প্রকাশ : ২৫ জুন ২০২১, ০০:০০
আরো ২/১ দিন দেখবো, পরিস্থিতি অপরিবর্তিত থাকলে লকডাউন দেয়া হতে পারে : সিভিল সার্জন
চাঁদপুর কণ্ঠ রিপোর্ট ॥ করোনা সংক্রমণের হার বিবেচনায় চাঁদপুর জেলা এখন ‘অতি উচ্চ ঝুঁকি’ জেলার মধ্যে আছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা চারটি মাত্রায় করোনার ঝুঁকি চিহ্নিত করেছে। এই চারটির মধ্যে প্রথমটি হলো ‘অতি উচ্চ ঝুঁকি’। চাঁদপুরসহ দেশের ৪০টি জেলা এখন ‘অতি উচ্চ ঝুঁকি’তে অর্থাৎ ঝুঁকির দিক দিয়ে শীর্ষে আছে। এটিকে কোনোভাবেই স্বাভাবিক পরিস্থিতি হিসেবে দেখছেন না বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকগণ। যে পরিস্থিতি বিরাজ করলে লকডাউন দেয়া হয়, তার পুরোটাই রয়েছে চাঁদপুরে। এদিকে পরিস্থিতি এতোটা ভয়াবহ হলেও স্বাস্থ্যবিধি মানার কোনো প্রবণতাই দেখা যাচ্ছে না জনগণের মাঝে। ফলে পরিস্থিতি আরো খারাপের দিকে যাবার আশঙ্কা করছেন চিকিৎসকগণ। তবে পরিস্থিতি আরো ২/১ দিন পর্যবেক্ষণ করা হবে। অপরিবর্তিত থাকলে চাঁদপুরে লকডাউন হয়তোবা দেয়া হবে। এমন মন্তব্য করলেন চাঁদপুরের সিভিল সার্জন ডাঃ মোঃ সাখাওয়াত উল্লাহ।
দেশে করোনা সংক্রমণ পরিস্থিতির দ্রুত অবনতি হচ্ছে। চাঁদপুর জেলাও এর মধ্যে রয়েছে। গত এক সপ্তাহে চাঁদপুরে করোনা শনাক্তের হার বিবেচনা করলে দেখা যায় যে, গড়ে ২০ শতাংশের উপরে থাকছে। এক সপ্তাহের মধ্যে একদিন শুধু ছিলো ১৬ শতাংশ। এছাড়া অন্যান্য দিন ২২ থেকে ২৮ শতাংশের মধ্যে ছিলো শনাক্তের হার। যেমন বুধবার ছিলো ২৬ ভাগ, মঙ্গলবার ২২ ভাগ, সোমবার ছিলো ২৭ ভাগ। এ পরিস্থিতি জাতীয়ভাবে শনাক্তের হারের চেয়েও বেশি।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এক সপ্তাহের পরীক্ষা ও রোগী শনাক্তের হার বিবেচনায় করোনার চারটি মাত্রায় ঝুঁকি চিহ্নিত করেছে। চারটি হলো : অতি উচ্চ ঝুঁকি, উচ্চ ঝুঁকি, মধ্যম ঝুঁকি ও নিম্ন ঝুঁকি। এই সংস্থার পর্যবেক্ষণে বাংলাদেশের ৪০টি জেলা করোনায় ‘অতি উচ্চ ঝুঁকি’তে রয়েছে। এর মধ্যে চাঁদপুর জেলাও রয়েছে। এ বিষয়ে কথা হয় চাঁদপুরের সিভিল সার্জন ডাঃ মোঃ সাখাওয়াত উল্লাহর সাথে। তিনি একবাক্যে বললেন, পরিস্থিতি ভালো নয়। চাঁদপুরে সংক্রমণের হার ২০-এর উপরে থাকছে। আমরা আরো ২/১ দিন দেখবো। পরিস্থিতির উন্নতি না হলে শনিবার কি রোববারের দিকে করোনা বিষয়ক জেলা কমিটির মিটিং করবো। সে মিটিংয়ে আমাদের মন্ত্রী মহোদয়কেও (শিক্ষামন্ত্রীকে) সংযুক্ত করবো। ওই মিটিং থেকেই লকডাউনের ব্যাপারে ঘোষণা আসতে পারে। চাঁদপুরের পরিস্থিতি সম্পর্কে জেলা প্রশাসক সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখছেন বলে তিনি জানান।
এদিকে চাঁদপুরে করোনা পরিস্থিতি এমন ভয়াবহ আকার ধারণ করলেও মানুষের মাঝে এর কোনো প্রভাব দেখা যাচ্ছে না। মানুষ সম্পূর্ণ ফ্রি স্টাইলে চলছে। হাট-বাজার, দোকান, গণপরিবহন কোথাও স্বাস্থ্যবিধির কোনো বালাই নেই। কাঁচা বাজার, মাছ বাজারে কোনো বিক্রেতার মুখে মাস্ক থাকে না। অন্যান্য দোকানেও একই অবস্থা। শহরের অভ্যন্তরে চলাচলকারী এবং দূরপাল্লায় চলাচলকারী যানবাহনে যাত্রী ও চালকসহ স্টাফদের মাস্ক ব্যবহার করতে খুব কম লক্ষ্য করা যাচ্ছে। এছাড়া সর্বত্র জনসমাগম স্বাভাবিক অবস্থার মতো।