প্রকাশ : ১৫ জুন ২০২৩, ০০:০০
![চাঁদপুরে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের যাত্রায় স্বস্তি](/assets/news_photos/2023/06/15/image-34313.jpg)
অনেক জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে অবশেষে আলোর মুখ দেখলো চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়। চাঁদপুরের কৃতী সন্তান, বাংলাদেশ সরকারের শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী, শিক্ষামন্ত্রী ডাঃ দীপু মনি এমপির ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় ২০২০ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর অনুমোদন পাওয়া এ বিশ্ববিদ্যালয় আলোর মুখ দেখলো ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে। নতুন ভবন হবে এ আশায় ২ বছর অতিক্রান্ত হলো। অবশেষে ১ হাজার বর্গফুটের ৭ তলাবিশিষ্ট ১টি ভবনে শ্রেণী কার্যক্রম শুরু হলো। খুবই জাঁকজমকপূর্ণভাবে চাঁদপুর জেলা শিল্পকলা একাডেমীতে অনুষ্ঠানের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের শ্রেণী কার্যক্রমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়।
কম্পিউটার সাইন্স ইঞ্জিনিয়ারিং (সিএসই), ইনফরমেশন কমিউনিকেশন এন্ড টেকনোলজী (আইসিটি) ও ব্যবসায় প্রশাসন (বিবিএ) ৩টি বিভাগে ৩০টি করে আসনের বিপরীতে ৯০ জন শিক্ষার্থী ভর্তির সুযোগ পায়। এদের মধ্যে ৭২ জন ছাত্র ও ১৮ জন ছাত্রী। বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলা থেকে উচ্চ শিক্ষার আশায় ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থীদের মধ্যে লালমনিরহাট জেলা থেকে আগত আসাদুজ্জামান সিফাত ও ইফতিখারুল আলম বসুনিয়া এবং ময়মনসিংহ জেলা থেকে আগত আফিফ জানান, আবেদন করে তারা চাঁদপুরে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন। উচ্চ শিক্ষা গ্রহণের জন্য পিতা-মাতার আশা এবং তাদের ভবিষ্যৎ গঠনের জন্যেই তারা এগিয়ে থাকার প্রত্যয় করেন।
ভাড়াকৃত ভবনে তাত্ত্বিক বিষয়ে ৩টি শ্রেণী কক্ষ রয়েছে এবং ব্যবহারিক বিষয়ে ৪টি (ফিজিক্স, ইলেকট্রিক্যাল এন্ড ইলেকট্রনিক্স, ক্যামিস্ট্রি ও কম্পিউটার) কক্ষ। ৪ জন শিক্ষক ও ১জন প্রশিক্ষক তাদের নিরলস প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন দেশসেরা প্রতিষ্ঠান তৈরিতে। অত্যাধুনিক ল্যাব, লাইব্রেরী, কনফারেন্স রুম, নামাজের আদায়ের কক্ষসহ সব ধরনের অত্যাধুনিক সুযোগ সুবিধা রয়েছে এই ভবনে। সকাল সাড়ে ৮টা থেকে দুপুর ১টা ২০ মিনিট পর্যন্ত পাঠদান চলে।
প্রযুক্তিতে উচ্চ শিক্ষার প্রতিষ্ঠান চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়। একটি প্রতিষ্ঠান দাঁড় করানোর পেছনে যিনি সার্বক্ষণিক হাল ধরেছেন, তিনি হচ্ছেন বহুগুণের অধিকারী ভিসি ড. মোহাম্মদ নাছিম আখতার। তিনি তাঁর ধ্যান-ধারণার সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে অনুমোদন পর্যন্ত অক্লান্ত পরিশ্রম করেছেন এবং সার্থকও হয়েছেন। তিনি মনে করেন এটি কারো ব্যক্তি প্রতিষ্ঠান নয়। এটি চাঁদপুরের সমস্ত জনসাধারণের সম্পদ। এ বিষয়ে কথা হয় চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার প্রকৌশলী মেজর মোঃ আব্দুল হাই (অবঃ)-এর সাথে। তিনি বলেন, চাঁদপুরে এমন একটি প্রতিষ্ঠান হওয়া চাঁদপুরবাসীর জন্যে অহংকার করার বিষয়। এটির সাফল্য ও সম্ভাবনা চাঁদপুর থেকে যেনো সারা বাংলাদেশে ছড়িয়ে যায় সেভাবে কাজ করার জন্যে ভিসি মহোদয় অক্লান্ত পরিমশ্রম করেছেন। তাঁর নেতৃত্বে আমরা এগিয়ে যাবো।
কথা হয় ভিসি ড. মোহাম্মদ নাছিম আখতারের সাথে। তিনি বলেন, চাঁদপুরের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় চাঁদপুরের সমস্ত জনসাধারণের সম্পদ। এটি কোনো রাজনৈতিক সমস্যায় বন্ধ হয়ে যাক তা কারো কাম্য নয়। এ এলাকার উন্নতি হলে বাংলাদেশের উন্নতি হবে। অনেক পরিশ্রম করতে হয়েছে এটি চালু করতে। যেখানে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হয়েছে তা ওভারকাম করতে সক্ষম হয়েছি। সততা ও নিষ্ঠার সাথে অনেক জায়গায় কাজ করার সুযোগ হয়েছে এবং সফল হয়েছি। চাঁদপুরবাসীকে সাথে নিয়ে ভালো কিছু করতে পারলেই আমার সার্থকতা।