প্রকাশ : ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০০:০০
প্রায় ২৫ বছর পর হাজীগঞ্জের ৭নং বড়কুল পশ্চিম ইউনিয়নের ঐতিহ্যবাহী রামচন্দ্রপুর কাসেমিয়া ছিদ্দিকিয়া ফাজিল (ডিগ্রি) মাদ্রাসার সীমানা নির্ধারণ করা সম্ভব হয়েছে। প্রতিষ্ঠানের গভর্নিংবডির বর্তমান সভাপতি ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আবুল হাসেম (এম.এ. হাসেম হাসু)-এর সার্বিক প্রচেষ্টায় মাদ্রাসা তার সম্পত্তি বুঝে পেলো। গত মঙ্গলবার (২৬ সেপ্টেম্বর) মাদ্রাসার নিজস্ব ৪৭ শতাংশ সম্পত্তির (ভূমি) সীমানা নির্ধারণ করা হয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ওই ইউনিয়নের ৯২নং রামচন্দ্রপুর মৌজার বিএস ৯৭ দাগে ৪৫ শতাংশ ও ৯৮ দাগে ২ শতাংশসহ মোট ৪৭ শতাংশ ভূমি মাদ্রাসার নামের রয়েছে। কিন্তু মাদ্রাসার বেশকিছু সম্পত্তি এলজিইডি সড়কের পাশে হওয়ায় কিছু সম্পত্তি মাদ্রাসার দখলে আর কিছু সম্পত্তিতে স্থানীয়রা দোকানঘর তুলে নিজেদের দখলে রেখেছেন। এতে বেশ কিছু সম্পত্তি মাদ্রাসার বেহাত হয়ে যায়।
এর মধ্যে গত প্রায় পঁচিশ বছর ধরে স্থানীয় প্রভাবশালী ও সরকারি কর্মকর্তাসহ অনেকে মাদ্রাসা পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি এবং একাধিক ব্যক্তি অধ্যক্ষ পদে দায়িত্ব পালন করেছেন। কিন্তু কেউ মাদ্রাসার সীমানা নির্ধারণে উদ্যোগ গ্রহণ করেননি এবং মাদ্রাসারও দৃশ্যমান কোনো উন্নয়ন হয়নি। সবশেষ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম.এ. হাসেম হাসু মাদ্রাসার সভাপতি নির্বাচিত হওয়ার পর তিনি বেশ কয়েকটি পদক্ষেপ গ্রহণ করেন।
মাদ্রাসার সম্পত্তির সীমানা নির্ধারণ ও নতুন ভবন নির্মাণের প্রতি গুরুত্বারোপ করেন। এম.এ. হাসেম হাসু চাঁদপুর-৫ (হাজীগঞ্জ-শাহরাস্তি) নির্বাচনী এলাকার সংসদ সদস্য মেজর (অবঃ) রফিকুল ইসলাম বীর উত্তমের দেয়া ডিও লেটারের মাধ্যমে নতুন একাডেমিক ভবন নির্মাণের অনুমোদন ও মাদ্রাসার সীমানা নির্ধারণের কাজ শুরু করেন। যার ফলে মঙ্গলবার (২৬ সেপ্টেম্বর) মাদ্রাসার সীমানা নির্ধারণ করা হয়।
এ সময় মাদ্রাসা পরিচালনা পর্ষদের সহ-সভাপতি এমরান হোসেন খন্দকার, দাতা সদস্য জামাল উদ্দিন খন্দকার, ম্যানেজিং কমিটির অভিভাবক সদস্য হাবিবুর রহমান ভূঁইয়া, মফিজুল ইসলাম, শাহাদাৎ হোসেন, অধ্যক্ষ মুহাম্মদ শামছুদ্দীনসহ পরিচালনা পর্ষদের অন্য সদস্য, শিক্ষক, এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
সীমানা নির্ধারণে কাজ করেন সার্ভেয়ার মোঃ ইকবাল হোসেন, মোঃ হুমায়ুন আহমেদ, সাখাওয়াত হোসাইন খন্দকার প্রমুখ।
মাদ্রাসা পরিচালনা পর্ষদ, শিক্ষক, অভিভাবক, দলীয় নেতা-কর্মী ও এলাকার সর্বস্তরের জনসাধারণের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে এম.এ. হাসেম হাসু বলেন, সবার সার্বিক সহযোগিতায় মাদ্রাসার ৪৭ শতাংশ সম্পত্তি নির্ধারণ করা হয়েছে। আশা করছি, খুব দ্রুতই মাদ্রাসার নতুন একাডেমিক ভবন নির্মাণ কাজ শুরু হবে।