রবিবার, ১৯ জানুয়ারি, ২০২৫  |   ১৮ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   কুমিল্লা সীমান্তে পুকুরে দেয়াল নির্মাণ করছে বিএসএফ, সতর্ক অবস্থানে বিজিবি
  •   টিউলিপ সিদ্দিকের পদত্যাগের দাবির মধ্যে নতুন বিতর্ক
  •   স্বামী বিবেকানন্দের জন্মদিনে হাজীগঞ্জ রামকৃষ্ণ সেবাশ্রমের শীতকালীন ত্রাণসেবা
  •   খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য স্থিতিশীল, করা হবে বিশেষ কিছু পরীক্ষা
  •   সীমান্তে অস্থিরতা: পাগল বেশে ভারত থেকে বাংলাদেশে প্রবেশ কারা?

প্রকাশ : ০৩ জানুয়ারি ২০২৪, ০০:০০

সংসদ সদস্য প্রার্থীদের চোখে ফরিদগঞ্জ

উন্নয়নের চেয়ে বেশি প্রয়োজন মানুষের মৌলিক মানবাধিকার নিশ্চিত করা

--------ড. মোঃ শাহ্জাহান

অনলাইন ডেস্ক
উন্নয়নের চেয়ে বেশি প্রয়োজন মানুষের মৌলিক মানবাধিকার নিশ্চিত করা

আগামী ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হচ্ছে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। যে দলগুলো এ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছে, ইতোমধ্যে তারা তাদের প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে। ১৮ ডিসেম্বর প্রতীক পাওয়ার পর প্রার্থীরা মাঠে জোর প্রচারণা চালাচ্ছেন। চাঁদপুর-৪ (ফরিদগঞ্জ) আসনে মোট ৮জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এঁদের অন্যতম বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলন (বিএনএম)-এর মহাসচিব ড. মোঃ শাহজাহান।

আগামী ৫ বছর ফরিদগঞ্জকে নিয়ে কী পরিকল্পনা করছেন এবং জাতীয় সংসদে গিয়ে কী ভূমিকা পালন করবেন তা জানালেন ড. মোঃ শাহজাহান। যিনি আন্তর্জাতিকভাবে বহুল পরিচিত বিশিষ্ট মানবাধিকার ও গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব। তিনি ‘গ্লোবাল ইন্টারফেইথ ডায়ালগ ফর ইন্টার-রিলিজিয়ন পিস এন্ড হারমোনি’র প্রেসিডেন্ট। ‘বাংলাদেশ মানবাধিকার ফেডারেশনে’র চেয়ারম্যান। ‘বাংলাদেশ মানবাধিকার ব্যুরো’ ও ‘সাউথ এশিয়ান ফ্যাটার্নিটি (সাফ) বিডি’র প্রতিষ্ঠাতা ও মহাসচিব। তিনি এক সময়কার একমাত্র টিভি চ্যানেল বিটিভি’র ব্যাপক দর্শক নন্দিত অনুষ্ঠান ‘দৃষ্টিকোণ’-এর জনপ্রিয় উপস্থাপক ছিলেন। মালয়েশিয়ায় এক বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ড. মোঃ শাহজাহানকে ‘সুপারস্টার ইন্টারন্যাশনাল আইকনিক অ্যাওয়ার্ড’ প্রদান করা হয়। দৈনিক চাঁদপুর কণ্ঠের ফরিদগঞ্জ প্রতিনিধি নূরুল ইসলাম ফরহাদের মুখোমুখি হয়েছেন ড. মোঃ শাহজাহান।

চাঁদপুর কণ্ঠ : কেমন আছেন?

ড. মোঃ শাহজাহান : আলহামদুলিল্লাহ, ভালো আছি।

চাঁদপুর কণ্ঠ : আপনি কি মনে করেন সুষ্ঠু নির্বাচন হলে আপনি বিজয়ী হবেন?

ড. মোঃ শাহজাহান : অবশ্যই, ইনশাআল্লাহ। আমি মনে করি, অবাধ-সুষ্ঠু-নিরপেক্ষ নির্বাচন হলে আমি শুধু বিজয়ী হবই না, বিপুল ভোটে বিজয়ী হব।

চাঁদপুর কণ্ঠ : জনগণ কেন আপনাকে ভোট দিবে?

ড. মোঃ শাহজাহান : জনগণ ভোট দেয়ার অনেক কারণ আছে, যেমন ধরুন যে, এই এলাকায় এখন যারা নেতৃত্বে আছেন বা বিগত দিনে যারা নেতৃত্বে ছিলেন, এরা সবাই আমার হাতে তৈরি। আমি আলহামদুলিল্লাহ কিং ম্যাকার। নিজে কিং হতে পেরেছি কি না জানি না, তবে যে প্রফেশনে যাকেই আমি একটু সাপোর্ট দিয়েছি তারা সেখানের শীর্ষপদে গেছেন। যেমন-আমি যখন ছাত্ররাজনীতি করি, যাদেরকে আমার হাতে তুলেছি তারা অনেকেই মন্ত্রী হয়েছে। আমার অনেক জুনিয়ররা বিচারপতি হয়েছেন। যাদেরকে আমি ইলেকট্রিক জার্নালিজম একটু শিখিয়েছি তারা এখন দেশ-বিদেশে বহু প্রিন্ট এবং ইলেকট্রিক মিডিয়ার মালিক। ফরিদগঞ্জে যেটা আমি করেছি- আমি ফরিদগঞ্জে রাজনীতি করি ১৯৭৮ সাল থেকে। তার পরপরই সাধারণ মানুষের সাথে আমার সম্পৃক্ততা। আমি আমার মোটরসাইকেলে ফরিদগঞ্জের প্রতিটি বাড়ি ঘুরেছি। তারপর ২০০৬ সালের দিকে যখন জরুরি সরকার এলো, তার বেশ আগে থেকে আমি নির্বাচন করবো বলে ফরিদগঞ্জে ব্যাপক গণসংযোগ করেছি। প্রতিটি ঘরে আমি গিয়েছি। আমি এখন গণসংযোগ করতে গেলে মানুষ বলে ‘আমাদের শাহাজান ভাই’। জনগণ আমাকে ভালোবাসে, তাই তারা ভোট দিবে। আমি ফরিদগঞ্জে সেলাই প্রশিক্ষণ করিয়েছি। কম্পিউটার প্রশিক্ষণও করিয়েছি একসময়।

চাঁদপুর কণ্ঠ : আপনি একসময় বিএনপির রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত ছিলেন। এখন বিএনএমণ্ডএর মহাসচিব। দুই দলের রাজনৈতিক দর্শনের মধ্যে পার্থক্য কী?

ড. মোঃ শাহজাহান : খুব বেশি পার্থক্য নেই। বিএনপিও জাতীয়তাবাদী আদর্শে বিশ্বাসী, আমরাও জাতীয়তাবাদী আদর্শে বিশ্বাসী। জাতীয়তাবাদী শক্তির কনসেপ্টটা একটু ডিফারেন্ট থাকে, সুতরাং আদর্শ বা দর্শনগত দিক থেকে আমাদের বেশি অমিল নেই।

চাঁদপুর কণ্ঠ : চায়ের টেবিলের চর্চিত একটি প্রশ্ন : বিএনএম কি সময়ের চাহিদা নাকি দল ভাঙ্গার খেলা?

ড. মোঃ শাহজাহান : দল ভাঙ্গার খেলা হবে কেন? যদি তা-ই হতো, তাহলে আমরাও অন্য দলগুলোর মতো আসন ভাগাভাগি করতাম, কিন্তু সেটা আমরা করিনি।

চাঁদপুর কণ্ঠ : স্বাধীনতার ৫২ বছর পর বাংলাদেশের রাজনীতির গুণগতমান কতটুকু পরিবর্তন হয়েছে?

ড. মোঃ শাহজাহান : এটা একটা আপেক্ষিক প্রশ্ন এবং এটার উত্তরটাও মিশ্র। আপনি দু’ভাবে দেখতে পারেন। এক গ্লাস পানি চাইলে যদি কেউ আধা গ্লাস পানি দেয়- আপনি যদি বলেন তিনি কৃপণ মানুষ, এক গ্লাস পানি চেয়েছি দিয়েছে আধা গ্লাস, সেটা যেমন বলা যায়, তেমনি আবার বলতে পারেন আমি তৃষ্ণার্ত ছিলাম, সে আমাকে পানি দিয়েছে, আমি তৃষ্ণা মিটালাম। দুইভাবেই বিচার করা যায়। রাজনীতির গুণগতমানের ক্ষেত্রে আমি বলব যে, ডেকোরেশনটা বেশি, গুণগত উৎকর্ষতা খুব কমই হয়েছে। এই উৎকর্ষতা হয়নি বলেই আমাকে নতুন একটি রাজনৈতিক দল নিয়ে এগিয়ে আসতে হয়েছে।

চাঁদপুর কণ্ঠ : রাজনীতিতে এখন আর ভালো মানুষরা আসতে চায় না কেন?

ড. মোঃ শাহজাহান : হ্যাঁ, এটা খুবই ইমপর্ট্যান্ট প্রশ্ন। ক্লাসে গিয়ে যদি একটি মেধাবী ছাত্রকে জিজ্ঞেস করেন, ভবিষ্যতে কী হবে? সে চোখ বন্ধ করে বলবে, ডাক্তার অথবা ইঞ্জিনিয়ার হবো। কিন্তু কেউ বলবে না রাজনীতিবিদ হবো। তার মানে রাজনীতিটা কারা করবে? রাজনীতি করার জন্য মেধাবীদের প্রয়োজন নেই? চৌকষ মানুষদের প্রয়োজন নেই? যারা সবকিছু নিয়ন্ত্রণ করে, তারা যদি মেধাবী না হয় তাহলে জাতিগতভাবে আমরা উন্নত হতে পারব না। আমাদের কনসেপ্ট হচ্ছে, আমরা রাষ্ট্র ক্ষমতায় যাব না, রাষ্ট্র ব্যবস্থাপনায় যেতে চাই। এখানেও রাজনীতিতে মেধাবীরা আসতে চায় না, ভালো মানুষরা আসতে চায় না। রাজনীতির প্রতি একটা অনীহা তৈরি হয়েছে। এ অনীহা তৈরি হওয়ার জন্যে রাজনীতিবিদরাই দায়ী। আগে জমিদারের ছেলে রাজনীতি করে ফকির হয়ে যেত, এখন ফকিরের ছেলে রাজনীতি করে জমিদারের মতো টাকা-পয়সার মালিক হয়ে যায়। একটা ওয়ার্ড নেতা কয়েকশ কোটি টাকার মালিক হয়ে যায়। এটা কীভাবে হয়? আলাদিনের চেরাগ তো আসেনি!

চাঁদপুর কণ্ঠ : বাংলাদেশের নির্বাচনের একটি স্থায়ী ব্যবস্থা দরকার আছে বলে কি আপনি মনে করেন?

ড. মোঃ শাহজাহান : অবশ্যই। নির্বাচনের প্রতি মানুষের আস্থা ফিরিয়ে আনা জরুরি। নির্বাচনের জন্য স্থায়ী ব্যবস্থা করা জরুরি। কারণ মানুষ এখন আস্থার সংকটে ভুগছে। এটার জন্য যারা দায়ী তাদেরকেই তা ফিরিয়ে আনতে হবে। আবার সবাইকে এটার জন্য সহযোগিতাও করতে হবে। কারণ ভোট একটি পবিত্র আমানত।

চাঁদপুর কণ্ঠ : রাজনীতিতে আপনার শেষ লক্ষ্য কী?

ড. মোঃ শাহজাহান : রাজনীতিতে আমার শেষ লক্ষ্য হলো একটি সুখী এবং সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়া। এটা হয়তো সিম্পল, কিন্তু এটাকে বাস্তবায়ন করতে হলে অনেক বিষয়ের প্রয়োজন রয়েছে। যেমন- গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক সেপ দেওয়া। গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক সেপ দিতে হলে মানুষের মৌলিক অধিকারকে এনসিউর করতে হবে। সেটা এনসিউর করতে হলে মানবাধিকারকে স্ট্যান্ডার্ড করতে হবে। সেটা করতে গেলে এখানে প্রয়োজন পড়বে আইনের শাসন এবং সামাজিক ন্যায়বিচার- এটা প্রতিষ্ঠা করা। আবার আইনের শাসন এবং সামাজিক ন্যায়বিচার যদি প্রতিষ্ঠিত করতে হয় তাহলে তার জন্য প্রয়োজন রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা। রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার জন্য আবার প্রয়োজন গণতান্ত্রিক পরিবেশ। একটা আরেকটার সাথে অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িত। এগুলোর কোনো একটার যদি ব্যত্যয় ঘটে তাহলে টোটাল চেইন অফ কমান্ড নষ্ট হয়ে যায়। যেটা এখন চলছে। অনেকদিন ধরেই চলছে। বাংলাদেশের ক্ষেত্রে হচ্ছে, যিনি সরকারে থাকেন তার কাছে মানবাধিকার, উচ্চ আদালত, আইনের শাসন, সামাজিক ন্যায়বিচার এই কথাগুলোর কোনো মূল্য থাকে না। আবার যিনি বিরোধী দলে থাকেন তার কাছে এগুলো খুব মিষ্টি জিনিস, খুব ভালো জিনিস। কিন্তু চেয়ারটা বদল হলে সেগুলো ভুলে যায়। সেজন্য আমরা মনে করি যে, আগামীর সুখী এবং সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে গেলে এটাকে স্ট্যান্ডার্ড করা প্রয়োজন। বাংলাদেশের মানুষের চাহিদা খুবই স্বল্প। তারা দু’বেলা দু’মুঠো খেয়ে বাঁচা এবং একটু সুখনিদ্রা যাওয়ার আশা করে। এখন দুটোর কোনোটাই পাচ্ছে না। দ্রব্যমূল্যের যে উর্ধ্বগতি, তাতে দুবেলা দুমুঠো খাওয়ার সুযোগ নেই। আর সুখনিদ্রা যাওয়ারও কোনো সুযোগ নেই। কারণ ভিন্নমতের কারণে অনেক নেতা-কর্মীকে বিভিন্ন জায়গায় পালিয়ে বেড়াতে হচ্ছে। ধানক্ষেতে পাটক্ষেতে শুয়ে থাকতে হচ্ছে। এটা সুখকর বার্তা দেয় না। আমরা চাই দেশের প্রতিটি মানুষ সুখে থাকুক। সে যে দলের হোক, যে মতের হোক।

চাঁদপুর কণ্ঠ : আপনি আপনার অবস্থান থেকে জাতিকে কতটুকু স্বপ্ন দেখাতে পেরেছেন?

ড. মোঃ শাহজাহান : আমি স্বপ্ন দেখাতে পেরেছি বলেই আত্মপ্রকাশের পর থেকে আমাদের এখানে গুণীদের পদচারণা বাড়ছে। জাতীয় পার্টির সাবেক সংসদ সদস্য, সাবেক বিচারপতি, সাবেক সেনা কর্মকর্তারা আমাদের এখানে আছেন।

চাঁদপুর কণ্ঠ : বাংলাদেশের গণতন্ত্র পিছিয়ে থাকার অন্যতম কারণ রাজনীতিবিদদের রাজনৈতিক চর্চার অভাব। আপনি কি তা মনে করেন?

ড. মোঃ শাহজাহান : এটা তো আছেই। এটা সত্য, রাজনীতিবিদদের রাজনৈতিক চর্চা বলতে কিছুই নেই। রাজনীতি মানে হয়ে গেছে- এটা আমার পেশা। যারা পরিচ্ছন্ন রাজনীতি করেন তাদের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে বলছি, এখন যারা রাজনীতি করেন তাদের অধিকাংশ মনে করেন, রাজনীতি করলে সহজে টাকাওয়ালা হওয়া যায়। এটাকে তারা টেন্ডারবাজির বড় জায়গা মনে করেন। এসব অনৈতিক কর্মকাণ্ডের কারণে ভালো মানুষদের রাজনীতির প্রতি অনীহা।

চাঁদপুর কণ্ঠ : আপনি কি ক্ষমতার জন্যে নাকি জনগণের জন্যে রাজনীতি করেন?

ড. মোঃ শাহজাহান : আমি আগেই বলেছি, আমরা ক্ষমতার জন্যে তো নই, আমরা ক্ষমতায় বিশ্বাস করি না। আমরা রাষ্ট্র ব্যবস্থাপনার কথা বলছি। ক্ষমতা মানে নিজের মধ্যে একটা অহমিকা জন্মে। একটা আত্মণ্ডঅহংকারের জায়গা তৈরি হয়। আমার এটা, আমার ওটা। এই ক্ষমতা আমি কখনই বিশ্বাস করি না। আমার দৃষ্টিভঙ্গির সাথে হয়তো অনেকের চিন্তাভাবনা মিলবে না। আমি মনে করি সর্বময় ক্ষমতার মালিক মহান আল্লাহ তায়ালা। আমি রাজনীতিকে মানুষের কল্যাণে ব্যয় করতে চাই।

চাঁদপুর কণ্ঠ : আপনি বিজয়ী হলে আগামী ৫ বছর ফরিদগঞ্জের জন্যে কী করবেন?

ড. মোঃ শাহজাহান : অন্যদের তুলনায় একটু ব্যতিক্রম চিন্তা নিয়ে আমি এগুচ্ছি। অনেক চিন্তা রয়েছে ফরিদগঞ্জকে নিয়ে, সবকিছু এখন বলা সম্ভব নয়। দু-একটি বলব। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো : এখানে উন্নতমানের একটা মেডিকেল কলেজের অভাব ফিল করছি। বেকার যুবকদের কর্মসংস্থান করব। বেকার মেয়েদের কর্মসংস্থান করব। ফরিদগঞ্জের সাথে ঢাকার যাতায়াত ব্যবস্থাকে আরো দ্রুত এবং আধুনিকায়ন করা। রেল যোগাযোগ স্থাপন করা। এখানে যদি গ্যাস আনা যায়, তাহলে এখানকার মানুষদের দীর্ঘদিনের চাহিদা পূরণ হবে। এখানকার নদীগুলোকে শাসন করে এগুলাকে যথাযথভাবে কাজে লাগানো। বিশেষ করে রাস্তা-ঘাট, ব্রিজ-কালভার্ট, হাটবাজারগুলোর গুণগত মান নিয়ে কাজ করতে চাই। ফরিদগঞ্জকে মাদকমুক্ত করা জরুরি। যারা জনপ্রতিনিধি হবেন তাদের সততা, ন্যায় এবং নৈতিকতার চর্চা করানোর চেষ্টা করব। আমি মনে করি, জনপ্রতিনিধি যদি সৎ হন, তাহলে মনে করি অন্য কোনো কর্মকর্তার সাহস হবে না অন্যের হক আত্মসাৎ করে নিজেদের পকেট ভারী করার। সেজন্যে সৎ জনপ্রতিনিধি যাতে উপজেলা থেকে, পৌরসভা থেকে, ইউপি থেকে চেয়ারম্যান, মেম্বার লেবেল পর্যন্ত সৎ স্ট্রাকচার হয়ে যায়, তাহলে একটা উপজেলা মডেল হতে সময় লাগে না।

চাঁদপুর কণ্ঠ : আমার পরবর্তীতে দু’টি প্রশ্ন ছিল, যার উত্তর আপনি ইতিমধ্যে দিয়ে দিয়েছেন। প্রশ্ন ছিল-‘শিল্প উন্নয়ন বলতে ফরিদগঞ্জে তেমন কিছুই নেই। আপনি বিজয়ী হলে শিল্প উন্নয়নে কাজ করার পরিকল্পনা আছে কি না? দ্বিতীয় প্রশ্নটি ছিল-ভৌগোলিক দিক থেকে ফরিদগঞ্জ গুরুত্বপূর্ণ হলেও এখানে রেল যোগাযোগ নেই। নেই গ্যাস। যা শিল্প উন্নয়নের পূর্বশর্ত। উত্তর তো পেয়েই গেলাম।

এবার বলুন যে, সমাজে প্রচলিত আছে, জনপ্রতিনিধিরা নির্বাচনের পর জনগণকে দেওয়া প্রতিশ্রুতি ভুলে যায়। এ কথা কতটুকু সত্য?

ড. মোঃ শাহজাহান : এটা তো অনেক ক্ষেত্রে সত্য। ভুলে যায় বলেই তো জনগণের ক্ষোভ, আক্ষেপের জায়গাটা তৈরি হয়।

চাঁদপুর কণ্ঠ : আমাদের রাজনীতি, সমাজনীতি এবং সংস্কৃতি-রাষ্ট্রের এই তিন স্তম্ভের চর্চা নিয়ে মানুষ উদ্বিগ্ন। এই ব্যাপারে আপনার মন্তব্য জানতে চাই।

ড. মোঃ শাহজাহান : হ্যাঁ, মানুষ উদ্বিগ্ন তো হচ্ছেই। কারণ আমাদের রাজনীতি, সমাজনীতি, সংস্কৃতির চর্চার জায়গাগুলোকে মূল্যবোধের অবক্ষয়জনিত জিনিসের মধ্যে ঢুকে গেছে। সংস্কৃতির বিকাশের জায়গাই তো এখন হচ্ছে না। বরং সে অপসংস্কৃতির দিকে ঝুঁকে যাচ্ছে। সে আজকাল ডিজিটাল আসক্তির দিকে ঝুঁকে যাচ্ছে।

চাঁদপুর কণ্ঠ : চারদিকে শুধু হতাশা। সবশেষে একটা আশার কথা শোনান।

ড. মোঃ শাহজাহান : আমরা একটা সুখী সমৃদ্ধ এবং স্বপ্নের বাংলাদেশ গড়ব। বাংলাদেশের মানুষের যে লিমিটেড চাহিদা, সেই চাহিদা নিয়ে মানুষ যাতে সুখে-শান্তিতে বসবাস করতে পারে, আমরা এই জায়গাটায় অ্যাড্রেস করতে চাই। উন্নয়নের চেয়ে বেশি প্রয়োজন মানুষের মৌলিক মানবাধিকারটাকে এনসিউর করা। কারণ উন্নয়ন আইউব খাঁনও এদেশে করেছে। কিন্তু সেটা কাজে লাগেনি। আমি মনে করি, যদি টেকসই উন্নয়ন করতে হয়, তাহলে সততার প্রয়োজন রয়েছে, ন্যায়-নীতির প্রয়োজন রয়েছে। আদর্শ এবং মূল্যবোধের জায়গা থাকা প্রয়োজন।

চাঁদপুর কণ্ঠ : সময় দেওয়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।

ড. মোঃ শাহজাহান : আপনাকেও ধন্যবাদ। চাঁদপুর কণ্ঠ এবং পাঠকদেরকেও ধন্যবাদ।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়