শুক্রবার, ০৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫  |   ১৭ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   হাইমচরে মাটি বোঝাই বাল্কহেডসহ আটক ৯
  •   কচুয়ায় কৃষিজমির মাটি বিক্রি করার দায়ে ড্রেজার, ভেকু ও ট্রাক্টর বিকল
  •   কচুয়ায় খেলতে গিয়ে আগুনে ঝলসে গেছে শিশু সামিয়া
  •   কচুয়ায় ধর্ষণের অভিযোগে যুবক শ্রীঘরে
  •   ১ হাজার ২৯৫ কেজি নিষিদ্ধ পলিথিন জব্দ করেছে কোস্ট গার্ড

প্রকাশ : ১৭ জুন ২০২৩, ০০:০০

২৮ বছরেও রাস্তা পাকাকরণ কাজ শেষ হয়নি
আলমগীর কবির ॥

চাঁদপুর জেলা সদরসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে যাতায়াতের জন্যে উত্তর অঞ্চলের মানুষের একমাত্র সংক্ষিপ্ত পথ মহামায়া-রাজারগাঁও রাস্তা। কিন্তু রাস্তার কিছু অংশ কাঁচা হওয়ায় সামান্য বৃষ্টিতে কাদাযুক্ত হয়ে যানবাহন চলাচল তো দূরের কথা, মানুষ পায়ে পর্যন্ত হাঁটতে পারে না।

মহামায়া-রাজারগাঁও রাস্তাটি চাঁদপুর সদর, মতলব দক্ষিণ ও হাজীগঞ্জ উপজেলার সীমান্তবর্তী এলাকায়। প্রায় ৭ কিলোমিটার রাস্তা তিন উপজেলা মিলে। গত ২৮ বছর ধরে মহামায়া থেকে রাজারগাঁও পাকাকরণ করা হয়েছে প্রায় ৯০ ভাগ। তিন উপজেলার অংশের মধ্যে চাঁদপুর সদর ও মতলব উপজেলার পুরো অংশ এবং হাজীগঞ্জ উপজেলা অংশের ১ কিলোমিটার পাকাকরণ করা হলেও ৭০০ মিটার রাস্তা পাকাকরণ করা হয়নি। তার একমাত্র কারণ এলাকার জনপ্রতিনিধি ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের গাফলতি।

সরেজমিনে গেলে জনৈক সত্তরোর্ধ্ব লোক বলেন, আমরা এমনই হতভাগা যে, চাঁদপুর, মতলব ও হাজীগঞ্জ উপজেলার সীমান্তবর্তী রাস্তার পাশে কেন জন্মগ্রহণ করলাম? মহামায়া থেকে রাজারগাঁও পর্যন্ত রাস্তা পাকা করতে প্রায় ২৮ বছর লেগে গেল। কিন্তু হাজীগঞ্জ উপজেলার রাজারগাঁও অংশের ৭০০ মিটার রাস্তা পাকাকরণের কাজ বাকি রয়ে গেল এবং যা পাকাকরণ করা হয়েছে, সে সড়কটির কার্পেটিং উঠে গেলে গত বছর পুনরায় সংস্কার করা হয়। তিনি দুঃখের সাথে বলেন, সামান্য বৃষ্টি হলেই রাস্তার উপর কোথাও কোথাও হাঁটু পর্যন্ত কাদায় পরিণত হয়। এতে করে লোকজন ও পাশাপাশি প্রতিষ্ঠানের ছাত্র-ছাত্রীরা যাতায়াত করতে পারে না। অনেক সময় জেলা সদর সহ বিভিন্ন স্থানে যেতে হলে বাকিলা, দেবপুর হয়ে যেতে হয়। এতে সময় ও আর্থিক দুটোই ক্ষতি হয়।

ষাটোর্ধ্ব এক বৃদ্ধ বলেন, উক্ত রাস্তাটি পাকাকরণের দাবি উঠলে গত ২০০৯ সালের ডিসেম্বর মাসে দক্ষিণ রাজারগাঁওয়ের একটি সংগঠনের অনুষ্ঠানে স্থানীয় এমপি সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রফিকুল ইসলাম বীর উত্তম মহোদয় প্রধান অতিথির বক্তব্যে বলেন, আগামী ৩ মাসের মধ্যে রাস্তা পাকাকরণ কাজ সম্পন্ন হবে। কিন্তু দুঃখের বিষয়, এমপি মহোদয়ের নির্দেশ উপেক্ষা করে ১ কিলোমিটার রাস্তা পাকাকরণ করা হয় ৪ বছর পর। বাকি ৭০০ মিটার রাস্তা পাকা না হওয়ায় সামান্য বৃষ্টিতে বড় বড় গর্ত সৃষ্টি হয়ে রাস্তার ওপর পানি জমে থাকে। তিনি আরো বলেন, গত ৫ বছরে কয়েকটি বাড়িতে আগুন লাগে এবং দ্রুত ফায়র সার্ভিস আসতে পারে নি। এতে অনেক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।

সি.এন.জি. অটোরিকশার এক ড্রাইভার বলেন, দীর্ঘ দিন যাবৎ এই রাস্তা দিয়ে গাড়ি চালাই। মাহামায়া থেকে রাজারগাঁও যাতায়াত করতে অনেক সময় ব্যয় হয়। রাস্তার ভগ্নদশা এবং পাকাকরণ না হওয়ায় যাত্রী সাধারণের প্রয়োজনের তাগিদে দ্রুত গতিতে গাড়ি চালানো সম্ভব হয় না। যাত্রী সাধারণের অনেক প্রয়োজনীয় সময় ব্যয় হয় এবং যাত্রী সাধারণের বিভিন্ন কথা শুনতে হয়। রাস্তাটি অতি দ্রুত পাকাকরণ না হলে যানবাহনতো দূরের কথা, সাধারণ মানুষও চলাচল করবে না।

ইউপি চেয়ারম্যান হাজী মোঃ আব্দুল হাদী মিয়া বলেন, গত কিছুদিন পূর্বে রাজারগাঁও মহামায়া রাস্তার পাকা করণ কাজের জন্যে উপজেলা কর্তৃক ৯৭ লাখ টাকা বরাদ্দের জন্যে সংশ্লিষ্ট বিভাগে প্রেরণ করা হয়েছে। এমপি মহোদয়ের হস্তক্ষেপে উক্ত রাস্তা পাকাকরণের কাজ শীঘ্রই টেন্ডার হবে এবং এই অর্থ বছরে কাজ হবে বলে আশা করা যায়।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়