রবিবার, ১৯ জানুয়ারি, ২০২৫  |   ২০ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   কুমিল্লা সীমান্তে পুকুরে দেয়াল নির্মাণ করছে বিএসএফ, সতর্ক অবস্থানে বিজিবি
  •   টিউলিপ সিদ্দিকের পদত্যাগের দাবির মধ্যে নতুন বিতর্ক
  •   স্বামী বিবেকানন্দের জন্মদিনে হাজীগঞ্জ রামকৃষ্ণ সেবাশ্রমের শীতকালীন ত্রাণসেবা
  •   খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য স্থিতিশীল, করা হবে বিশেষ কিছু পরীক্ষা
  •   সীমান্তে অস্থিরতা: পাগল বেশে ভারত থেকে বাংলাদেশে প্রবেশ কারা?

প্রকাশ : ০৪ জানুয়ারি ২০২৪, ০০:০০

ভোটারদের তীব্র ক্ষোভ ও নিন্দা

প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীকে কদর্য ভাষায় আক্রমণ করাই যেনো শামছুল হক ভূঁইয়ার ভোট চাওয়ার প্রধান হাতিয়ার

‘৭ জানুয়ারি জনগণ ব্যালটের মাধ্যমে জবাব দিবে’

চাঁদপুর কণ্ঠ রিপোর্ট ॥
প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীকে কদর্য ভাষায় আক্রমণ করাই যেনো শামছুল হক ভূঁইয়ার ভোট চাওয়ার প্রধান হাতিয়ার

জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ড. মোহাম্মদ শামছুল হক ভূঁইয়া চাঁদপুর-৩ ও চাঁদপুর-৪ আসনে স্বতন্ত্র পরিচয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। আওয়ামী লীগ থেকে তিনি মনোনয়ন না পেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন। এই দুটি আসনেই আওয়ামী লীগের হেভিওয়েট প্রার্থী রয়েছেন। আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা মার্কার প্রার্থীদের বিপক্ষে গিয়ে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন শামছুল হক ভূঁইয়া। তাঁর মার্কা হচ্ছে ঈগল। তিনি দুই আসনেই গণসংযোগ ও প্রচারণা বলতে গেলে সমানতালে চালিয়ে যাচ্ছেন। গণসংযোগ ও প্রচারণায় শামছুল হক ভূঁইয়ার কথা, আলোচনা ও বক্তৃতায় আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা যেমনি চরমভাবে ক্ষুব্ধ! তেমনি ভোটাররাও তার অশালীন ও শিষ্টাচার বহির্ভূত বক্তব্যে বিরক্ত হয়ে চরমভাবে ক্ষুব্ধ এবং তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন। দেখা গেছে যে, শামছুল হক ভূঁইয়া চাঁদপুর-৩ আসনে যখন নির্বাচনী প্রচারণা চালান তখন তার বক্তৃতার প্রায় পুরো সময়টা জুড়ে থাকে স্থানীয় সংসদ সদস্য, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও শিক্ষামন্ত্রী ডাঃ দীপু মনির বিরুদ্ধে নানা কল্পকাহিনিমূলক মিথ্যাচার ও জঘন্য ভাষায় উস্কানিমূলক বক্তব্য। শুধু দীপু মনিই নন, তাঁর মরহুম পিতা হোসেন শহিদ সোহরাওয়ার্দী ও বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠ সহচর ভাষাবীর মরহুম এমএ ওয়াদুদ সাহেবকে নিয়েও শামছুল হক ভূঁইয়া খুবই বাজেভাবে কথা বলেন। এমনকি এমএ ওয়াদুদ সাহেবের ভাষা সৈনিক হওয়া নিয়েও শামছুল হক ভূঁইয়া নানা বিরূপ মন্তব্য এবং ব্যঙ্গ বিদ্রুপ করে থাকেন। অথচ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এমএ ওয়াদুদকে ভাষাবীর হিসেবে একুশে পদকে ভূষিত করেন।

একইভাবে তিনি যখন ফরিদগঞ্জ যান তখন সে আসনের নৌকার প্রার্থী ও বর্তমান সংসদ সদস্য মুহম্মদ শফিকুর রহমানকে নিয়েও আজেবাজে মন্তব্য করেন। অথচ তার বিপরীতে ডাঃ দীপু মনি ও মুহম্মদ শফিকুর রহমান তাঁদের নির্বাচনী গণসংযোগ ও উঠোন বৈঠকে শুধু দেশব্যাপী সরকারের উন্নয়ন ও এলাকায় নিজেদের উন্নয়ন কাজগুলো জনগণের সামনে তুলে ধরেন।

এ বিষয়ে মন্তব্য করতে গিয়ে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মী ও ভোটাররা বলেন, তার এমন অশালীন, মিথ্যাচার, এবং অসংলগ্ন কথাবার্তায় বুঝা যায় তিনি মনস্তাত্ত্বিক দিক থেকে বেসামাল হয়ে পড়েছেন। আবার অনেকে বলেন, শামছুল হক ভূঁইয়ার তো আসলে জনগণের কাছে গিয়ে ভোট চাওয়ার মতো এলাকায় তার ব্যক্তিগত কোনো অবদান বা অর্জন নেই। চাঁদপুর সদর ও হাইমচরের জনগণের জন্যে তো তাঁর কোনো ধরনের কন্ট্রিবিউশান নেই। তিনি কী বলে ভোটারদের কাছে ভোট চাইবেন! তিনি তো চাঁদপুরবাসীকে এমন কিছু দেননি যার বদৌলতে তিনি তাদের পবিত্র ভোট চাইতে পারেন। সে জন্য তিনি কদর্য ভাষায় প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করে আক্রমণ করার পথ বেছে নিয়েছেন। তাঁর এসব উস্কানিমূলক বক্তৃতার তীব্র নিন্দা জানিয়ে ভোটাররা এর জবাব আগামী ৭ জানুয়ারি ব্যালটের মাধ্যমে দেবেন বলে জানান।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়