সোমবার, ১৩ জানুয়ারি, ২০২৫  |   ২০ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   কুমিল্লা সীমান্তে পুকুরে দেয়াল নির্মাণ করছে বিএসএফ, সতর্ক অবস্থানে বিজিবি
  •   টিউলিপ সিদ্দিকের পদত্যাগের দাবির মধ্যে নতুন বিতর্ক
  •   স্বামী বিবেকানন্দের জন্মদিনে হাজীগঞ্জ রামকৃষ্ণ সেবাশ্রমের শীতকালীন ত্রাণসেবা
  •   খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য স্থিতিশীল, করা হবে বিশেষ কিছু পরীক্ষা
  •   সীমান্তে অস্থিরতা: পাগল বেশে ভারত থেকে বাংলাদেশে প্রবেশ কারা?

প্রকাশ : ০৯ জুলাই ২০২৪, ০০:০০

বাংলাদেশ পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতির স্মরণ সভায় জাহাঙ্গীর কবির নানক

অশোক রায় নন্দী ছিলেন একজন সাদা মনের মানুষ

অনলাইন ডেস্ক
অশোক রায় নন্দী ছিলেন একজন সাদা মনের মানুষ

বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেছেন, অশোক রায় নন্দী ছিলেন একজন সাদা মনের মানুষ, আপাদমস্তক অহঙ্কারমুক্ত একজন সৎ মানুষ, একজন নিভৃতচারী মানুষ। নিজের প্রচার বা প্রকাশ কোনোটিই চাইতেন না। তিনি ছিলেন সদালাপী বন্ধুবৎসল একজন মানুষ; পেশা হিসেবেও বেছে নিয়েছিলেন তিন পুরুষের এক সৃজনশীল ব্যবসা প্রকাশনা শিল্পকে।

৭ জুলাই রোববার বাংলাবাজার কে.এল. জুবিলী স্কুল অ্যান্ড কলেজ অডিটোরিয়ামে বাংলাদেশ পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতির সিনিয়র সদস্য, নবযুগ প্রকাশনী ও রিডার্স ওয়েজের কর্ণধার, ছায়ানটের অন্যতম সদস্য, গুণী প্রকাশক, থিয়েটারের সাধারণ সম্পাদক, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব নাট্যজন অশোক রায় নন্দীর অকাল প্রয়াণ উপলক্ষে বাংলাদেশ পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতির উদ্যোগে আয়োজিত স্মরণসভায় তিনি এসব কথা বলেন।

জাহাঙ্গীর কবির নানক আরো বলেন, মানুষের উপকার করে বেড়ানোই ছিল যার নেশা, তিনিই অশোক রায় নন্দী। প্রকাশনা শিল্প, নাটক ও নাট্যকলার উন্নয়নে ছিলেন একজন নিবেদিতপ্রাণ ও সামনের সারির যোদ্ধা। সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব ও নাট্যজন অশোক রায় নন্দী বিশ্বাস করতেন, ‘নাটক কেবল চিত্ত বিনোদনের জন্যেই নয়, নাটক সমাজ পরিবর্তনের এক সুতীক্ষè হাতিয়ারও বটে।’ একজন সৃজনশীল মানুষ হিসেবে নাটকের স্বার্থে ছুটে যেতেন সর্বত্রই। এমনকি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা, জননেত্রী শেখ হাসিনার কাছেও ছুটে গেছেন বেশ কয়েকবার, কেবল নাটক আর নাটকের মানুষগুলোর কথা বলতে। কী করে শিল্পকলার অন্যতম শাখা এ নাটককে আরো সমৃদ্ধ ও গণমুখী করা যায়।

বিশেষ অতিথি হিসেবে স্মৃতিচারণ করেন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি, বিশিষ্ট সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব, নাট্যজন আসাদুজ্জামান নূর এমপি। তিনি বলেন, অশোক রায় নন্দী একেবারেই নিভৃতচারী, কাজ পাগল আত্মভোলা, নিরলস পরিশ্রমী। এই মানুষটির অকস্মাৎ চলে যাওয়ায় এক অপূরণীয় ক্ষতি সাধন হয়েছে এ অঙ্গনের। নির্লিপ্তভাবে কাজ করে গেছেন তিনি। লোভহীন একজন মানুষ এই অশোক রায় নন্দী। চলনে বলনে চিন্তায় মননে অসাম্প্রদায়িক ভাবধারায় গড়ে তুলেছেন নিজেকে। যাঁর প্রতিটি কর্মেই ছিল এর সুস্পষ্ট ছাপ। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও বঙ্গবন্ধুর আদর্শের একজন নির্ভীক সেনানী ছিলেন অশোক রায় নন্দী। প্রকাশনার ক্ষেত্রেও এই ভাবাদর্শ জ্যোতি ছড়িয়েছে প্রতিটি কর্মে। একটি পুস্তক প্রকাশনার ক্ষেত্রে বারবার পড়েছেন পাণ্ডুলিপি, এরপর চুলচেরা ভাবে দেখেছেন প্রুফ। নির্ভুল বানানের জন্যে ছিল তাঁর উদ্বেগ, উৎকণ্ঠা। তিনি ছিলেন একজন সৃজনশীল প্রকাশক, যাঁর বড় কৃতিত্ব হলো নিজস্ব প্রকাশনায় ৫০০-এর উপরে বই প্রকাশ করেছেন অশোক রায় নন্দী।

অশোক রায় নন্দীর স্মৃতিচারণ করে বক্তব্য প্রদান করেন তাঁর ছোট ভাই বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী।

স্মরণ সভায় ভারতের বিশিষ্ট অভিনেতা ও নাট্যজন শ্রী বিশ্বজিৎ চক্রবর্তী বলেন, প্রজ্ঞা, মেধা, মনন ও দক্ষতায় নিরলস সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব হিসেবে অশোক রায় নন্দী স্মরণীয় হয়ে থাকবেন। তাঁর কর্মেই তিনি বেঁচে থাকবেন। আমাদের দুই বাংলাতেই নাট্যজগতে তার অবদান নাট্যপ্রেমীরা আজীবন মনে রাখবেন। তিনি একজন উদার মনের মানুষ ছিলেন।

সম্মানিত অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ভীষ্মদেব চৌধুরী, তারিক সুজাত (সাধারণ সম্পাদক, জাতীয় কবিতা পরিষদ), ডাঃ আশিস গোস্বামী (বিশিষ্ট নাট্যকার ও নাট্য গবেষক-ভারত), বিশিষ্ট অভিনেতা কাজী রাকায়েত, বাংলা একাডেমির পরিচালক তপন বাগচী, পুস্তক প্রকাশক সমিতির সহ-সভাপতি আলমগীর শিকদার লোটন, মাজহারুল ইসলাম প্রমুখ।

স্মরণ সভায় সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতির সভাপতি মোঃ আরিফ হোসেন ছোটন।

সভায় বাংলাদেশ পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতির নেতৃবৃন্দসহ বিভিন্ন সাংস্কৃতিক ও সুধীজন উপস্থিত ছিলেন।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়