শনিবার, ০৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫  |   ১৫ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   হাইমচরে মাটি বোঝাই বাল্কহেডসহ আটক ৯
  •   কচুয়ায় কৃষিজমির মাটি বিক্রি করার দায়ে ড্রেজার, ভেকু ও ট্রাক্টর বিকল
  •   কচুয়ায় খেলতে গিয়ে আগুনে ঝলসে গেছে শিশু সামিয়া
  •   কচুয়ায় ধর্ষণের অভিযোগে যুবক শ্রীঘরে
  •   ১ হাজার ২৯৫ কেজি নিষিদ্ধ পলিথিন জব্দ করেছে কোস্ট গার্ড

প্রকাশ : ২৬ মে ২০২৩, ০০:০০

সম্মেলন অনুষ্ঠানের ঘনঘটা ও প্রস্তুতি পর্ব দৃশ্যমান নয়, বরঞ্চ সংশ্লিষ্ট অনেকেই দোটানায় আছি
গোলাম মোস্তফা ॥

চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট জহিরুল ইসলাম গতকাল চাঁদপুর কণ্ঠকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, পারস্পরিক সৌহার্দ্য-সম্প্রীতি সৌজন্যতা নিয়ে সংগঠন পরিচালনা করায় অভ্যস্ত নেতৃত্ব সর্বোপরি সততা-আন্তরিকতা নিয়ে সংগঠনের কার্যক্রম পরিচালনা করা ও অতীতের ত্যাগ, তিতিক্ষা, যোগ্যতা, অভিজ্ঞতা, জ্ঞান-গরিমা, সাহস, শক্তি ও সামগ্রিক দিক বিবেচনা করে আমাকে সংগঠনের দুটি গুরুত্বপূর্ণ পদের মধ্যে যে কোনো একটি পদে অধিষ্ঠিত করবেন বলে আমি বিশ্বাস করি। আমি সততা আন্তরিকতার সাথে সংগঠনের জন্য আমৃত্যু কাজ করে যেতে প্রস্তুত আছি।

নিম্নে তাঁর পূর্ণাঙ্গ সাক্ষাৎকারটি হুবহু পত্রস্থ করা হলো :-

চাঁদপুর কণ্ঠ : চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন হতে যাচ্ছে ১৭ জুন ২০২৩। আপনার প্রতিক্রিয়া কী?

অ্যাডঃ জহিরুল ইসলাম : সংগঠনের সম্মেলন গঠনতান্ত্রিক রীতিনীতির পরিচায়ক, নেতৃত্বের যোগ্যতা ও কর্মদক্ষতা এবং সামনে এগিয়ে চলার মাধ্যম বটে। সেহেতু সংগঠনের সকল স্তরে যথারীতি নির্ধারিত সময়ে সম্মেলন হওয়া ও করা বাঞ্ছনীয় বটে। প্রসঙ্গত যে, চাঁদপুর জেলাধীন বিভিন্ন উপজেলায় দীর্ঘদিন পর সম্মেলন সম্পন্ন হওয়ার পরও অদ্যাবধি কমিটি পূর্ণাঙ্গ হয়নি এবং এখন পর্যন্ত ফরিদগঞ্জ ও মতলব উত্তর উপজেলা সম্মেলন সম্পন্ন হয়নি, যা নিতান্তই দুঃখজনক। ইতিমধ্যে প্রেরিত পত্রের মাধ্যমে দিন-তারিখ ঘোষিত হলেও কেন্দ্রীয় কমিটির সিদ্ধান্ত মোতাবেক নির্ধারিত দিনক্ষণে সম্মেলন সম্পন্ন হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করছি। তবে উল্লেখিত দিনক্ষণে সম্মেলন অনুষ্ঠানের ঘনঘটা ও প্রস্তুতি পর্ব দৃশ্যমান নয়, বরঞ্চ সংশ্লিষ্ট অনেকেই দোটানায় আছি।

চাঁদপুর কণ্ঠ : এই সম্মেলনে বর্তমান নেতৃত্বের বহাল চান, না কোনো পরিবর্তন?

অ্যাডঃ জহিরুল ইসলাম : ইদানিং সারাদেশের সম্মেলনগুলো কাউন্সিলরদের সরাসরি ভোটে অনুষ্ঠিত হচ্ছে না। চলমান প্রক্রিয়ায় সংগঠনের সভানেত্রী, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা ও কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ স্থানীয় পর্যায়ের নেতৃবৃন্দের গুণাগুণ, যোগ্যতা, কর্মদক্ষতা, অভিজ্ঞতা, আন্তরিকতা ও অতীতের রাজনীতির ভূমিকা অবদান বিবেচনা করে সভাপতি-সম্পাদক নির্ধারণ করেন। সেই হিসেবে মাননীয় সভানেত্রী ও কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ গুরুত্বপূর্ণ প্রধান দুটি পদ নির্ধারণ করছেন, যা বিভিন্ন জেলার সম্মেলনে দেখে আসছি।

চাঁদপুর কণ্ঠ : আপনি নিজে কি জেলা আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে আসতে চান? সেটা কোন্ পদে?

অ্যাডঃ জহিরুল ইসলাম : এ বিষয়ে আমার সুস্পষ্ট অভিমত আমার বিগত জীবনের রাজনৈতিক পথচলা নীতি-আদর্শ বজায় রেখে কাজ করা। পারস্পরিক সৌহার্দ্য-সম্প্রীতি সৌজন্যতা নিয়ে সংগঠন পরিচালনা করায় অভ্যস্ত নেতৃত্ব সর্বোপরি সততা-আন্তরিকতা নিয়ে সংগঠনের কার্যক্রম পরিচালনা করা ও অতীতের ত্যাগ, তিতিক্ষা, যোগ্যতা, অভিজ্ঞতা, জ্ঞান-গরিমা, সাহস, শক্তি ও সামগ্রিক দিক বিবেচনা করে আমাকে সংগঠনের দুটি গুরুত্বপূর্ণ পদের মধ্যে যে কোনো একটি পদে অধিষ্ঠিত করবেন বলে আমি বিশ্বাস করি। আমি সততা আন্তরিকতার সাথে সংগঠনের জন্য আমৃত্যু কাজ করে যেতে প্রস্তুত আছি।

চাঁদপুর কণ্ঠ : উপরোক্ত প্রশ্ন সমূহের বাইরে আপনার কোনো বক্তব্য থাকলে তুলে ধরুন।

অ্যাডঃ জহিরুল ইসলাম : আমার সুস্পষ্ট বক্তব্য : সংগঠনের কল্যাণে দেশের ভবিষ্যৎ চিন্তায়, সৎ সাহসী নির্ভীক আত্মনিবেদিত পরীক্ষিত প্রাণ কর্মীরাই নেতৃত্বে আসবেন বলে দৃঢ় আশাবাদ ব্যক্ত করছি। জয় বাংলা। জয় বঙ্গবন্ধু।

উল্লেখ্য, অ্যাডঃ জহিরুল ইসলাম মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা মরহুম নূরুল ইসলাম মিয়াজী ছিলেন মহান স্বাধীনতা সংগ্রামের চাঁদপুরের অন্যতম সংগঠক ও বীর মুক্তিযোদ্ধা। তিনি পিতার পদাঙ্ক অনুসরণ করে ১৯৬৯ সালে ছাত্রজীবন থেকে ছাত্রলীগের রাজনীতির মধ্য দিয়ে রাজনৈতিক জীবন শুরু করেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শহীদুল্লাহ হল ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ভূগোল ও পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগ ছাত্র সংসদ নির্বাচনে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। পরবর্তীতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদুল্লাহ হল ছাত্র সংসদ নির্বাচনে জিএস পদে ছাত্রলীগের প্যানেল থেকে নির্বাচিত হন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শহীদুল্লাহ হল ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সদস্য ও সহ-সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন।

তিনি ১৯৯২ সাল থেকে ২০০৩ সাল থেকে তিনবার চাঁদপুর সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করে ২০০৪ সাল থেকে অদ্যাবধি জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন। এর আগেও তিনি জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য পদে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি ১৯৮৯ সাল থেকে চাঁদপুর সদর উপজেলা কেন্দ্রীয় সমবায় সমিতি লিঃ-এর ৫ বার চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেন। ২ বার বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন বোর্ডের পরিচালকের দায়িত্ব পালন করেন। এছাড়াও তিনি কুমিল্লা ইন্ডাস্ট্রিয়াল কো-অপারেটিভ সমবায় সমিতির দু'বার চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেন।

তিনি ১৯৯২ সাল থেকে চাঁদপুরের সার্বজনীন মুক্তিযুদ্ধের বিজয় মেলার সাথে জড়িত হয়ে মহাসচিব ও চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেন। তিনি ১৯৯৬ সাল থেকে ২০০০ সাল পর্যন্ত চাঁদপুর জেলা জজ কোর্টে পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি)-এর দায়িত্ব পালন করেন। তিনি চাঁদপুর জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক হিসেবে বহুবার দায়িত্ব পালন করেন ।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়