প্রকাশ : ০৯ জুলাই ২০২৪, ০০:০০
ফরিদগঞ্জে এনজিও সোপিরেট’র কাণ্ড!
মাত্র দুই কিস্তি না দিতে পারায় ঘরে তালা
এনজিও থেকে নেয়া ঋণের মাত্র দুই কিস্তি বকেয়া পরায় কাঁচামাল বিক্রেতার ঘরে তালা দিয়েছে এনজিওকর্মী। ঘরে তালা দেয়ার পর গত ৪দিন থেকে চার সন্তান নিয়ে খোলা আকাশের নিচে রাত কাটাচ্ছে অসহায় পরিবারটি। গত ৪ জুলাই বৃহস্পতিবার ফরিদগঞ্জ উপজেলার চরদুঃখিয়া পশ্চিম ইউনিয়ন পুটিয়া গ্রামের কাঁচামাল বিক্রেতা বোরহান সওদাগর ও তার স্ত্রী মাকছুদা বেগমের ঘরে তালা দেয়ার এ ঘটনা ঘটে।
ভুক্তভোগী মাকছুদার স্বামী বোরহান উদ্দিন বলেন, এনজিও সোপিরেটের নিয়মিত কিস্তি পরিশোধ করে আসছি। ২ লাখ টাকা ঋণ নিয়েছি, তারা আর মাত্র ৪৮ হাজার টাকা পাওনা আছে। বৃষ্টির কারণে কাঁচামাল নষ্ট হয়ে যাওয়ায় আর্থিকভাবে ক্ষতির মুখে পড়েছি। তাই গত ২টি কিস্তি দিতে দেরি হওয়ার কারণে সোপিরেট এনজিও’র কর্মকর্তা এসে আমার ঘরে তালা লাগিয়ে দেয়। আজ ৪ দিন যাবৎ ঘরে প্রবেশ করতে পারি না। ৪ সন্তান নিয়ে অনাহারে জীবন-যাপন করতে হচ্ছে।
সোপিরেট ক্রেডিট প্রোগ্রামের ফিল্ড অফিসার আতিকুর রহমান জানান, মাকসুদা আক্তার ঋণের টাকা দিতে না পারায় অফিসের নির্দেশে তাদের ঘরে তালা লাগিয়ে দিয়েছি। সোপিরেট ক্রেডিট প্রোগ্রাম এনজিওর শাখা ব্যবস্থাপক জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ঋণগ্রহীতার ঘরে তালা লাগানোর কোনো নিয়ম নেই। এটা পরিস্থিতির কারণে হয়েছে। গ্রাহকরা বলছে তালা লাগিয়ে দিতে।
চরদুঃখিয়া পশ্চিম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ শাহজাহান মাস্টার জানান, ঋণের টাকা না পেলে সংস্থাটির আমাকে জানানো উচিত ছিলো। প্রয়োজনে আমি ঋণের টাকা পরিশোধ করে দিতাম। কিন্তু তারা বসতঘরে তালা দিয়ে মানবাধিকার লঙ্ঘনের মতো কাজ করতে পারে না।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মৌলি মন্ডল বলেন, বিষয়টি আমি এখন শুনেছি, খোঁজ-খবর নিয়ে দেখবো।