শুক্রবার, ০৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫  |   ২০ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   হাইমচরে মাটি বোঝাই বাল্কহেডসহ আটক ৯
  •   কচুয়ায় কৃষিজমির মাটি বিক্রি করার দায়ে ড্রেজার, ভেকু ও ট্রাক্টর বিকল
  •   কচুয়ায় খেলতে গিয়ে আগুনে ঝলসে গেছে শিশু সামিয়া
  •   কচুয়ায় ধর্ষণের অভিযোগে যুবক শ্রীঘরে
  •   ১ হাজার ২৯৫ কেজি নিষিদ্ধ পলিথিন জব্দ করেছে কোস্ট গার্ড

প্রকাশ : ২২ জুন ২০২৩, ০০:০০

টানা দশদিন চিকিৎসা শেষে বাসায় ফিরলেন মেয়র জুয়েল
চাঁদপুর কণ্ঠ রিপোর্ট ॥

চাঁদপুর পৌরসভার মেয়র জিল্লুর রহমান জুয়েল টানা দশদিন চিকিৎসা শেষে বাসায় ফিরেছেন। তিনি ২০ জুন সকালে হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র নিয়ে বাসায় যান। আর এই দশদিন তিনি হাসপাতালের বেডেই অফিস করেছেন। পৌরসভার স্টাফরা গুরুত্বপূর্ণ ফাইল নিয়ে প্রতিদিন হাসপাতালে আসতেন। তাঁর শরীরে অস্ত্রোপচার হয়েছে, তিনি শয্যাশায়ী। তারপরও তিনি পৌরবাসীর সেবায় নিজেকে নিয়োজিত রেখেছেন।

১০ জুন শনিবার দিবাগত রাত প্রায় ২টায় মেয়র জিল্লুর রহমান জুয়েলকে আড়াইশ’ শয্যা বিশিষ্ট চাঁদপুর জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। এর আগে তিনি পেটে তীব্র ব্যথা অনুভব করেন। যার কারণে তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে আসতে হয়। হাসপাতালের সার্জারি ডাক্তারসহ অন্যান্য ডাক্তাররাও খবর পেয়ে ছুটে আসেন। তাৎক্ষণিক সিদ্ধান্ত নেয়া হয় তাঁর হার্নিয়া অপারেশনের। ডাক্তাররা তাই করলেন। হাসপাতালের ডাক্তার ছাড়াও শুভাকাক্সক্ষী হিসেবে ডাঃ মোবারক হোসেন চৌধুরী ও ডাঃ এসএম সহিদ উল্লাহও সে রাতে সার্বক্ষণিক হাসপাতালে ছিলেন। আল্লাহর রহমতে অস্ত্রোপচার সফল হলে তাঁকে সে রাতেই কেবিনে স্থানান্তর করা হয়।

দিনে অনেকে ফেসবুকে মেয়র অসুস্থতার বিষয়টি দেখে হাসপাতালে আসতে থাকেন। এর আগে রাতেই অনেক নেতা-কর্মী ও শুভাকাক্সক্ষী হাসপাতালে রাত কাটান। এভাবেই তিনি ১১ জুন থেকে ২০ জুন সকাল পর্যন্ত হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। তাঁকে দেখতে হাসপাতালে আসেন শিক্ষামন্ত্রী ডাঃ দীপু মনি এমপি, জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপারসহ প্রশাসনের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা এবং দলের অসংখ্য নেতা-কর্মী। তবে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক সাধারণ পৌরবাসী প্রতিদিন হাসপাতালে আসেন মেয়রকে একনজর দেখার জন্যে। তাদের মধ্যে এমন অনেককে বলতে শোনা গেছে, মেয়রের সুস্থতার জন্য নফল রোজা রেখেছেন, নফল নামাজ পড়েছেন।

মেয়র হাসপাতাল থেকে রিলিজ হওয়ার আগের দিন হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডাঃ একেএম মাহবুবুর রহমান, সিনিয়র কনসালটেন্ট ডাঃ সালেহ আহমেদ ও ডাঃ ফয়সাল মেয়রকে দেখতে এবং সর্বশেষ খোঁজ খবর নিতে তাঁর কেবিনে আসেন। তখন মেয়র হাসপাতালের চিকিৎসা সেবায় অসম্ভব রকমের সন্তোষ প্রকাশ করেন। সরকারি হাসপাতালের এমন চিকিৎসা সেবায় তিনি অভিভূত। হাসপাতালের ডাক্তাররাও পৌর মেয়র সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নেয়ায় সন্তোষ প্রকাশ করেন এবং তাঁকে ধন্যবাদ জানান।

এ সময় তিনি হাসপাতালের নানা সমস্যার সমাধানে পৌরসভার সর্বাত্মক সহযোগিতার প্রতিশ্রুতি দেন কর্তৃপক্ষকে।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়