মঙ্গলবার, ১৪ জানুয়ারি, ২০২৫  |   ১৯ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   কুমিল্লা সীমান্তে পুকুরে দেয়াল নির্মাণ করছে বিএসএফ, সতর্ক অবস্থানে বিজিবি
  •   টিউলিপ সিদ্দিকের পদত্যাগের দাবির মধ্যে নতুন বিতর্ক
  •   স্বামী বিবেকানন্দের জন্মদিনে হাজীগঞ্জ রামকৃষ্ণ সেবাশ্রমের শীতকালীন ত্রাণসেবা
  •   খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য স্থিতিশীল, করা হবে বিশেষ কিছু পরীক্ষা
  •   সীমান্তে অস্থিরতা: পাগল বেশে ভারত থেকে বাংলাদেশে প্রবেশ কারা?

প্রকাশ : ০৬ জুলাই ২০২৪, ০০:০০

দক্ষিণ বালিয়ায় এতিমখানার নামে ভুয়া কাগজপত্র দেখিয়ে চাল উত্তোলন

সোহাঈদ খান জিয়া ॥
দক্ষিণ বালিয়ায় এতিমখানার নামে ভুয়া কাগজপত্র দেখিয়ে চাল উত্তোলন

চাঁদপুর সদর উপজেলার ১২নং চান্দ্রা ইউনিয়নের দক্ষিণ বালিয়া গ্রামে এতিমখানার নামে ভুয়া কাগজপত্র দেখিয়ে সরকারি চাল উত্তোলন করে আত্মসাৎ করা হয়েছে। এ নিয়ে এলাকায় নানা গুঞ্জন শোনা যায়।

জানা যায়, দক্ষিণ বালিয়া গ্রামে ফাতেমাতুজ জোহরা মহিলা হাফেজিয়া মাদ্রাসা ও এতিমখানার নাম দেখিয়ে ভুয়া কাগজপত্র দাখিল করে চাল উত্তোলন করা হয়েছে। কিন্তু এ নামে কোনো প্রতিষ্ঠান নেই। ভুয়া কাগজপত্র তৈরি করে ও ভুয়া সভাপতি বানিয়ে সরকারি চাল উত্তোলন করে টাকা আত্মসাৎ করেন স্থানীয় জাকির হোসেন জয়নাল পাটোয়ারী।

গতকাল শুক্রবার সরজমিনে এলাকায় গেলে স্থানীয় লোকজন জানান, আমাদের এখানে কোনো মহিলা মাদ্রাসা বা এতিমখানা নেই। এখানে মসজিদ আছে। এতিমখানা নেই। জাকির হোসেন জয়নাল পাটোয়ারী এতিমখানার নামে সরকারি চাল উত্তোলন করেন। আত্মসাৎ করেন। এটা ঠিক হয়নি। আমাদের মসজিদের কাজ শেষ হয় না। মসজিদের অনেক কাজ বাকি আছে। এতিমখানায় ছাত্র-ছাত্রী থাকা তো দূরের কথা, এতিমখানার কাজ মাত্র শুরু হয়েছে। মাদ্রাসা ও ছাত্র-ছাত্রী দেখিয়ে চাল উত্তোলন করে আমাদেরকে দেওয়া হয় না। তিনি যে চাল উত্তোলন করেছেন সেই চাল আমাদের এতিমখানার নির্মাণ কাজে ব্যয় করা হবে। তাকে খেতে দেওয়া হবে না। প্রতারণা করে তার চাল উত্তোলন করাটা ঠিক হয়নি। আর যাকে সভাপতি করেছেন তিনি কোনো সভাপতি না।

এ ব্যাপারে মসজিদ কমিটির সভাপতি মোঃ মোতালেব শেখ বলেন, দক্ষিণ বালিয়া বাইতুল জান্নাত জামে মসজিদের জন্য ৪ শতক ও এতিমখানার জন্য ৪ শতক জায়গা দিয়েছি। মসজিদের সভাপতি আমি। আর মাদ্রাসার কমিটি গঠন হয় নি। চাল উত্তোলনের বিষয়টি গত ২ দিন আগে জেনেছি। মাদ্রাসার নামে যে চাল উত্তোলন করা হয়েছে সেই চাল জাকির হোসেন আত্মসাৎ করতে পারবে না।

এ ব্যাপারে জাকির হোসেন জয়নাল পাটোয়ারীকে একাধিক বার ফোন করলেও তিনি ফোন রিসিভ করেন নি।

১২নং চান্দ্রা ইউপির চেয়ারম্যান খান জাহান আলী কালু বলেন, আমি বিভিন্নভাবে খোঁজখবর নিয়ে দেখেছি, এ নামে আমার ইউনিয়নে কোনো মাদ্রাসা ও এতিমখানা নেই। সরকারিভাবে চাল উত্তোলন করতে হলে কমিটি গঠন করে প্রতিষ্ঠানের নামে চাল উত্তোলন করতে হয়। এমনকি চাল উত্তোলনের কাগজে পৌরসভা হলে মেয়র আর ইউনিয়ন পরিষদ হলে চেয়ারম্যানের সিল-স্বাক্ষর লাগে। আমি এ রকম কোনো প্রতিষ্ঠানের নামে সরকারি বরাদ্দকৃত চাল উত্তোলনের বিষয়ে কোনো স্বাক্ষর করি নি। প্রতারণা করে চাল উত্তোলন করার কথা শোনা যাচ্ছে। বিষয়টি প্রশাসন তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি। আর যেনো কেউ এভাবে প্রতারণা করে সরকারি চাল উত্তোলন করতে না পারে। দোষী ব্যক্তিদের আইনের আওতায় আনা প্রয়োজন।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়