প্রকাশ : ১৬ জুন ২০২৩, ০০:০০
![হাইমচরে শিশু ধর্ষণের মামলায় আসামীর যাবজ্জীবন কারাদণ্ড](/assets/news_photos/2023/06/16/image-34355.jpg)
হাইমচর উপজেলার পূর্ব চরকৃষ্ণপুর গ্রামে রাতের বেলা ঘুমন্ত শিশুকে তুলে বাগানে নিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণের ঘটনায় দায়ের করা মামলায় মোঃ শাহআলম (২৮) নামে এক ব্যক্তিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড, ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড এবং অনাদায়ে আরো ৬ মাসের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত।
বৃহস্পতিবার (১৫ জুন) দুপুরে চাঁদপুরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক জান্নাতুল ফেরদাউস চৌধুরী এই রায় দেন।
কারাদণ্ডপ্রাপ্ত শাহআলম চাঁদপুর সদর উপজেলার চান্দ্রা ইউনিয়নের বাখরপুর গ্রামের মোঃ ফারুক মোল্লার ছেলে। ধর্ষণের শিকার শিশু শাহআলমের নিকটাত্মীয়।
মামলার বিবরণ থেকে জানা যায়, ২০১৪ সালের ১৬ জুন রাত আনুমানিক ১১টার দিকে আসামী শাহআলম তার শ্বশুর বাড়ি চরকৃষ্ণপুর যায়। এর আগে তার স্ত্রী নূরুন্নাহার ওই বাড়িতে বেড়াতে যান। কিন্তু ঘটনার দিন রাতে শাহআলম তার স্ত্রীকে গিয়ে পায়নি। স্ত্রী তার মামার বাড়িতে বেড়াতে গিয়েছিলেন। ওই সময় শাহ আলম শ্বশুর বাড়ির একটি ঘরে ঘুমিয়ে থাকা শিশুকে কোলে তুলে নিয়ে পাশের বাগানে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। শিশুটি চিৎকার করলে বাড়ির লোকজন এগিয়ে আসে। এরপর শিশুকে প্রথমে হাইমচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এবং পরে আড়াইশ’ শয্যাবিশিষ্ট চাঁদপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করান। এই হাসপাতালেই শিশুর চিকিৎসা হয়। এই ঘটনায় ১৭ জুন শিশুর নানা আবদুল মজিদ মিজি হাইমচর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মোঃ শাহআলমের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।
মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব দেয়া হয় হাইমচর থানার তৎকালীন উপ-পরিদর্শক (এসআই) আবদুল হালিম সরকারকে। তিনি মামলাটি তদন্ত শেষে ২০১৪ সালের ৩০ আগস্ট আদালতে চার্জশীট দাখিল করেন।
সরকার পক্ষের আইনজীবী সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর (এপিপি) খোরশেদ আলম শাওন জানান, মামলাটি দীর্ঘ ৯ বছর চলাকালীন সময়ে আদালত ৬ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়। সাক্ষ্যগ্রহণ ও মামলার নথিপত্র পর্যালোচনা করে অভিযোগের প্রমাণ পাওয়ায় বিচারক এ রায় দেন। রায়ের সময় আসামী আদালতে অনুপস্থিত ছিলো। মামলায় আসামী পক্ষের আইনজীবী ছিলেন অ্যাডঃ হান্নান কাজী।