প্রকাশ : ০২ জানুয়ারি ২০২৪, ০০:০০
কচুয়ায় প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছে নৌকার প্রার্থী ॥ ঢিলেঢালা প্রচারণায় অন্য দুই প্রার্থী
চাঁদপুর-১ আসন কচুয়া উপজেলা নিয়ে গঠিত। এটি আওয়ামী লীগের শক্ত ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত। আসনটি থেকে মোট তিনবারের এমপি হয়েছিলেন সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মহীউদ্দীন খান আলমগীর। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এবার মনোনয়ন দেয়া হয়েছে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের দুবারের তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক ড. সেলিম মাহমুদকে। প্রতীক পেয়ে নৌকার বিজয়ের জন্যে জোরেশোরে প্রচার-প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন তিনি। অপরদিকে নৌকার বিপরীতে লড়ছেন ইসলামি ফ্রন্টের চেয়ার প্রতীকের প্রার্থী মোঃ সেলিম প্রধান ও জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ)-এর মশাল প্রতীকের প্রার্থী মোঃ সাইফুল ইসলাম সোহেল।
সরজমিনে গেলে সাধারণ ভোটাররা জানান, আনুষ্ঠানিকভাবে প্রতীক বরাদ্দের পর নিয়ম রক্ষার নির্বাচনী প্রচার চালিয়ে যাচ্ছেন ইসলামি ফ্রন্টের চেয়ার প্রতীকের প্রার্থী সেলিম প্রধান ও জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ)-এর মশাল প্রতীকের প্রার্থী মোঃ সাইফুল ইসলাম সোহেল। ফলে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই না থাকায় নৌকা প্রতীকের প্রার্থী তাঁর সমর্থকদের নিয়ে প্রচার-প্রচারণাও চালাচ্ছেন ঢিলেঢালাভাবে। তারা আরো জানান, ৭ জানুয়ারির নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বড় প্রতিদ্বন্দ্বী দল বিএনপি নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে না। নৌকার প্রার্থীর সঙ্গে অন্য যেই দুই প্রার্থী প্রতিদ্ধন্দ্বিতা করছেন তাদেরকে সাধারণ ভোটাররা চেনেন না ও জানেন না। ফলে এই আসনে কোনো শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতা ছাড়াই নৌকার প্রার্থী এমনিতেই বিজয়ী হবে।
করইশ গ্রামের ভোটার সোহাগ জানান, নৌকার প্রার্থী সেলিম মাহমুদ মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন। কোনো শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতা ছাড়াই তিনি এবার এমপি হবেন। ইসলামিক ফ্রন্টের প্রার্থী সেলিম প্রধানের চোখে পড়ার মতো কোনো গণসংযোগ নেই। তেমন কোনো পোস্টারও দেখা যাচ্ছে না। আর জাসদের প্রার্থী সাইফুল ইসলাম সোহেল কোনো রকম প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন।
লুন্তি গ্রামের ভোটার সুমন শিকদার জানান, শেখ হাসিনার ধারাবাহিক উন্নয়নে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকার প্রার্থী ড. সেলিম মাহমুদ জোরেশোরে প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন। আমরা আশাবাদী ৭ তারিখ বিপুল ভোটে সেলিম মাহমুদকে বিজয়ী করবে কচুয়াবাসী।
ইসলামিক ফ্রন্টের প্রার্থী সেলিম প্রধান বলেন, বিরতিহীনভাবে আমি আমার কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে উপজেলার ১২টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভায় আমার সাধ্যমতো চেয়ার প্রতীকে ভোট চেয়ে প্রচার প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছি। ইসলামিক দল হিসেবে জনগণ আমাকেই তাদের মূলবান ভোট দিয়ে নির্বাচিত করবে।
জাসদের প্রার্থী সাইফুল ইসলাম সোহেল জানান, নেতা-কর্মীদের সাথে নিয়ে যতটুকু সম্ভব প্রচার চালিয়ে যাচ্ছি। পুরনো দল হিসেবে ভোটাররা আমাকে নির্বাচিত করবে বলে আমি আশাবাদী।
নৌকা প্রতীকের প্রার্থী ড. সেলিম মাহমুদ বলেন, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক পদে দুই মেয়াদে আমি অধিষ্ঠিত আছি। জননেত্রী শেখ হাসিনা দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কচুয়া আসন থেকে আমাকে দলীয় মনোনয়ন দিয়েছেন। উন্নয়নের মার্কা নৌকা। স্বাধীনতার মার্কা নৌকা। বঙ্গবন্ধুর মার্কা নৌকা। কচুয়াবাসীও নৌকা প্রতীককে মনেপ্রাণে ধরে রেখেছে। দলীয় নেতা-কর্মীদের নিয়ে ভোটারদের দ্বারে দ্বারে নৌকা প্রতীকে ভোট চেয়ে প্রচার-প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছি উপজেলার প্রতিটি গ্রামে। আমার বিশ্বাস, আগামী ৭ তারিখ ভোট উৎসবের দিন ভোটাররা তাদের একমাত্র আমানত নৌকা প্রতীকেই দিবেন। জয় নৌকা প্রতীকেরই হবে। আমি নৌকা প্রতীকে এমপি নির্বাচিত হলে দলমত নির্বিশেষে কচুয়াবাসীসহ দেশ ও জনগণের কল্যাণে কাজ করবো।