প্রকাশ : ২৫ জুন ২০২১, ০০:০০
মতলব উত্তর উপজেলার ছেঙ্গারচর পৌরসভা প্রথম শ্রেণির হলেও রাস্তার অবস্থা দেখলে তা মনে হয় না। পৌর কার্যালয়ের সম্মুখস্থ রাস্তার সংস্কার নেই অর্ধযুগেরও বেশি সময় ধরে। রাস্তাগুলো দেখলে যে কেউ মনে করতে পারে অজ পাড়াগাঁয়ের কোনো মাটির রাস্তার এটি। পৌরসভার আওতাধীন বেশ কিছু রাস্তায় যানবাহন চলাচল তো দূরের কথা, সেসব রাস্তা পায়ে হেঁটে চলারও উপযোগিতা হারিয়েছে। পৌরসভার পক্ষ থেকে রাস্তাগুলো মেরামতের কোনো উদ্যোগ নেই।
সরজমিনে গিয়ে দেখা গেছে পৌর কার্যালয়ের সামনে দক্ষিণ দিক থেকে ছেঙ্গারচর বাজার-বারআনী রাস্তা ও ছেঙ্গারচর বাজার-বারআনী-শিকিরচর রাস্তার বেহাল দশা। রাস্তাগুলোর কাপের্টিং উঠে গিয়ে ছোট-বড় খানা-খন্দকে পরিণত হয়েছে। রাস্তায় বড় বড় গর্ত হয়েছে ও রাস্তাগুলো ভেঙ্গে পড়েছে। ফলে এ পৌরসভার প্রত্যন্ত অঞ্চলে যোগাযোগের মাধ্যম ছোট-বড় সকল যানবাহন (ব্যাটারিচালিত অটো, ভ্যান ও মোটরসাইকেল)-এর আরোহীদের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
ছেঙ্গারচর বাজার-বারআনী রাস্তার পাশে ড্রেন করে তার রক্ষণাবেক্ষণ করা হচ্ছে না। ড্রেনের ওপর বেশির ভাগ অংশে স্লাব না থাকা ও স্লাবগুলো এলোপাতাড়ি ফেলে রাখায় রাস্তায় পানি জমে রাস্তাটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে আছে।
স্থানীয়রা জানান, দীর্ঘদিন ধরে রাস্তাগুলো সংস্কার করা হয়নি। ছয় বছরের অধিক সময় হলো রাস্তা মেরামত হয় না। মাঝে মধ্যে এলাকাবাসী গাড়ির চালকরা নিজ উদ্যোগে রাস্তায় ইট-কংকর ও বালু দিয়ে কোনো রকমে চলাচলের উপযোগী করে তোলেন।
স্থানীয়রা অভিযোগ করে বলেন, আমাদের দরকার ভালো রাস্তাঘাট। আমরা একটু শান্তিতে চলাফেরা করতে চাই। কিন্তু সামান্য বৃষ্টি হলেই রাস্তা দিয়ে চলাফেরা করা যায় না। আসলে আমাদের চলাচলের এই রাস্তার ওপর পৌরসভার নজর নেই। পৌরসভার ভেতরে বসবাস করেও যদি ভালো রাস্তা দিয়ে চলাচল করতে না পারি তাহলে আমাদের পৌরসভা দিয়ে কী হবে?
ছেঙ্গারচর পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক (ভারপ্রাপ্ত) সোলেমান আহমেদ রতন বলেন, পৌরসভা বর্তমানে প্রথম শ্রেণিতে উন্নীত হলেও বাড়েনি এর নাগরিক সুবিধা। সংস্কারের অভাবে অধিকাংশ রাস্তা খানা-খন্দকে পরিণত হওয়ায় সেগুলো যান চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।
স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর আলহাজ রুহুল আমিন মোল্লা জানান, রাস্তাটি চলাচলের অনুপযোগী। বরাদ্দ না পাওয়ায় সংস্কার করা যাচ্ছে না।
ছেঙ্গারচর পৌরসভার সহকারী প্রকৌশলী আবুল আনছার জানান, এ রাস্তা দুটি জরুরি ভিত্তিতে সংস্কারের প্রয়োজন। বরাদ্দ না থাকায় কাজ করা যাচ্ছে না।
গত জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে থেকে পৌরসভার মেয়র আলহাজ রফিকুল ইসলাম জর্জ পৌর এলাকায় না থাকায় এলাকাবাসী দুর্ভোগ লাঘবের দাবি জানাতে পারছে না। দৈনিক চাঁদপুর কণ্ঠের মাধ্যমে এলাকাবাসীর দাবি, জরুরি ভিত্তিতে বড় বড় খানা-খন্দক ও ভেঙে যাওয়া রাস্তাগুলো সংস্কার করার জন্যে সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি চাই।