প্রকাশ : ০৯ জুলাই ২০২৪, ০০:০০
ফরিদগঞ্জে ঋণের কিস্তির চাপে বিদ্যুৎ মিস্ত্রির আত্মহত্যা
এনজিও ঋণের কিস্তির চাপ সহ্য করতে না পেরে ফরিদগঞ্জ উপজেলার মৃণাল রায় (৬০) নামে এক বিদ্যুৎ মিস্ত্রি গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। পাইকপাড়া দক্ষিণ ইউনিয়নে সোমবার (৮ জুলাই) ভোরে এই ঘটনা ঘটে। মৃণাল রায় কড়ৈতলী গ্রামের মৃত গোপাল রায়ের ছেলে। এক ছেলে ও দুই মেয়ের জনক তিনি। মৃত্যুর আগে তিনি চিরকুট লিখে ঋণের কিস্তির কারণে আত্মহত্যার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
স্থানীয় লোকজন জানায়, মৃণাল রায় বিদ্যুৎ বিভাগের লাইসেন্সধারী মিস্ত্রি ছিলেন। পরিবারে তেমন কোনো ঝামেলা ছিলো না। তবে অর্থনৈতিকভাবে বেশি সমস্যায় ছিলেন। মৃত্যুর পূর্বে নিজের হাতে লিখে যাওয়া চিরকুটে বিভিন্ন এনজিওর কাছ থেকে নেয়া ঋণের কিস্তির চাপে তিনি মৃত্যুর এই পথ বেছে নিতে বাধ্য হয়েছেন বলে উল্লেখ করেন। এছাড়া তিনি তার ছেলে মেয়ে ও স্ত্রীকে ভালোবাসেন। একদিনও তাদের ছাড়া থাকেননি বলে উল্লেখ করে যান।
মৃণাল রায়ের ছেলে তমাল রায় জানান, আমাদের পরিবারে কোনো কলহ ছিলো না। এনজিওর কিস্তির টাকাসহ কিছু ঋণ আছে। আমরা রাতে একসাথে রাতে ঘুমাতে গিয়েছি। মা-বাবা এক রুমেই ছিলেন। সকালে মা ঘুম থেকে উঠে দেখেন, দরজার বাইরের দিকে শিকল দেয়া। আত্মহত্যার আগে একটা কাগজ লিখে দিয়ে গেছেন- বাবার মৃত্যুর জন্যে কেউ দায়ী নয়।
স্থানীয় ইউপি সদস্য সেলিম হোসেন জিতু বলেন, কিছু ঋণ আছে, বিশেষ করে কিস্তির টাকার জন্যে মানসিকভাবে হতাশাগ্রস্ত ছিলেন মৃণাল।
পাইকপাড়া দক্ষিণ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান শেখ হোসেন আহমেদ রাজন বলেন, ঘটনাটি খুবই দুঃখজনক, আমি আত্মহত্যার ঘটনা শুনে ঘটনাস্থলে গিয়েছি। কিছু ঋণ আছে, যার মধ্যে কিস্তির টাকাই বেশি, আত্মহত্যার কারণ হিসেবে এটাই দেখা যাচ্ছে।
ফরিদগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ সাইদুল ইসলাম জানান, আত্মহত্যার ঘটনা শুনে লাশ উদ্ধার করে পুলিশ ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে।