প্রকাশ : ১৬ জুন ২০২৩, ০০:০০
![পবিত্র ঈদুল আজহার প্রস্তুতি সভায় গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত](/assets/news_photos/2023/06/16/image-34353.jpg)
পবিত্র ঈদুল আজহা ২০২৩ উদযাপন উপলক্ষে প্রস্তুতিমূলক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ১৫ জুন বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক কামরুল হাসান। তিনি তাঁর বক্তব্যে বলেন, পবিত্র ঈদুল আজহা মুসলমানদের বৃহৎ ধর্মীয় উৎসব। এ উৎসব ঘিরে কর্মমুখী মানুষ বাড়ি ফিরবে। নৌ-পথে ও সড়ক পথে যাত্রী সাধারণের যাতে কোনো দুর্ভোগ পোহাতে না হয় সে বিষয়ে আমাদের খেয়াল রাখতে হবে। তিনি আরো বলেন, চাঁদপুর শহরের যানজট কমাতে ফের ইচলী লঞ্চঘাট চালু করা যায় কিনা এ বিষয়ে বিআইডব্লিউটিসহ লঞ্চ কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা চলছে। সংশ্লিষ্ট সবাই আন্তরিক হলে চাঁদপুরে যানজট নিরসন করা সম্ভব হবে।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মোসাম্মৎ রাশেদা আক্তারের সঞ্চালনায় সভায় বক্তব্য রাখেন পুলিশ সুপার মোঃ মিলন মাহমুদ, বিপিএম (বার), জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু নঈম পাটোয়ারী দুলাল, এনসআই’র উপ-পরিচালক শাহ্ আরমান আহমেদ, ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডাঃ একেএম মাহবুবুর রহমান, স্বাধীনতা পদকপ্রাপ্ত বিশিষ্ট নারী চিকিৎসক ডাঃ সৈয়দা বদরুন নাহার চৌধুরী, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উপ-পরিচালক মোঃ রুহুল আমিন, বাস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোঃ শোয়েবুর রহমান, চামড়া ব্যবসায়ী প্রতিনিধি মন্টু রবি দাস, লবণ ব্যবসায়ী আবুল কালাম প্রমুখ।
সভায় সিদ্ধান্ত হয়, পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে মহাসড়কের পাশের গাছ ঈদের আগে ও পরে মিলে ১০ দিন কাটা বন্ধ রাখতে হবে। সড়ক মেরামতের কাজ ঈদের তিন দিন আগে শেষ করতে হবে। সড়কের পাশে পশুর হাট বসবে না, যাতে ঈদে কর্মমুখী মানুষ নির্বিঘ্নে নিজ বাড়িতে পৌঁছতে পারে। কোরবানির পশু পিকআপ ভ্যানে আসা-নেওয়া নিয়ে অনেক সময় অনেক বিড়ম্বনা দেখা দেয়। কোরবানির পশু কোন্ হাটে নেবে, সেটা গাড়ির মধ্যে লেখা থাকতে হবে। ঈদের নামাজ ধর্মীয় ভাবগম্ভীর্যে মুসলমানরা আদায় করে থাকেন। সেখানে কোনো বিতর্কিত ইমাম নামাজ পড়াতে পারবে না। লোডশেডিং যেন নিয়মতান্ত্রিক হয়। পিডিবি ও পল্লী বিদ্যুতের সমস্যা হলে দ্রুত সমাধানের চেষ্টা করতে হবে। কোথাও কোনো বিদ্যুৎ সমস্যা হলে বা আবার দুর্যোগের কারণে তার ছিঁড়ে গেলে দ্রুত সমাধান করতে হবে। নদীপথে ২৪ জুন থেকে ৪ জুলাই পর্যন্ত বাল্কহেড চলাচল বন্ধ থাকবে। চামড়া সংরক্ষণ ও পশুর বর্জ্য নিয়ে কোনো অনিয়ম বরদাস্ত করা হবে না। যিনি কোরবানি দাতা তার পশুর চামড়া তিনি নিজেই সংরক্ষণ করবেন। পশুর চামড়ায় লবণ ছিটিয়ে রাখলে চামড়া নষ্ট হয় না। চামড়া নিয়ে যাতে কেউ গুজব ছড়াতে না পারে সে বিষয়ে আমরা সোচ্চার হয়ে কাজ করবো। কোরবানির পশুর বর্জ্যগুলো নির্দিষ্ট স্থানে গর্ত করে পুঁতে রাখতে হবে। অন্যথায় পৌরসভার পরিচ্ছন্ন কর্মীর সহযোগিতা নিতে অনুরোধ জানানো হয়।