বৃহস্পতিবার, ২৩ জানুয়ারি, ২০২৫  |   ১৬ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   হাইমচরে মাটি বোঝাই বাল্কহেডসহ আটক ৯
  •   কচুয়ায় কৃষিজমির মাটি বিক্রি করার দায়ে ড্রেজার, ভেকু ও ট্রাক্টর বিকল
  •   কচুয়ায় খেলতে গিয়ে আগুনে ঝলসে গেছে শিশু সামিয়া
  •   কচুয়ায় ধর্ষণের অভিযোগে যুবক শ্রীঘরে
  •   ১ হাজার ২৯৫ কেজি নিষিদ্ধ পলিথিন জব্দ করেছে কোস্ট গার্ড

প্রকাশ : ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০০:০০

ফরিদগঞ্জে গৃহবধূর আত্মহত্যা ॥ চিরকুটসহ মরদেহ উদ্ধার
ফরিদগঞ্জ ব্যুরো ॥

‘আমার স্বামীর দোষ নাই, আমার স্বামী আমাকে অনেক মায়া করে, আমি সংসারের কোনো কাজ করতে পারি না। আমার ছেলে-মেয়েদের দেখে রেখো স্বামী। আমারে কেউ কোনো কিছু করে নাই, আমার লাশ পুলিশে দিয়েন না’। চিরকুটে এ সব কথা লিখে নিজ ঘরের বাশের আঁড়ার সঙ্গে ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন ৪ সন্তানের জননী নাসিমা বেগম (৩২) নামে এক গৃহবধূ।

ফরিদগঞ্জ উপজেলার ফরিদগঞ্জ দক্ষিণ ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের পূর্ব পোয়া গ্রামে ২৫ সেপ্টেম্বর সোমবার দুপুরে ওই গৃহবধূর বসতঘর থেকে তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। লাশ উদ্ধারের সময়ে চিরকুটটি উদ্ধার করে থানা পুলিশ। গৃহবধূ নাছিমা বেগম ওই গ্রামের মনা গাজী বাড়ির দিনমজুর হিরণ মিয়ার স্ত্রী।

মৃতের বোন হাসিনা বেগম বলেন, গত ২০ বছর পূর্বে আমার বোনের বিয়ে হয়। বিয়ের কিছুদিন পর আমার দুলাভাই বিদেশে চলে যায়। কয়েকটি দেশে বিদেশ করেও আমার দুলাভাই ভালো কিছু করতে না পেরে ৭ বছর পূর্বে দেশে চলে আসে। সে থেকে আমার বোনের মাথায় সমস্যা সৃষ্টি হয়। বিভিন্ন চিকিৎকদের চিকিৎসা নিয়েও ভালো হয়নি। আমার বড় ভাগ্নির বিয়ে হয়েছে, বাকিদের নিয়ে সবসময় চিন্তা করতো আমার বোন। আমার দুলাভাই দিনমজুরের কাজ করেন, কখনো অটোরিকশা চালায়, আবার কখনো কৃষি কাজ করে। হঠাৎ আজকে জানতে পারি আমার বোন গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে।

মৃত ওই গৃহবধূর মেয়ে রাহেলা আক্তার (১০) বলেন, আমার মা অসুস্থ, আমি মাকে দুধ, চা আর রুটি নিজ হাতে সকালে খাওয়াইছি। পরে দাদীর ঘরে গিয়েছি। সেখান থেকে ২ ঘন্টা পর ঘরে এসেছি আমি খাবার খাবো। তারপর দেখি আমার মা ফাঁসি দিয়েছে। তখন আমি চিৎকার দিলে লোকজন এসে দেখে পুলিশকে খবর দেয়।

গৃহবধূর স্বামী হিরণ মিয়া বলেন, আমি যখন যে কাজ পাই, সেই কাজই করি। ২৫ সেপ্টেম্বর সকালে অটোরিকশা নিয়ে বের হয়েছি। ধানুয়া এলাকায় থেকে মোবাইলের মাধ্যমে খবর পেয়েছি আমার স্ত্রী ফাঁসি দিয়েছে। সাথে সাথেই বাড়িতে চলে আসি।

ফরিদগঞ্জ থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) প্রদীপ মণ্ডল বলেন, গৃহবধূর আত্মহত্যার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়েছি। একটি চিরকুট উদ্ধার করা হয়েছে। প্রাথমিক সিমটম দেখে এটিকে আত্মহত্যা বলেই মনে হয়েছে। তবুও মৃত্যুর সঠিক কারণ সম্পর্কে নিশ্চিত হতে তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়