প্রকাশ : ২৯ ডিসেম্বর ২০২৩, ০০:০০
ফরিদগঞ্জে মহাসড়ক গিলে খাচ্ছে মাছ
সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের উদাসীন মনোভাব, ইজারার পূর্বে নামমাত্র হচ্ছে সংস্কার
মহাসড়ক ছেড়ে মাছের খামারে আশ্রয় নেয়া নারিকেল গাছগুলো দেখে বুঝতে বাকি থাকে না মহাসড়ক গিলে খাচ্ছে মাছে। এ চিত্র ফরিদগঞ্জ পৌরসভাস্থ চরকুমিরা এলাকায় (সাবেক বেইলি ব্রিজ) চাঁদপুর-লক্ষ্মীপুর আঞ্চলিক মহাসড়কের।
সরেজমিনে দেখা গেছে, আঞ্চলিক মহাসড়কের পাশেই গড়ে উঠেছে মাছের খামার। খামারের তিন পাড় সুরক্ষায় ব্যবস্থা থাকলেও আঞ্চলিক মহাসড়কের সুরক্ষায় গাইডওয়াল কিংবা অন্য কোনো ব্যবস্থা না থাকায় মহাসড়কের মাটি গিলে খেয়েছে মাছ। ফলে ইতোমধ্যেই ফুটপাত বিলীন হয়েছে খামারে। মহাসড়কের পাশে থাকা গাছগুলো হেলে পড়েছে খামারের বুকে। গোড়ার মাটি সরে সড়কের পাশে থাকা নিরাপত্তা খুঁটির বেশ ক’টি খামারে গিয়ে পড়েছে। সড়কের পাদদেশে মাছের বড় বড় গর্ত থাকায় যে কোনো সময় সড়কে ধস নামার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।
বছরের শেষ প্রান্ত। ইতোমধ্যেই নতুন করে খামার ইজারা দিতে তোড়জোড় চলছে। দায়সারা গোছে সড়কের দু পাশে মাটি ফেলছে খামার কর্তৃপক্ষ। মৌসুমের শুরুতে বরাবরের ন্যায় সে মাটি খামারে বিলীন হয়ে যাবে বলে মন্তব্য স্থানীয়দের। খামার থেকে চাষী-মহাজনরা লাভবান হলেও মহাসড়ক সুরক্ষায় পদক্ষেপ না নেয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন কেউ কেউ। মহাসড়ক ক্ষতিগ্রস্ত হলে উপজেলাবাসীর পাশাপাশি দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সাথে বাণিজ্য নগরী চট্টগ্রামের বাণিজ্যে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। পাশাপাশি সরকারের উন্নয়ন কার্যক্রম প্রশ্নবিদ্ধ হবে বলে ধারণা তাদের।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, প্রতি বছর বিশাল অঙ্কে ইজারা হয় মাছের খামার। তা সত্ত্বেও মহাসড়ক রক্ষায় স্থায়ী পদক্ষেপ নিচ্ছে না খামার কর্তৃপক্ষ। উদাসীন মহাসড়ক সুরক্ষায় নিয়োজিত সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষও। স্থায়ী পদক্ষেপ গ্রহণ ব্যতীত খামার ইজারা নয়--এমন দাবি জানিয়েছেন তারা। এক্ষেত্রে সরকারের দায়িত্বশীল দপ্তরগুলো দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করবে বলে প্রত্যাশা তাদের।