প্রকাশ : ২৭ মে ২০২৩, ০০:০০
গত ২৫ মে (১১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩০ বঙ্গাব্দ) জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১২৪তম জয়ন্তী উদযাপন উপলক্ষে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির নাট্যশালা মিলনায়তনে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টায় এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এতে সভাপ্রধান ছিলেন বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহা-পরিচালক, ঋত্বিক নাট্যজন লিয়াকত আলী লাকি এবং মুখ্য আলোচক ছিলেন বিশিষ্ট প্রাবন্ধিক ও গবেষক পীযূষ কান্তি বড়ুয়া। আলোচনার মূল প্রতিপাদ্য ছিল ‘অগ্নিবীণার শতবর্ষ : বঙ্গবন্ধুর চেতনায় শাণিতরূপ।’ মুখ্য আলোচক তার বক্তব্যে বাঙালির অগ্নিবীণা ও বজ্রবীণার কথা বলেন। নজরুলের প্রথম কাব্যগ্রন্থ অগ্নিবীণা শতবর্ষ পেরিয়েও আজ বাঙালির জাতীয় জীবনে সমান প্রাসঙ্গিক এবং ভবিষ্যতেও তা প্রাসঙ্গিকই থাকবে। কেননা, অগ্নিবীণা একদিকে দেশপ্রেমের কথা যেমন ধারণ করেছে, তেমনি তা সাম্যবাদ ও অসাম্প্রদায়িক চেতনাকে ধারণ করেছে। অগ্নিবীণার এই চেতনাকে মনে ও মননে ধারণ করেই রচিত হয়েছে সাতই মার্চের বজ্রবীণা। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের এই কালজয়ী কণ্ঠই হয়ে উঠেছে বাঙালির বজ্রবীণা। নজরুলকে পূর্ণাঙ্গ ধারণ করতে পেরেছিলেন বলেই বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশের সংবিধানে নজরুলীয় চেতনাকে শাণিত করে চার মূলনীতিরূপে অন্তর্ভুক্ত করেছেন। এই চার মূলনীতি হলো সমাজতন্ত্র, গণতন্ত্র, বাঙালি জাতীয়তাবাদ ও ধর্মনিরপেক্ষতা। এই চারটি উপাদানই নজরুলের রচনায় ও দর্শনে এবং তাঁর অগ্নিবীণায় ঝংকৃত হয়েছে।
আলোচনা শেষে নজরুলের কবিতা হতে আবৃত্তি, গান ও সঙ্গীতানুগ নৃত্য পরিবেশন করেন বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির শিশুশিল্পীবৃন্দসহ অন্যরা। অনুষ্ঠানটি নেপথ্যে সংগঠিত করেন বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির সহকারী পরিচালক আবু ছালেহ্ মোঃ আব্দুল্লাহ্, যার কবি নাম সৌম্য সালেক।