খরচে পরিবারটি পথে বসার উপক্রম হয়েছে। ফাতেমা হাজীগঞ্জ উপজেলার ৫নং সদর ইউনিয়নের সুবিদপুর মোল্লা বাড়ির জামাল হোসেনের স্ত্রী। মায়ের অসুস্থতার কারণে জন্মের পর থেকে মায়ের বুকের দুধের স্বাদ পায়নি ইউসুফ। প্যাকেটজাত দুধ খেয়ে নানীর কোলে বড় হচ্ছে পুষ্টিহীন শিশু ইউসুফ।
যে বয়সে ইউসুফের মায়ের কোলে থাকার কথা, মায়ের কোলে ঘুমানোর কথা, মায়ের সাথে হু-হা করে হাত-পা ছুড়ে খেলার কথা, সেখানে নানীর কাছে থাকতে হচ্ছে ইউসুফকে। চিকিৎসার ব্যয়ভারের কারণে পারিবারিক অর্থ সঙ্কট আর কিডনি জটিলতায় শারীরিক সমস্যা প্রকট। ইউসুফের মায়ের জীবন প্রদীপ যে কোনো দিন নিভে যেতে পারে। তবে উন্নত চিকিৎসা করালে হয়তো ৫ মাসের ইউসুফ মায়ের কোলে বড় হতে পারবে।
খোঁজ নিয়ে ও ইউসুফের পারিবারের সূত্রে জানা গেছে, ইউসুফের বাবা জামাল হোসেন বাহরাইন প্রবাসী হলেও সেখানে প্রায় বেকার তিনি। গত ৫ মাস আগে ইউসুফের জন্মের সময় তার মা ফাতেমার সিজার করা হয়। সেই সময় তার মায়ের জটিল কিডনি রোগ ধরা পড়ে। এর পরেই নানান হাসপাতাল, নানান চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়া, নানান পরীক্ষার ব্যয়ভার, কিডনি রোগের চিকিৎসা করানো আর গত ৪ মাস ধরে ডায়ালাইসিস করতে গিয়ে পরিবারটির প্রায় ২০ লাখ টাকা ব্যয় হয়ে যায়। মাত্র ৫ মাসে ২০ লাখ টাকা ব্যয়ের কারণে পরিবারটি মারাত্মক অর্থ সঙ্কটে পড়ে। এর মধ্যে রাজধানীর শ্যামলী কিডনি হাসাপাতালে প্রতিদিন ডায়ালাইসিস করানো বাবদ ৭ হাজার টাকাসহ রুম ভাড়া মিলিয়ে প্রতিদিন ৯ হাজার টাকা গুণতে হচ্ছে পরিবারটিকে।
মধ্যবিত্তের পরিবারটি উপায়ন্তর না পেয়ে গণমাধ্যমের শরণাপন্ন হলে লোক লজ্জার কারণে কথা বলতে চাননি। তারপরেও ছোট্ট ইউসুফকে বাঁচানো ও তার মা ফাতেমার কিডনি প্রতিস্থাপন ও ব্যবভার মিটানোর মতো কোনো মানুষরূপী ফেরেশতা এগিয়ে আসলে মানবিকতা রক্ষাসহ ৬ সদস্যের পরিবারটিতে ফিরে আসবে প্রাণচাঞ্চল্য। ফাতেমার বিকাশ নাম্বার বা যোগাযোগ : ০১৮৯৩২৯৫৪৯০।