আসন্ন পবিত্র ঈদুল আজহার কোরবানিকৃত পশুর চামড়া সংরক্ষণ ও প্রক্রিয়াজাতকরণে নিরবচ্ছিন্নভাবে লবণ সরবরাহ নিশ্চিত করার জন্যে চাঁদপুর জেলা প্রশাসন ও বিসিকের আয়োজনে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার (২২ জুন) বিকেলে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় সভাপতির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক কামরুল হাসান বলেন, কাঁচা চামড়া নষ্টা বা পাচার হতে দেয়া যাবে না। এর যথাযথ সংরক্ষণ করতে হবে। এটি আমাদের রাষ্ট্রের সম্পদ। এ সম্পদ টিকিয়ে রাখতে সকলকে সচেতন হতে হবে, ভূমিকা রাখতে হবে। তিনি আরো বলেন, চাঁদপুরে ২শ’ ১২টি কোরবানির পশুর হাট রয়েছে। উপজেলা নির্বাহী অফিসারদের মাধ্যমে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে গরুর হাটে লবণ বিক্রির ব্যবস্থা রাখতে হবে। যিনি কোরবানিদাতা তিনিই তার পশুর চামড়া প্রাথমিকভাবে সংরক্ষণ করবেন। রাষ্ট্রীয় সম্পদ চামড়া সংরক্ষণে কোরবানিদাতা হাট থেকেই গরুর সাথে লবণ ক্রয় করবেন। চাঁদপুরে লবণের কোনো সঙ্কট নেই। কোরবানির পরে চামড়া দুই-তিন হাত বদল হয়। কারো অযত্নে যাতে চামড়া নষ্ট না হয় সেজন্যেই লবণ দিয়ে রাখতে হবে। চামড়া যাতে দেশের সর্বোচ্চ রপ্তানি খাত হয় সরকার এ নিয়ে কাজ করছে। এসব বিষয়ে জনসাধারণকে অবগত করতে ইমাম সমাজ জুমার খুতবার আলোচনায় ও ঈদের জামাতে আলোচনায় এবং সাংবাদিকদের প্রচার করতে অনুরোধ জানিয়েছেন তিনি।

অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) বশির আহমেদের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) সুদীপ্ত রায়, চাঁদপুর প্রেসক্লাব সভাপতি এএইচএম আহসান উল্লাহ, বিসিকের সহকারী মহাব্যবস্থাপক মোঃ রবিউল আলম, জেলা ইমামণ্ডমুয়াজ্জিন কল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক মাওঃ মোঃ আবদুর রহমান গাজী, লবণ ব্যবসায়ী ও জনতা সল্টের স্বত্বাধিকারী আবুল কালাম আজাদ, চামড়া ব্যবসায়ী মন্টু রবি দাস, আবেদ আলী বেপারী প্রমুখ।

জনতা সল্টের স্বত্বাধিকারী আবুল কালাম আজাদ সভায় জানান, তার মিলে পর্যাপ্ত লবণ মজুদ রয়েছে। লবণ সংকটের কোনো আশঙ্কা নেই।